
ছেঁড়া বাঁধন
বিধান কুমার বিশ্বাস।
ওগো কোকিল তুমি আর ডেকো না তারে
বসন্ত গেছে ফিরে গ্রীষ্মের দাবদাহে
বসন্তকে ফিরে – ভীড়ে, তুমি আছো মায়া নীড়ে
সে আর আসবে কি? তোমার ডাকে ফিরে।
সে গেছে ছিঁড়ে – আসবে না ফিরে; এ মায়া নীড়ে,
সে প্রেম ভালোবাসা মোর রক্তের বন্ধন ছিঁড়ে
যদিও আসে, আমি আর থাকবো না
তখন, মর্মের বেদনা বইবে ধরিত্রী! বিরহ ছেদনে।
ওহে জোনাকি? আজ আলো জ্বালিও না বারে বারে
মোর বাতায়নের ফাঁকে; আজ আমি ডুবে অথৈ পাথারে,
ব্যাথা ভুলতে, যে স্মৃতি মিশে দিছি অমানিশার রাতে
তোমার মৃদু আলো ঝলকানিতে, যদি পুনরায় জাগে।
ওহে দমকা হাওয়া আচমকা বয়ো না তিমির ঘোরে
যদি, পুনরায় জ্বলে সে দাবানল মোর হৃদয় আঙ্গিনে
কে আর আসবে গো হৃদয়ের যমদগ্নি নেভাতে?
যেটুকু ছিল বাকি তাও শেষ, কত নিশি ভোরে।
আজ যা; করে ধ্বংস, সে চলে গেছে ফিরে
যা পারেনি সৃজন করতে, তবে কেন ধ্বংসের নীরে?
মোর মোন প্রাণ, হৃদয় তোমাতেই হেড়িয়ে, খুঁজি
পেরেছে কি কেউ? হাড়িয়ে – ফিরে মানুষের ভীড়ে!
আমার মতো ঘাঁ; আছে যার, অশ্রু ঝরে নিরবে
কি নিদারুণ নিষ্ঠুর নিগুঢ় রহস্য! ব্যথা ভুলে হাসতে
গহীন তিমির কাঁপে বুক ফুপিয়ে কান্নায়; ক’জন দেখে,
বর্ষণে কেন কমে না হৃদয়ের কালিমা? ওদের হাসাতে।
আমরা কেন কাঁদি?মোর যা ছিল না; হারিয়েছে তাই,
হারিয়ে ফেলার চাইতে হারানোর যন্ত্রণা
কেড়ে নিছে প্রাণ! তাই দিশেহারা – নিরবতা
পখির গান, ঝর্ণার ধার ও ধরিত্রীর বিরোধিতা।
ওগো নিশি ঘোর কবে হবে ভোর
কোথায় তোমার বাঁধা সীমানা প্রাচীরে?
মোর যাতনা বুঝি দূর হবে প্রভাতের কিরণে,
সে গেছে ছিঁড়ে – আসবে না ফিরে; এ মায়া নীড়ে।