


স্টাফ রিপোর্টার
আজ পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ ,১৪ এপ্রিল সকাল আট টায় জেলা প্রশাসক রাজবাড়ীর উদ্যোগে সার্বজনীন আনন্দ শোভাযাত্রা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠান ও লোকজ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।, প্রথমে সকাল আটটায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তর সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ রংবেরঙের ব্যানার ফেস্টুন পোস্টার সহ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে। আনন্দ শোভাযাত্রাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের আমতলা থেকে শিল্পকলার সামনে দিয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুলিশ সুপারের ভবনের সড়ক হয়ে শহীদ খুশি রেলওয়ে মাঠে শেষ হয়। তারপর জেলা প্রশাসক জনাব সুলতানা আক্তার বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষ্যে শহিদ খুশি রেলওয়ে ময়দানে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে র প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন এবং জাতীয় সংগীত এর মাধ্যমে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি লোকজ মেলার মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। এ সময় সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীএবং সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্য , শিল্পী, ও মেলার সাধারণ দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


এছাড়া বৈশাখ উদযাপন পর্ষদ, রাজবাড়ী কর্তৃক আয়োজিত একটি অনুষ্ঠান শহীদ স্মৃতিসৌধ রেলগেট (বটতলা) অনুষ্ঠিত হয়। সকাল দশটায় চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, বিকাল আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান চলে শেষ হয়। জেলার ৩২টি সংস্কৃতিক সংগঠন এতে অংশগ্রহণ করে ।মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা গান, নৃত্য, আবৃত্তি, নাটক পরিবেশন করে, দর্শক শ্রোতাদের মুগ্ধ করে। চিত্রাংকনে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।


মেজবাউল করিম রিন্টু স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে বকুলতানা
(সরকারি মহিলা কলেজের বিপরীতে) একটি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ।এখানে দীর্ঘ আঠারো বছর ধরে চলে আসা দিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে মেহেদী উৎসব, চিত্রাংকন, লোকগান, হাড়িভাঙ্গা ,টিপ পড়ানো, বল নিক্ষেপ, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা এখনে অনুষ্ঠিত হয়। দিন শেষে মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণের করে সন্ধ্যা ছয়টা অনুষ্ঠান শেষ হয়।
এছাড়া রাজনৈতিক দল বিএনপি এর উদ্যোগে আনন্দ শোভাযাত্রা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় বিএনপির অফিস প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয়। নববর্ষ উদযাপন পর্ষদের উদ্যোগে আয়োজিত আর একটি অনুষ্ঠান আজাদী ময়দানে অনুষ্ঠিত হয়।পর্ষদের পক্ষ থেকে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে দিনব্যাপী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
এছাড়াও জেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্ব স্ব উদ্যোগে স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাংলা নববর্ষ ১লা বৈশাখ উদযাপন করে।