
শক্তি ক্ষমতা অর্থ স্বার্থের দ্বন্দ্বে অস্থির বিশ্ব। দ্বন্দ্বে লিপ্ত থাকে কারা,আর দুর্ভোগে পড়ে মারা পরে কারা। জার্মানি আধিপত্য নীতি বিস্তার দ্বিতীয়বিশ্ব যুদ্ধে কোটি কোটি মানুষ মরেছে। দুর্ভোগের শিকার হয়েছিল গোটা বিশ্বের নিহীহ মানুষ ।ব্যক্তি জাতি গোষ্ঠী রাষ্ট্র যখন ক্ষমতার অন্ধ মোহে উম্মাদ হয়ে ওঠে।এর পিছনে যত কারণ তা হল ক্ষমতা সম্পদ অর্থর নিয়ন্ত্রণ শাসন নিজের শ্রেষ্ঠত্বের জানান। দুর্বলের অর্থ, সম্পদ,ক্ষমতাহরণমুখ্য।ধর্ম,মানবতা,নীতবোধ,সভ্যতা,আদর্শ শুধু কথার কথা আবরণ। এতে এক জাতির অনেক সম্পদ আর অন্য জাতির রাষ্ট্র হয়ে পড়ে সম্পদহীন। ব্যক্তির ক্ষেত্রেও তাই। তৈরী হয় বৈষম্য। কেউ বিত্তশালী ভোগবিলাসে থাকে। কেউ বিত্তহীন ক্ষুধার্ত। তাতে বিত্তশালীর জাতি রাষ্ট্রের গোষ্ঠীর কিচ্ছু যায় আসেনা।যখন শাসন নিয়ন্ত্রণ এক দল, ক্ষমতান্ধ অমানবিক মানুষ।
মনুষ্য সৃষ্ট এ সমস্যাকে ধর্মের রাজকীয় সুবিধা ভোগী ধর্মগুরুদের ব্যাখ্যায় দুর্ভোগী নিরীহ আমজনতা বা সৃষ্টিকর্তার উপর দায় চাপিয়ে আসছে বহকাল থেকে।
এটা লোভী,ভোগী,শাসক,সৃষ্ট নয়।
এ ভাবেই শোষণের কৌশল আরাল হয়েছে। গোপন থেকছে প্রকৃত রহস্য।
সময়ের সাথে বদলেছে শোষণের কৌশল ধরন।নৈতিকতার আবরনে নীতিহীনেরা বাড়িয়েছে আরো সম্পদ ক্ষমতা আরো ভোগ নিয়ন্ত্রণ একসময় রোমান,অটোম্যান শাসনের পর বৃট্রিশ করেছে গড়েছিল । জার্মান এ পথে হাঁটতে গিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধিয়েছিল।
জার্মানের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে অবসান হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। যুদ্ধ শেষের দিকে বিশ্ব দেখল, আমেরিকার নিক্ষেপিত পারমানবিক বোমার ভয়াবহতায় মৃত্যু ধবংসে স্তম্ভিত হিরোশিমা নাগাশাকি শহর।
যুদ্ধ হলো বর্বরদের ব্যবসা-নেপোলিয়ান।
চমকে গেল বিশ্ব আর নয় পারমানবিক যুদ্ধ!দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের অবশান হলেও বিশ্ব দেখল সমাজতন্ত্র রাশিয়া,পুজিবাদি আমিরিকার ঠান্ডা দ্বন্দ্বের বিশ্ব। ১৯৪৯সালে আমিরিকা মিত্র রাষ্ট্র নিয়ে ন্যাটোজোট করলে,সালে১৯৫৪ রাশিয়া গড়ল ওয়াশ জোট।১৯৫১ গঠন হলো জাতিসংঘ। পারস্পরিক দ্বন্দ্ব সংঘাত বিরোধ মেটাতে কাজ করবে সংঘটি।গঠন হলো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। পাঁচ অভিজাত ক্ষমতা ধর যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্য,
চীন,রাশিয়া, ফ্রান্স স্থায়ী সদস্য।তাদের হাতে ভেটো নামক অসিম ক্ষমতা।
এখানেও বৈষম্য। বিশ্ব পাঁচ প্রভুর ইচ্ছেই বড় কথা।অস্থায়ী সদস্য দশটি পরিবর্তিত।
কোন সিদ্ধান্ত পাশে সবাই একমত হলেও ভেটো ক্ষমতার একটি বিরুদ্ধে গেলে সিদ্ধান্ত অকার্যকর। ইজরাইলের দখলদারিত্ব বর্বরতা বিরুদ্ধে বহু প্রস্তাব অকার্যকর হয়েছে শুধু আমিরিকার ভেটোতে। সংখ্যাগরিষ্ঠতাই বিজয়ী গন্যের এই নীতি এখানে চুপ।এখনে প্রতিদ্বন্দ্বী থেকেই গেল ঠান্ডা যুদ্ধ চলমান। যুদ্ধ চললে কারো ঘর পুরে কারো অস্রের বাজার বাড়ে। নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির আধিপত্য কৌশল ভিন্ন। রাষ্ট্র দখল নয় পরোক্ষ নিয়ন্ত্রণ।পছন্দের দল ক্ষমতায় থাকবে প্রভুর শুরে শুর মেলাবে। অনুগত গোলাম ক্ষমতার জন্য জন স্বার্থের চেয়ে প্রভুর স্বার্থই বড় করে দেখবে। এখন চলছে যুদ্ধের সাথে সাথে অর্থনৈতিক অস্রের অবরোধ খেলা আমেরিকার
নতুন কৌশল। পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়া,
ভবিষ্যতের প্রতিদ্বন্দ্বি মিত্র হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ডলারের উপরে কেন ইউরোডলার।ন্যাটোতে ইউক্রেন ভুক্তি কার বিরুদ্ধে?রাশিয়ার উত্থান রোধ।সোভিয়েত রাশিয়ার বিভক্তির পর বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যার মুসলিম জাতিকে নানা ভাবে বিভক্ত করে দুর্বল করে রাখা হয়েছে । জাতিসংঘের অনুমোদহীন আমেরিকা মিথ্যে অজুহাতে ইরাক, আফগান,লিবিয়া,সিরিয়া,ধ্বংস নিধন চালিয়েছে। বিশ্ব শাসন একক নিয়ন্ত্রণে মরিয়া আমেরিকা।গনতন্ত্র বিশ্বশান্তির নামে বিশ্ব শাসন নিয়ন্ত্রণ। জার্মানদের শ্রেষ্ঠত্ব নীতির খেলা আর আমেরিকানদের শ্রেষ্ঠত্ব নীতির পার্থক্য কি? চীন রাশিয়া তুরস্ক, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু।চীন তাইওয়ান টেনশন, তুরস্ক গ্রীস বিরোধ,সম্প্রতি সৌদির প্রতিনাখোস
আমেরিকা।ইয়েমেনের হুতিদের গোপন মদদে সৌদির টেনশন বাড়ালে আশ্চর্য হবার কিছু নাই । এমন ইতিহাস পূবের আছে।কোথায় নেই আমেরিকা?বিশ্বে ৮০টি দেশে ৭৫০টি ঘাটি আছে।১৫৯ দেশে ১,৭৩,০০০বেশি সৈন্যের উপস্থিতি আছে। গণতন্ত্র,শান্তি অর্থনীতি, জনস্বার্থ,সভ্যতা,মানবতার মন্ত্র।জাতিসংঘ,বিশ্ব ব্যাংক,আইএমএফ সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ আমেরিকার হাতে থাকা চাই। এ এক নয়া ঔপনিবেশ। ৯১ তে রাশিয়া ভেঙে ১৫ টি দেশটি হলো মনে করা হলো অবসান হলে। সাত সদস্যের ওয়াশজোট বিলুপ্ত হলো। কথা ছিল ন্যাটো জোটও বিলুপ্ত হবে।কিন্তু আমেরিকা কথা রাখেনি। বরং বারো সদ্যের জোট বেড়ে হয়েছে ত্রিশ। ওয়াশ জোটের সবাইকে ন্যটোতে নিয়ে বারো থেকে ত্রিশ সদস্যের জোট গড়েছে আমেরিকা। সমস্যা ওখানেই। সব ছোট শক্তি ভয়ে অনুগত হলেও রাশিয়া তা মানছে না।
যার হাতে আছে পারমানবিক বোমা যার ব্যবহারে এমন পৃথিবী ধবংস করা যাবে কয়েক শতবার। পারমানবিক যুদ্ধের কোন জয় নেই। উভয় পক্ষই ধ্বংস ছাড়া কিছুই পাবে না।
শাস্তি দেয়ার জন্য যারা যুদ্ধ করে আর যুদ্ধের ক্লেশ যারা ভোগ করে যুদ্ধ তাদের উভয়ের জন্য শাস্তি সরুপ-জেফারসন
এই হলো যুদ্ধের মূল কারণ আমেরিকার অস্ত্র অর্থ আর জোট। রাশিয়া শুরু করল তার জ্বালানি অস্ত্রের ব্যবহার। ডলারের আধিপত্য মোকাবেলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইউরো ডলার উঠে গেল আমেরিকা ডলারের উপরে। আমেরিকা চিন্তার ভাঁজ কপালে। আমেরিকার নিক্সনশর্ক অর্থনীতির কৌশলে বিশ্বের সমস্য আমলে নেয়নি আমেরিকা,শুধু তাদের স্বার্থকেই বড় করে দেখেছে।
সারা বিশ্ব অর্থের নিয়ন্ত্রণ,ডলার হবে সোনার বিকল্প। এক সময় কার নিন্দিত দাসপ্রথা বিলুপ্ত হয়েছে। জোর করে শ্রমে সেবায় বশ্যতায় বাধ্য করা হতো।এখন দাসত্ব বরনের চলছে অদৃশ্য জালে বেঁধে।
কেউ কেউ লোভে বিক্রি হচ্ছে স্বেচ্ছায়, দাসত্ব দৌড়ে যেন নষ্ট প্রতিযোগিতা।
রাজনীতি, ধর্ম,সংস্কৃতি,যেন পুজিঁর হাতের পুতুল। পুজিঁর কাছে পরাস্থ কি মানবতা?
ব্যক্তির ইচ্ছে স্বাধীনতা বলে কিছু ছিলনা প্রভুর ইচ্ছেই ইচ্ছে।এখন রাষ্ট্র করে রাষ্ট্রের দাসত্ব।ব্যক্তি ও করে ভিন্ন আদলে অর্থের গোলামি দাসত্ব। অর্থের সাথে ক্ষুধা নিবারনের সম্পর্ক। ক্ষমতা মসনদ ক্ষুধাকে পুজিঁর হাতে মানবতা যেন জিম্মি। বিশ্বের এক শতাংশ মানুষের হাতে ৯৯% অর্থ সম্পদ ? সৃষ্টির সেরামানুষের প্রকৃত আত্মার মুক্তি স্বাধীনতা কি রুদ্ধ হয়ে থাকবে? অর্থের উপরে থেকে মানুষ কি ফিরে পাবে তার প্রকৃত আত্ম মর্যাদা। বৃট্রিশ ঔপনিবেশের মত আমেরিকার আধিপত্য ঔপনিবেশও একদিন ভেঙ্গে পড়বে? নাকি চলতেই থাকবে একক আধিপত্য সময়ই দিবে তার উত্তর। দাসত্বের শংঙ্খল কালে কালে মানুষই ভেঙেছে বারবার গড়েছে মুক্তির পথ ইতিহাস তার সাক্ষী।
মোঃআতাউর রহমান
লেকক ও কলামিষ্ট।