রাজবাড়ী ০৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একটি কবিতার দীর্ঘশ্বাস

একটি কবিতার দীর্ঘশ্বাস
আতিকা বেগম রাশি

একটা কবিতা বহুদিন ধরে নিঃসঙ্গতায়
আলমারীবন্দি হয়ে পরে আছে
যত্নহীন, অবহেলায়।
একদিন যেটা যখন তখন উচ্চারিত হতো,
কত সুরে একবার, বহুবার!
আজ সে স্পর্শহীন বিদগ্ধ হৃদয়ে শুয়ে আছে
কাব্যগ্রন্থের কবরে ।

আলো নেই, বায়ু নেই, গভীর অন্ধকারে
তলিয়ে যাচ্ছে বারবার।
স্রোতা নেই, মুগ্ধতা নেই, আনন্দ নেই
কারো কণ্ঠে যায় না শোনা।

আনুভূতিহীন শরীরে বারবার কবিতার মৃত্যু হয়।
কেউ দেখেনা, কেউ শোনেনা তার এই আকুতি,
শব্দগুলি বিদ্রোহী হয়ে পালাতে চায়।
কী অদ্ভুত বদান্যতা!
পরিত্যাক্ত হতে কে চায়? তারও সাধ জাগে কেউ তাকে স্পর্শ করুক, বুকে চেপে ধরুক ভালোবেসে।
কবিতা কী কখনো মরে যায়?
তবে মৃতবৎ পরে থাকা কোন অভিশাপে সে এমন বন্দী?
মানুষের নাগালে আসতে কত দেরী আর?
কবে চিরমুক্তি পাবে সে, কবে ঘটবে সে মিলন?
কবিতা আলো চায়, স্পর্শ চায়, মুক্তি চায়!
কবিতা বদ্ধ থাকতে নয়, কবিতা সাজিয়ে রাখতে নয়, কবিতা ঘরের শোভা বাড়াতে নয়,
সে বাইরে আসতে চায়।
উচ্চারণে উচ্চারণে উচ্চৈঃস্বরে হাসতে চায়!
কবিতা জড় নয়,
জীবের আনন্দে সে প্রস্ফুটিত হতে চায়।
একবার তাকে বাইরে আনো
সে হাসুক সৃষ্টির উল্লাসে!

একটি কবিতার দীর্ঘশ্বাস

প্রকাশিত : ০৮:৩৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

একটি কবিতার দীর্ঘশ্বাস
আতিকা বেগম রাশি

একটা কবিতা বহুদিন ধরে নিঃসঙ্গতায়
আলমারীবন্দি হয়ে পরে আছে
যত্নহীন, অবহেলায়।
একদিন যেটা যখন তখন উচ্চারিত হতো,
কত সুরে একবার, বহুবার!
আজ সে স্পর্শহীন বিদগ্ধ হৃদয়ে শুয়ে আছে
কাব্যগ্রন্থের কবরে ।

আলো নেই, বায়ু নেই, গভীর অন্ধকারে
তলিয়ে যাচ্ছে বারবার।
স্রোতা নেই, মুগ্ধতা নেই, আনন্দ নেই
কারো কণ্ঠে যায় না শোনা।

আনুভূতিহীন শরীরে বারবার কবিতার মৃত্যু হয়।
কেউ দেখেনা, কেউ শোনেনা তার এই আকুতি,
শব্দগুলি বিদ্রোহী হয়ে পালাতে চায়।
কী অদ্ভুত বদান্যতা!
পরিত্যাক্ত হতে কে চায়? তারও সাধ জাগে কেউ তাকে স্পর্শ করুক, বুকে চেপে ধরুক ভালোবেসে।
কবিতা কী কখনো মরে যায়?
তবে মৃতবৎ পরে থাকা কোন অভিশাপে সে এমন বন্দী?
মানুষের নাগালে আসতে কত দেরী আর?
কবে চিরমুক্তি পাবে সে, কবে ঘটবে সে মিলন?
কবিতা আলো চায়, স্পর্শ চায়, মুক্তি চায়!
কবিতা বদ্ধ থাকতে নয়, কবিতা সাজিয়ে রাখতে নয়, কবিতা ঘরের শোভা বাড়াতে নয়,
সে বাইরে আসতে চায়।
উচ্চারণে উচ্চারণে উচ্চৈঃস্বরে হাসতে চায়!
কবিতা জড় নয়,
জীবের আনন্দে সে প্রস্ফুটিত হতে চায়।
একবার তাকে বাইরে আনো
সে হাসুক সৃষ্টির উল্লাসে!