রাজবাড়ী ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তন্ত্র মন্ত্রের মাধ্যমে চোর শনাক্ত ও প্রতিপক্ষকে গাছের নির্যাস খাইয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন করার অভিযোগ – কবিরাজ গোপালের বিরুদ্ধে!

তন্ত্র মন্ত্রের মাধ্যমে চোর শনাক্ত ও প্রতিপক্ষকে গাছের নির্যাস খাইয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন করার অভিযোগ – কবিরাজ গোপালের বিরুদ্ধে!

বিধান কুমার বিশ্বাস রাজবাড়ী।

সোনার গহনা, রুপার গহনা, হাড়িয়ে যাওয়া টাকা পয়সা ও অটো-ভ্যন-রিক্সা, যে কোন হারিয়ে জাওয়া জিনিস উদ্ধার করতে মোটা অর্থের কন্টাকের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তৎসঙ্গে কুফরি কালামের প্রভাব বা ক্ষতিকর গাছ গা-ছাড়ার নির্যাস খাওয়ানো সহ সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা অভিযুক্তকে মানষিক ভারসাম্যহীন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ।

প্রতিপক্ষকে প্রাণ-নাশের জন্য দেন কুফুরি বান ও জাদু টোনা বা জিনের প্রভাবে হারিয়ে যাওয়া স্বর্ণলংকার ও গাড়ি ঘোড়াসহ বিভিন্ন বস্তু উদ্ধারের তদবির। এমন ভাবেই ৩০ বছর যাবত কবিরাজির মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছেন কবিরাজ গোপল পাল ।

সম্প্রতি, এমনি কুফুরি বান এর সিকার হয়ে মানষিক ও শারিরিক ভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন, প্রবাসি’র স্ত্রী প্রিয়া আক্তার (২৫)। প্রিয়া আক্তার কালুখালী’র মৃগী ইউনিয়নের সিকজান গ্রামের রফিক মোল্লার ছোট ছেলে সাগর হোসেন এর স্ত্রী। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সাগর হোসেন ইরাক প্রবাসি হওয়ায় তার স্ত্রী প্রিয়া শশুর বাড়িতেই বসবাস করতেন। গত দের মাস পূর্বে সাগর হোসেন এর বাড়ী হতে তার বড় ভাইয়ের বৌ’র একটি মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটে। তখন, পরিবার এর সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সাগর এর বাবা রফিক মোল্লা। জিঙ্গাসাবাদে কোন সন্ধান না মেলায় সহায়তা নেন কবিরাজ গোপাল পালের। কবিরাজ গোপাল পাল অর্থের মাধ্যমে চোর ধরার জন্য সরিষা পরা ও গাছড়া দিয়ে থাকেন। রফিক মিয়ার বাড়ীতে এসে গোপাল পাল সরিষা পরা দিয়ে যান! যা প্রয়োগ করার ৪৮ ঘন্টা পর হতেই অসুস্থ হতে থাকেন প্রিয়া। ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকলে একপর্যায়ে প্রিয়া স্বীকার করেন যে, পূর্বের ঝগড়া ঝামেলাার জন্য মোবাইল ফোন টি সে চুরি করে পাশের পুকুরে ফেলে দিয়েছেন।

কিন্ত কোন কিছুতেই সুস্থ হচ্ছিলেন না প্রিয়া। গা হাত পা জ্বালা পোরা মাথা ব্যথা মাথা ঘোরাসহ শরীরিক ভাবে রোগাটে হয়ে যাওয়া সহ জ্বর বমি ও বিভিন্ন রকমের অসুস্থতায় বাসা বাধে তার শরীরে। এবং তিনি ধিরে ধিরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরেন। গুরুতর অবস্থা জানতে পেরে প্রিয়াকে বাবার বাড়িতে নিয়ে যায়। কবিরাজি চিকিৎসা বাদ দিয়ে। বিভিন্ন ডক্টর দেখালেও আজও এই সমস্যা হতে আরোর্গ্য লাভ হয় নাই।

সরোজমিনে গিয়ে ঘটনা বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিয়ার শশুর শাশুরি ও জা বলেন, আমরা যেটা করেছি ভুল করেছি। কবিরাজ গোপাল পাল বলেছিলেন, কিছুদিন পরই ঠিক হয়ে যাবে। তবে, তার কাছে পর্যায় ক্রমে কয়েক বার প্রিয়াকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলেও তিনি প্রিয়াকে সুস্থ করতে পারেনি। এখন আমরা সবাই চেষ্টা করছি যেন প্রিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। আর কখনো এমন ভুল করবেন না বলে ক্ষমা চান প্রিয়ার শশুর বাড়ির পরিবারবর্গ।

কবিরাজ গোপালের বাড়ি গেলে দেখা যায় সেবা প্রত্যাশীদের লম্বা সারি। বিভিন জেলা হতে আগত অনেকই এসেছেন অন্ধবিশ্বাসী হয়ে তন্ত্র-মন্ত্রের সেবা নিতে। কেও বা এসেছেন প্রতিপক্ষ বা শত্রুকে নাশের জন্য বান মারতে, কেও এসেছেন চুরি জাওয়া জিনিস উদ্ধারে জন্য, কেও এসেছেন স্বামী স্ত্রী’র মিল করাতে, কেও বা এসেছেন কারও সংসার ভাংতে এমনই সকল সমস্যার সমাধান দেন কবিরাজ গোপাল পাল। আর এই সেবার জন্য সেবা প্রত্যাশিদের গুনতে হয় মোটা অংকের অর্থ।
এ বিষয়ে কবিরাজ গোপাল পাল বলেন, আমি তন্ত্র-মন্ত্র ও বিভিন্ন গাছ-গা-ছাড়া’র মাধ্যমে নানা বিষয়ে আগত রোগিদের চিকিৎসা দিয়ে থাকি। তারা তাদের সমস্যা হইতে আরোগ্য লাভ করেন। আমার এখানে হাদিয়া স্বরুপ যে যা দেয়, তাই নিয়ে থাকি। তবে সিকজানের রফিক মোল্লা বাড়িতে হারানো মোবাইল উদ্ধারের জন্য আমার নিকট আসলে তন্ত্র-মন্ত্র,গাছ গা-ছাড়া ও কুফুরি কালামের মাধ্যমে মোবাইল চোর কে সনাক্ত করে দেই। এর প্রভাবে তার যে শারিরীক সমস্যা হয়েছে, তা প্রতিকার লক্ষে কবিরাজি মতে চিকিৎসা চলমান রয়েছে। সে দ্রুতই সুস্থতা লাভ করবে বলে আমার কবিরাজি মতে আশা করি।

Tag :

তন্ত্র মন্ত্রের মাধ্যমে চোর শনাক্ত ও প্রতিপক্ষকে গাছের নির্যাস খাইয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন করার অভিযোগ – কবিরাজ গোপালের বিরুদ্ধে!

প্রকাশিত : ০৯:৫৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

তন্ত্র মন্ত্রের মাধ্যমে চোর শনাক্ত ও প্রতিপক্ষকে গাছের নির্যাস খাইয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন করার অভিযোগ – কবিরাজ গোপালের বিরুদ্ধে!

বিধান কুমার বিশ্বাস রাজবাড়ী।

সোনার গহনা, রুপার গহনা, হাড়িয়ে যাওয়া টাকা পয়সা ও অটো-ভ্যন-রিক্সা, যে কোন হারিয়ে জাওয়া জিনিস উদ্ধার করতে মোটা অর্থের কন্টাকের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তৎসঙ্গে কুফরি কালামের প্রভাব বা ক্ষতিকর গাছ গা-ছাড়ার নির্যাস খাওয়ানো সহ সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা অভিযুক্তকে মানষিক ভারসাম্যহীন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ।

প্রতিপক্ষকে প্রাণ-নাশের জন্য দেন কুফুরি বান ও জাদু টোনা বা জিনের প্রভাবে হারিয়ে যাওয়া স্বর্ণলংকার ও গাড়ি ঘোড়াসহ বিভিন্ন বস্তু উদ্ধারের তদবির। এমন ভাবেই ৩০ বছর যাবত কবিরাজির মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছেন কবিরাজ গোপল পাল ।

সম্প্রতি, এমনি কুফুরি বান এর সিকার হয়ে মানষিক ও শারিরিক ভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন, প্রবাসি’র স্ত্রী প্রিয়া আক্তার (২৫)। প্রিয়া আক্তার কালুখালী’র মৃগী ইউনিয়নের সিকজান গ্রামের রফিক মোল্লার ছোট ছেলে সাগর হোসেন এর স্ত্রী। তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সাগর হোসেন ইরাক প্রবাসি হওয়ায় তার স্ত্রী প্রিয়া শশুর বাড়িতেই বসবাস করতেন। গত দের মাস পূর্বে সাগর হোসেন এর বাড়ী হতে তার বড় ভাইয়ের বৌ’র একটি মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটে। তখন, পরিবার এর সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সাগর এর বাবা রফিক মোল্লা। জিঙ্গাসাবাদে কোন সন্ধান না মেলায় সহায়তা নেন কবিরাজ গোপাল পালের। কবিরাজ গোপাল পাল অর্থের মাধ্যমে চোর ধরার জন্য সরিষা পরা ও গাছড়া দিয়ে থাকেন। রফিক মিয়ার বাড়ীতে এসে গোপাল পাল সরিষা পরা দিয়ে যান! যা প্রয়োগ করার ৪৮ ঘন্টা পর হতেই অসুস্থ হতে থাকেন প্রিয়া। ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকলে একপর্যায়ে প্রিয়া স্বীকার করেন যে, পূর্বের ঝগড়া ঝামেলাার জন্য মোবাইল ফোন টি সে চুরি করে পাশের পুকুরে ফেলে দিয়েছেন।

কিন্ত কোন কিছুতেই সুস্থ হচ্ছিলেন না প্রিয়া। গা হাত পা জ্বালা পোরা মাথা ব্যথা মাথা ঘোরাসহ শরীরিক ভাবে রোগাটে হয়ে যাওয়া সহ জ্বর বমি ও বিভিন্ন রকমের অসুস্থতায় বাসা বাধে তার শরীরে। এবং তিনি ধিরে ধিরে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পরেন। গুরুতর অবস্থা জানতে পেরে প্রিয়াকে বাবার বাড়িতে নিয়ে যায়। কবিরাজি চিকিৎসা বাদ দিয়ে। বিভিন্ন ডক্টর দেখালেও আজও এই সমস্যা হতে আরোর্গ্য লাভ হয় নাই।

সরোজমিনে গিয়ে ঘটনা বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিয়ার শশুর শাশুরি ও জা বলেন, আমরা যেটা করেছি ভুল করেছি। কবিরাজ গোপাল পাল বলেছিলেন, কিছুদিন পরই ঠিক হয়ে যাবে। তবে, তার কাছে পর্যায় ক্রমে কয়েক বার প্রিয়াকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলেও তিনি প্রিয়াকে সুস্থ করতে পারেনি। এখন আমরা সবাই চেষ্টা করছি যেন প্রিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। আর কখনো এমন ভুল করবেন না বলে ক্ষমা চান প্রিয়ার শশুর বাড়ির পরিবারবর্গ।

কবিরাজ গোপালের বাড়ি গেলে দেখা যায় সেবা প্রত্যাশীদের লম্বা সারি। বিভিন জেলা হতে আগত অনেকই এসেছেন অন্ধবিশ্বাসী হয়ে তন্ত্র-মন্ত্রের সেবা নিতে। কেও বা এসেছেন প্রতিপক্ষ বা শত্রুকে নাশের জন্য বান মারতে, কেও এসেছেন চুরি জাওয়া জিনিস উদ্ধারে জন্য, কেও এসেছেন স্বামী স্ত্রী’র মিল করাতে, কেও বা এসেছেন কারও সংসার ভাংতে এমনই সকল সমস্যার সমাধান দেন কবিরাজ গোপাল পাল। আর এই সেবার জন্য সেবা প্রত্যাশিদের গুনতে হয় মোটা অংকের অর্থ।
এ বিষয়ে কবিরাজ গোপাল পাল বলেন, আমি তন্ত্র-মন্ত্র ও বিভিন্ন গাছ-গা-ছাড়া’র মাধ্যমে নানা বিষয়ে আগত রোগিদের চিকিৎসা দিয়ে থাকি। তারা তাদের সমস্যা হইতে আরোগ্য লাভ করেন। আমার এখানে হাদিয়া স্বরুপ যে যা দেয়, তাই নিয়ে থাকি। তবে সিকজানের রফিক মোল্লা বাড়িতে হারানো মোবাইল উদ্ধারের জন্য আমার নিকট আসলে তন্ত্র-মন্ত্র,গাছ গা-ছাড়া ও কুফুরি কালামের মাধ্যমে মোবাইল চোর কে সনাক্ত করে দেই। এর প্রভাবে তার যে শারিরীক সমস্যা হয়েছে, তা প্রতিকার লক্ষে কবিরাজি মতে চিকিৎসা চলমান রয়েছে। সে দ্রুতই সুস্থতা লাভ করবে বলে আমার কবিরাজি মতে আশা করি।