রাজবাড়ী ১২:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন রাজবাড়ীতে ১ হাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী আরিফ গ্রেপ্তার অগ্নিযুগের বিপ্লবী কমরেড আশুভরদ্বাজ  লাল সালাম বালিয়াকান্দিতে ভোক্তা অধিকার অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানে ১২ হাজার টাকা জরিমানা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম গ্রেফতার রাজবাড়ীতে অগ্নিযুগের বিপ্লবী  কমরেড নেতা আশুভরদ্বাজের ৩২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত রাজবাড়ী বালিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলায় আ. লীগের ১০ নেতা কারাগারে রাজবাড়ীতে বর্ণাঢ্য পহেলা বৈশাখ উদযাপিত। বৈশাখী মেলা ( মারিয়া শাইরি)

দৌলতদিয়ায় মিলাদ বিরোধীরা বাহাসের নামে প্রতারণা

দৌলতদিয়ায় মিলাদ বিরোধীরা বাহাসের নামে প্রতারণা

রাজু আহমেদ (স্টাফ রিপোর্টার)

নবী করিম (দঃ)-এর গুণগান সম্বলিত পবিত্র মিলাদ মাহফিল এবং এই মিলাদ মাহফিলে ‘ইয়া নাবী সালামু আলাইকা’ বলে নবীজীকে সালাম দেয়ার সময় সম্মান প্রদর্শনার্থে দাঁড়িয়ে যাওয়া অর্থাৎ এক কথায় মিলাদ-কিয়াম জায়েজ। শুধু জায়েজই নয়, এই পুণ্যময় কাজটি নবী পাক (দঃ)-এর প্রতি প্রেম ভালোবাসার একটি নিদর্শন। কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াস এবং ফোকাহায়ে কেরাম তথা মাজহাবের ইমামগণের মতে মিলাদ-কিয়াম জায়েজ এবং উত্তম একটি আমল। একইভাবে নবী করিম (দঃ) যে নূরের সৃষ্টি তাও ইসলামী দলিল সম্মত। এর সমাধান যেমনিভাবে কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াসে রয়েছে তেমনি ফোকাহায়ে কেরামের কিতাবাদিতেও রয়েছে। এটি মীমাংসিত বিষয়। এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা মানে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করারই নামান্তর। কথাগুলো বলেছেন আনজুমানে কাদেরিয়ার ওলামায়ে কেরাম। তাঁরা গতকাল ২৮ শে নভেম্বর মঙ্গলবার দৌলতদিয়া নুরু মন্ডলপাড়া বড়সিংগা প্রাইমারি স্কুল মাঠে আনজুমানে কাদেরিয়া আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ কথাগুলো বলেন।

ওলামায়ে কেরাম জানান, প্রচলিত মিলাদ-কিয়াম যে জায়েজ এবং নবী পাক (দঃ) যে আল্লাহর নূরের সৃষ্টি এ বিষয়টি ওহাবী পন্থী আলেমরা মানতে চান না। তারা সবসময় এর বিরোধীতা করে মিলাদ-কিয়ামকে নাজায়েজ এবং হুজুর (দঃ) মাটির সৃষ্টি বলে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আসছেন। কিন্তু তাঁরা (ওহাবী পন্থী আলেমরা) কখনো এ সব বিষয়ে সুন্নী আলেমদের সাথে সঠিক সমাধানের লক্ষ্যে বাহাস-মোবাহাসায় বসতে চান না, এমনকি অতীতে দেশের কোথাও কোথাও বাহাসে বসলেও তারা (ওহাবী পন্থী) পরাজিত হয়েছেন।

উক্ত বাহাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা লুৎফর রহমান কাদেরী, মাওলানা রোকনুদ্দিন কাদেরী, মাওলানা মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম কাদেরী, মাওলানা আঃ আব্দুল মালেক কাদেরী, মাওলানা আবু নাসির জামালী, মাওলানা মোশারফ হোসেন, মাওলানা নাসির হোসেন কাদরী, মাওলানা আল আমিন হোসেন কাদরী, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকী সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এ পর্যন্ত তাদের কোনো সাড়া মিলেনি। এজন্য আমরা তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই, নিন্দা জানাই। বুঝা গেলো তারা তাদের ভ্রান্ত আকীদার বিষয়ে শুধু গলাবাজি করে মুসলমানদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে রাখবে। প্রেস ব্রিফিংয়ে ওলামায়ে কেরাম সর্বশেষ বলেন, তারপরও আমরা আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে তাদের প্রতি আহ্বান জানাবো, আসুন, সাধারণ সরলমনা মুসলমানদেরকে এসবের মধ্যে না জড়িয়ে আমরা আলেম সমাজ বসে কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াসের আলোকে সকল কিছুতে সঠিক সমাধানে পেঁৗছি। যার দ্বারা মুসলিম উম্মাহ ধর্মীয় বিষয়গুলো নিয়ে বিদ্যমান কলহ থেকে মুক্তি পাবে।

Tag :

গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন

দৌলতদিয়ায় মিলাদ বিরোধীরা বাহাসের নামে প্রতারণা

প্রকাশিত : ০৫:৫৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৩

দৌলতদিয়ায় মিলাদ বিরোধীরা বাহাসের নামে প্রতারণা

রাজু আহমেদ (স্টাফ রিপোর্টার)

নবী করিম (দঃ)-এর গুণগান সম্বলিত পবিত্র মিলাদ মাহফিল এবং এই মিলাদ মাহফিলে ‘ইয়া নাবী সালামু আলাইকা’ বলে নবীজীকে সালাম দেয়ার সময় সম্মান প্রদর্শনার্থে দাঁড়িয়ে যাওয়া অর্থাৎ এক কথায় মিলাদ-কিয়াম জায়েজ। শুধু জায়েজই নয়, এই পুণ্যময় কাজটি নবী পাক (দঃ)-এর প্রতি প্রেম ভালোবাসার একটি নিদর্শন। কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াস এবং ফোকাহায়ে কেরাম তথা মাজহাবের ইমামগণের মতে মিলাদ-কিয়াম জায়েজ এবং উত্তম একটি আমল। একইভাবে নবী করিম (দঃ) যে নূরের সৃষ্টি তাও ইসলামী দলিল সম্মত। এর সমাধান যেমনিভাবে কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াসে রয়েছে তেমনি ফোকাহায়ে কেরামের কিতাবাদিতেও রয়েছে। এটি মীমাংসিত বিষয়। এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা মানে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে মুসলিম উম্মাহকে বিভক্ত করারই নামান্তর। কথাগুলো বলেছেন আনজুমানে কাদেরিয়ার ওলামায়ে কেরাম। তাঁরা গতকাল ২৮ শে নভেম্বর মঙ্গলবার দৌলতদিয়া নুরু মন্ডলপাড়া বড়সিংগা প্রাইমারি স্কুল মাঠে আনজুমানে কাদেরিয়া আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে এ কথাগুলো বলেন।

ওলামায়ে কেরাম জানান, প্রচলিত মিলাদ-কিয়াম যে জায়েজ এবং নবী পাক (দঃ) যে আল্লাহর নূরের সৃষ্টি এ বিষয়টি ওহাবী পন্থী আলেমরা মানতে চান না। তারা সবসময় এর বিরোধীতা করে মিলাদ-কিয়ামকে নাজায়েজ এবং হুজুর (দঃ) মাটির সৃষ্টি বলে মুসলমানদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আসছেন। কিন্তু তাঁরা (ওহাবী পন্থী আলেমরা) কখনো এ সব বিষয়ে সুন্নী আলেমদের সাথে সঠিক সমাধানের লক্ষ্যে বাহাস-মোবাহাসায় বসতে চান না, এমনকি অতীতে দেশের কোথাও কোথাও বাহাসে বসলেও তারা (ওহাবী পন্থী) পরাজিত হয়েছেন।

উক্ত বাহাস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা লুৎফর রহমান কাদেরী, মাওলানা রোকনুদ্দিন কাদেরী, মাওলানা মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম কাদেরী, মাওলানা আঃ আব্দুল মালেক কাদেরী, মাওলানা আবু নাসির জামালী, মাওলানা মোশারফ হোসেন, মাওলানা নাসির হোসেন কাদরী, মাওলানা আল আমিন হোসেন কাদরী, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিকী সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এ পর্যন্ত তাদের কোনো সাড়া মিলেনি। এজন্য আমরা তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই, নিন্দা জানাই। বুঝা গেলো তারা তাদের ভ্রান্ত আকীদার বিষয়ে শুধু গলাবাজি করে মুসলমানদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে রাখবে। প্রেস ব্রিফিংয়ে ওলামায়ে কেরাম সর্বশেষ বলেন, তারপরও আমরা আপনাদের (সাংবাদিকদের) মাধ্যমে তাদের প্রতি আহ্বান জানাবো, আসুন, সাধারণ সরলমনা মুসলমানদেরকে এসবের মধ্যে না জড়িয়ে আমরা আলেম সমাজ বসে কোরআন, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াসের আলোকে সকল কিছুতে সঠিক সমাধানে পেঁৗছি। যার দ্বারা মুসলিম উম্মাহ ধর্মীয় বিষয়গুলো নিয়ে বিদ্যমান কলহ থেকে মুক্তি পাবে।