
রাজবাড়ীতে ইউপি কার্যালয় প্রাঙ্গনে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মারধর.
বিধান কুমার বিশ্বাস রাজবাড়ী।
রাজবাড়ীর সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কার্যালয় প্রাঙ্গনে এই মারধর করার ঘটনাটি ঘটে।
সদ্য বরখাস্ত হওয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয় বলে ভূক্তভোগি অভিযোগ করেন।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নাম মো. মনিরুজ্জামান অশ্রু। তিনি এড়েন্দা গ্রামের বাসিন্দা। মূলঘর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
মনিরুজ্জামান অশ্রু অভিযোগ করেন, একজন নারীর বিরুদ্ধে কুরুচিকর প্রত্যয়নপত্র দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মো. ওহিদুজ্জামানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জেসমীন প্রধানের সই করা একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ১ নম্বর প্যানেল চেয়ারম্যান থাকায় তাকে ২২ অক্টোবর থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যানের দুই ছেলে নুরুজজামান ওরফে চঞ্চল ও আলিমুজ্জামান ওরফে হিমেল তাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছিলো। সোমবার তিনি কোলারহাট বাজারে অবস্থান করছিলেন। এসময় চঞ্চল তাকে ফোন করেন। ফোন রিসিভ করার পর তাকে গালাগাল করে ও মারধর করার হুমকি দেয়। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে মুঠোফোনে ওহিদুজ্জামান চেয়ারম্যানকে জানান। এরপর তিনি কার্যালয়ে আসেন। কার্যালয় প্রাঙ্গনে মোটর সাইকেল থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে চেয়ারম্যানের দুই ছেলে চঞ্চল ও হিমেল, তৌহিদ সহ আট থেকে ১০জন তাঁর ওপর হামলা করে। হামলাকারীদের কাছে লোহার রড, হাতুড়ি ছিল। তাকে এলোপাথারী মারধর করতে থাকে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। চিৎকার শুনে কার্যালয়ের ভেতর ও আশেপাশ থেকে লোকজন এগিয়ে আসে। এসময় তাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়ে হামলাকারীরা চলে যায়।
সদ্য বরখাস্ত হওয়ার চেয়ারম্যান শেখ মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, মাশালিয়া গ্রামে আমার পুকুরের এলাকায় একটি প্রকল্প নেওয়া আছে। সেখান থেকে সম্প্রতি মাটি কাটা হয়েছে। আমার কাছে শোনা হয়নি। তাকে প্রথমে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এঘটনায় আজ উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে শুনেছি।