রাজবাড়ী ০১:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ৬ যুবক মানব পাচারকারীর খপ্পরে পড়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে মালয়েশিয়া।

  • রাজবাড়ী সময় ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১১:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৬৬৮ বার পড়া হয়েছে

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ৬ যুবক মানব পাচারকারীর খপ্পরে পড়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে মালয়েশিয়া।

রাজু আহমেদ ( ষ্টাফ রিপোর্টার)

রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নে হাজী গফুর মন্ডল পাড়ার ৬ যুবক মানব পাচারকারী চক্রের পড়ে মালয়শিয়ায় গিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের মানবেতর জীবনযাপনের ভিডিও চিত্র দেখে ও আকুতির কথা শুনে কান্নায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে মা-বাবা ও আত্নীয় স্বজনরা। এ ছাড়া তারা ঋণ করে এই দালাল চত্বর হাতে মালয়েশিয়া যায় ঋণের চাপে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন।

মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য হলেন। উজানচর ইউনিয়নের দফাদার আয়ূব আলী মোটা অঙ্কের বেতনে ভালো চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ৩ মাস আগে ওই যুবকদের মালয়েশিয়া পাঠায়।

ওই যুবকদের পরিবারের পক্ষ থেকে দফাদার আয়ুব আলীর বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে রাজবাড়ী আদালতে মামলা করা করে ।

এ ছাড়া ওই যুবকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে এই দফাদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থানা পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।

আটকে পড়া যুবকরা হলেন গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী গফুর মন্ডল পাড়ার মোঃ শফিক শেখের ছেলে শিপন শেখ, মোঃ আকমল শেখের ছেলে মোঃ আশিক শেখ, মোঃ শামসু শেখের ছেলে রোমান শেখ, কানচু মৃধার ছেলে সিরাজ মৃধা, ও মোশারফ শেখ, এবং ফজের শেখের ছেলে জহিরুল শেখ। তারা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা।

আটকে পড়া ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি,স্থানীয় উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার ও দালাল চক্রের সদস্য আয়ূব আলীর মাধ্যমে এসব ব্যক্তিকে মালয়েশিয়া নিয়ে যায় মানব পাচারকারী চক্র। মালয়েশিয়া নেয়ার সময় তাদের ৩ জনের পরিবারের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা এবং অপর ৩ জনের প্রত্যেকের পরিবারের কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে নেয় মানব পাচার চক্রের সদস্য আয়ূব আলী। পরে তাদের মালয়েশিয়ার একটি সন্ত্রাসী দলের কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়।

মালয়েশিয়ার ওই সন্ত্রাসী চক্রটি সেখানে একটি কক্ষে তাদের আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়ে পরিবারের কাছ থেকে আরো টাকা আদায় করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এ বিষয় মালয়েশিয়া থেকে জহিরুল ও শিপনসহ ২ যুবক মোবাইলে এ প্রতিনিধিকে তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে জানায়, বাংলাদেশ থেকে তাদের মতো করে আনা আরো ৩৫ জনকে একই সাথে ছোট একটি কামড়ায় আটকে রাখা হয়েছে। ৩৫ জনকে এক সপ্তাহের খাবার হিসেবে ৩০ কেজি চাউল ৪ কেজি আলু, ২ কেজি পিঁয়াজ, এক প্যাকেট লবন দেয়া হয়। কোন কিছু বলতে চাইলে মারধোর করে। সেই সাথে বলে বাড়ি থেকে টাকা পাঠাইতে বল তাহলে তোদের কাজ এবং ভালো খাবার দেবো। নইলে নৌকা করে তোদের সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হবে।

এই বিষয় সিরাজ মৃধার স্ত্রী মর্জিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী ক্ষেত খামারে কাজ করে তিনটি ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসারটা ভালোই চালিয়ে আসছিল। ওই আয়ূব দফাদার সরকারী পোশাক পরে প্রতিদিন আমার বাড়িতে এসে তাকে ফুসলাইয়া বিদেশে ভালো চাকুরী দেয়ার লোভ দেখাইয়া আমার সব সম্বল বিক্রি করাইয়া ও ধার দেনা করে ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা নিয়া বিদেশ পাঠাইছে। এখন তাকে কোন কাজ না দিয়ে আটকে রেখে আরো টাকা চায়। আমি টাকা পাবো কই। আমার ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে আছি। ওদেরকে লেখাপড়া করাতে পারছি না এই কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এই মানুষটি।

এই বিষয় মোশারফের বোন মোছাঃ মুক্তা বেগম বলেন, শিশু কালে মা বাবা মারা যাওয়ার পর এতিম হইয়া ছোট ভাইটাকে নিয়ে অনেক কষ্ট করে বড় হইছি। ওই আয়ূবের প্রলোভনে পড়ে স্বামীকে অনুরোধ করে ধার কর্জ করে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তার হাতে তুলে দিয়েছি। এখন আমার ভাইটা যখন মোবাইলে বলে বুবু আমারে বাঁচাও, না খেয়ে আছি। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। তখন কেমনে কি করি বুঝতে পারি না। কলিজাডা ফাইটা যায়। ছোটকাল থেকে মায়ের স্নেহ দিয়ে বড় করছি। এ বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

রোমান শেখের পিতা শামসু শেখ ও শিপনের পিতা শফিক শেখ বলেন, ওই আয়ূব দফাদারের প্রলোভনে ছেলেরা মালয়েশিয়া গিয়ে আটকে আছে। আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ধার দেনা করা ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে আমাদের ফকির করেছে। ওর বিরুদ্ধে রাজবাড়ী আদালতে মানব পাচার আইনে মামলা দিয়েছি। আমরা এর বিচার চাই। এ ছাড়া ছেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে মানব পাচারকারী আয়ূবের শাস্তি নিশ্চিত করতে ইউএনও, থানা পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায় উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ লিয়াকত হোসাইন লিপু বলেন, আমাদের ওই দফাদার মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য এটা আমাদের জানা ছিলো না। শুনেছি আয়ূব ৬ হাজার ৫০০ টাকা বেতনে দফাদারী চাকুরী করে,সে নিয়মিত ৪ নং উজানচর ইউনিয়ন পরিষদে আসে না। তিনি আড়ালে অবৈধ মানব পাচারের সাথে জড়িত হয়ে দুটি ট্রাক ও অনেক জায়গা জমি ও বাড়ি গাড়ীর মালিক হয়েছে। এলাকার যুবক ছেলেদের ফুসলাইয়া বিদেশে পাচার করে তাদের পরিবারকে সর্ব শান্ত করে অবৈধ টাকা কামিয়ে নিজে রাতারাতি বড়লোক হচ্ছে। এটা বড় অন্যায় এর বিচার হওয়া দরকার। দফাদার আয়ূবকে জানতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে না এসে বলেন, আমি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে লোক পাঠাই। মানব পাচার করি না।

এ বিষয় গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বকুমার মজুমদার মামলা ও অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আয়ূব দফাদারের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত কাজ চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ৬ যুবক মানব পাচারকারীর খপ্পরে পড়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে মালয়েশিয়া।

প্রকাশিত : ১১:৩৯:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ৬ যুবক মানব পাচারকারীর খপ্পরে পড়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে মালয়েশিয়া।

রাজু আহমেদ ( ষ্টাফ রিপোর্টার)

রাজবাড়ী গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নে হাজী গফুর মন্ডল পাড়ার ৬ যুবক মানব পাচারকারী চক্রের পড়ে মালয়শিয়ায় গিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাদের মানবেতর জীবনযাপনের ভিডিও চিত্র দেখে ও আকুতির কথা শুনে কান্নায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে মা-বাবা ও আত্নীয় স্বজনরা। এ ছাড়া তারা ঋণ করে এই দালাল চত্বর হাতে মালয়েশিয়া যায় ঋণের চাপে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন।

মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য হলেন। উজানচর ইউনিয়নের দফাদার আয়ূব আলী মোটা অঙ্কের বেতনে ভালো চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে ৩ মাস আগে ওই যুবকদের মালয়েশিয়া পাঠায়।

ওই যুবকদের পরিবারের পক্ষ থেকে দফাদার আয়ুব আলীর বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে রাজবাড়ী আদালতে মামলা করা করে ।

এ ছাড়া ওই যুবকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে এই দফাদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) থানা পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।

আটকে পড়া যুবকরা হলেন গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী গফুর মন্ডল পাড়ার মোঃ শফিক শেখের ছেলে শিপন শেখ, মোঃ আকমল শেখের ছেলে মোঃ আশিক শেখ, মোঃ শামসু শেখের ছেলে রোমান শেখ, কানচু মৃধার ছেলে সিরাজ মৃধা, ও মোশারফ শেখ, এবং ফজের শেখের ছেলে জহিরুল শেখ। তারা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা।

আটকে পড়া ব্যক্তিদের পরিবারের দাবি,স্থানীয় উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার ও দালাল চক্রের সদস্য আয়ূব আলীর মাধ্যমে এসব ব্যক্তিকে মালয়েশিয়া নিয়ে যায় মানব পাচারকারী চক্র। মালয়েশিয়া নেয়ার সময় তাদের ৩ জনের পরিবারের প্রত্যেকের কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা এবং অপর ৩ জনের প্রত্যেকের পরিবারের কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে নেয় মানব পাচার চক্রের সদস্য আয়ূব আলী। পরে তাদের মালয়েশিয়ার একটি সন্ত্রাসী দলের কাছে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয়।

মালয়েশিয়ার ওই সন্ত্রাসী চক্রটি সেখানে একটি কক্ষে তাদের আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়ে পরিবারের কাছ থেকে আরো টাকা আদায় করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এ বিষয় মালয়েশিয়া থেকে জহিরুল ও শিপনসহ ২ যুবক মোবাইলে এ প্রতিনিধিকে তাদের উপর অমানুষিক নির্যাতনের বর্ননা দিয়ে জানায়, বাংলাদেশ থেকে তাদের মতো করে আনা আরো ৩৫ জনকে একই সাথে ছোট একটি কামড়ায় আটকে রাখা হয়েছে। ৩৫ জনকে এক সপ্তাহের খাবার হিসেবে ৩০ কেজি চাউল ৪ কেজি আলু, ২ কেজি পিঁয়াজ, এক প্যাকেট লবন দেয়া হয়। কোন কিছু বলতে চাইলে মারধোর করে। সেই সাথে বলে বাড়ি থেকে টাকা পাঠাইতে বল তাহলে তোদের কাজ এবং ভালো খাবার দেবো। নইলে নৌকা করে তোদের সাগরে ভাসিয়ে দেয়া হবে।

এই বিষয় সিরাজ মৃধার স্ত্রী মর্জিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী ক্ষেত খামারে কাজ করে তিনটি ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসারটা ভালোই চালিয়ে আসছিল। ওই আয়ূব দফাদার সরকারী পোশাক পরে প্রতিদিন আমার বাড়িতে এসে তাকে ফুসলাইয়া বিদেশে ভালো চাকুরী দেয়ার লোভ দেখাইয়া আমার সব সম্বল বিক্রি করাইয়া ও ধার দেনা করে ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা নিয়া বিদেশ পাঠাইছে। এখন তাকে কোন কাজ না দিয়ে আটকে রেখে আরো টাকা চায়। আমি টাকা পাবো কই। আমার ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে আছি। ওদেরকে লেখাপড়া করাতে পারছি না এই কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এই মানুষটি।

এই বিষয় মোশারফের বোন মোছাঃ মুক্তা বেগম বলেন, শিশু কালে মা বাবা মারা যাওয়ার পর এতিম হইয়া ছোট ভাইটাকে নিয়ে অনেক কষ্ট করে বড় হইছি। ওই আয়ূবের প্রলোভনে পড়ে স্বামীকে অনুরোধ করে ধার কর্জ করে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা তার হাতে তুলে দিয়েছি। এখন আমার ভাইটা যখন মোবাইলে বলে বুবু আমারে বাঁচাও, না খেয়ে আছি। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে। তখন কেমনে কি করি বুঝতে পারি না। কলিজাডা ফাইটা যায়। ছোটকাল থেকে মায়ের স্নেহ দিয়ে বড় করছি। এ বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

রোমান শেখের পিতা শামসু শেখ ও শিপনের পিতা শফিক শেখ বলেন, ওই আয়ূব দফাদারের প্রলোভনে ছেলেরা মালয়েশিয়া গিয়ে আটকে আছে। আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ধার দেনা করা ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে আমাদের ফকির করেছে। ওর বিরুদ্ধে রাজবাড়ী আদালতে মানব পাচার আইনে মামলা দিয়েছি। আমরা এর বিচার চাই। এ ছাড়া ছেলেদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করে মানব পাচারকারী আয়ূবের শাস্তি নিশ্চিত করতে ইউএনও, থানা পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায় উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ লিয়াকত হোসাইন লিপু বলেন, আমাদের ওই দফাদার মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য এটা আমাদের জানা ছিলো না। শুনেছি আয়ূব ৬ হাজার ৫০০ টাকা বেতনে দফাদারী চাকুরী করে,সে নিয়মিত ৪ নং উজানচর ইউনিয়ন পরিষদে আসে না। তিনি আড়ালে অবৈধ মানব পাচারের সাথে জড়িত হয়ে দুটি ট্রাক ও অনেক জায়গা জমি ও বাড়ি গাড়ীর মালিক হয়েছে। এলাকার যুবক ছেলেদের ফুসলাইয়া বিদেশে পাচার করে তাদের পরিবারকে সর্ব শান্ত করে অবৈধ টাকা কামিয়ে নিজে রাতারাতি বড়লোক হচ্ছে। এটা বড় অন্যায় এর বিচার হওয়া দরকার। দফাদার আয়ূবকে জানতে চাইলে তিনি ক্যামেরার সামনে না এসে বলেন, আমি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে বিদেশে লোক পাঠাই। মানব পাচার করি না।

এ বিষয় গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বকুমার মজুমদার মামলা ও অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আয়ূব দফাদারের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত কাজ চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।