
চাষী
বিধান কুমার বিশ্বাস
ওরে ও ভাই মাঠের চাষী
হাপাচ্ছিস তুই রাশি রাশি
একটু জিরিয়ে যা
ও ভাই একটু জিরিয়ে যা।
দেখছিস না ভাই মরবি নাকি?
দুপুরের দগ্ধ রোদ্রে,
হাপাচ্ছিস তুই রাশি রাশি
ওরে ও ভাই চাষী, একটু জিরিয়ে যা।
চৈত্রের এই দুপুর রোদ্রে
সব শুকিয়ে হচ্ছে খড়
তোর মনে কী লাগছে না ডর!
ওরে ও ভাই চাষি।
মনে হয় যেন মরিতে তুই
গৃহের বন্ধন ছিন্ন করে
এসেছি, তুই ভরদুপুরের দগ্ধ রদ্রে!
ওরে ও ভাই চাষি।
এত ক্ষুদা কিসের রে তোর?
নাই কি ঘরে একটু অন্য!
সকাল-সন্ধ্যে কাজে তুই,
কেন; করিস না নি’জ ধন্য।
সহস্র ঘামের বিন্দু বিন্দু জল
তোর মুখমণ্ডলে করছে টলমল
যেন মেঘের আড়ালে সুর্য করছে হাসি,
ওরে ও ভাই চাষি।
ও ভাই চাষি, এবার একটু আসি
তোর ওই মায়ার ছায়াতলে,
যাদের অন্যে জুগাইতে রে তুই দেহের সকল সম্বল খোয়াইয়েছিস মাঠের পৃষ্ঠ দেশে।
ওরে ও ভাই চাষী তুইতো নস একা
বাংলার সবাই তোর সাথী
তোরে ভালোবাসি রে ভাই
তোরে ভালোবাসি, ওরে ও ভাই চাষি