রাজবাড়ী ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আজো পড়ে মনে বিধান কুমার বিশ্বাস

আজো পড়ে মনে
বিধান কুমার বিশ্বাস

 

আর কখনো হবে না দেখা সেই কদম্বেরি তলে
দুজনে দাঁড়িয়ে একেলা উদাস দুপুর বেলা
ঝরিত কতো পাপড়ি আপনি ছলে।

আর কি হবে কথা, ওগো! সেই মেঠো পথের বাকে
দুজনে কতো করেছি হেলা যতো বেলা
হাটুরে যেত হাঁটে, সময়ের ফাঁকে ফাঁকে।

আর কখনো কি শুনিব না? তোমার নুপুরের ধ্বনি
আঁড়ি পেতে কান তোমারি অপেক্ষায়, প্রহর গুনিত
অপেক্ষায় থাকা আক্ষেপে মড়িত মন; দিবা হতে রজনী।

যখন, দিবাকর উদিত হতো পূর্বের রক্তিম গগনে
তুমি যেতে পড়িতে, আপন ইচ্ছায় প্রভাত ফেরীতে;
নুপরের ধ্বনি শুনে, বাতায়নের ফাঁকে দেখিতাম আপন নয়নে।

স্নানের বেলায় আসিতে তুমি, বসতে চৌড়ি তলে
দু’দণ্ড কথায়, হেরিতে সব; তোমা নিজ হিতে
আবার, ফিরিবার সময় জলের ছিটায় ভিজিয়ে যেতে মোরে।

সেদিনের কথা ভুলিনি গো, আজো আছে মোড় মনে
ব্যাথা যন্ত্রণা আজ, এ প্রাণ কেড়ে নেবার লয়নৃত্যে!
তবুও, স্মৃতি আঁকড়ে বাচার আকুতি সেই স্মৃতি চারণে।

কখনো আসিতে রেগে-জেদে, কখনো বা অভিমানে
সেই বাৎসল্যতায় হারিয়ে নিজেকে বুঝাতাম কতো ছলে
মুগ্ধ নয়নে অবলোকন করিতাম শুধু তোমারি পানে।

কতো এসে হায়, জেদ করিতে কারণে অকারণে
তোমার জেদে পরাস্ত হৃদয় ভুলে যেত আপনারে
ভাঙিতে সে জেদ, কতোকুটু কথা; সয়েছি এ প্রাণে।

হুংকারে মোরে ডাকিতে তুমি, আসি মোর প্রাঙ্গনে
পর্বত সম জেদ রাগে তুমি, গর্জে উঠতে বজ্রে;
রাগী নি আমি! ভেসেছে প্রেম, আপন দু নয়নে।

জোড় করে কতো চরিতে পিছে, কতো আকুতিতে;
বায়ু কে পিছে ফেলে দুপায়ে চালিয়ে দু-চক্রযান
তারুণ্যে ছুটিতাম যখন আপন ইচ্ছে, নানা দিগন্তে।

কত না আঘাত সয়েছি আমি, তখন তোমা হতে
কেও কিছু বললে, রাগ অভিমানে দিশেহারা তুমি
কখনো এসে বাক্য দংশনে বারং বার দংশাতে মোরে।

কখনো বা মটোর যান, কখনো বা স্মার্ট মোবাইল;
শিখাতে হবে চালাতে, নইলে যে; বড্ড মুশকিল
সযত্নে শিখায়ে প্রেমে ভাসিয়ে মোর নয়ন পদ্ম বিল।

কত-শত আড়ি দিয়াছিলুম পারি আপন কষ্ট ভুলি!
হৃদয়ের আনন্দে প্রেম তরঙ্গে তোমারি ভাবনায় ডুবি,
তোমাতেই মত্ত হইতো চিত্ত ফুটিয়ে প্রেম কুড়ি।

মোর পবিত্র প্রেম নিবেদনে, পেতে তোমারি মিলনসুধা
কেন যেন, কোন অভিমানে; ফিরায়ে ভাঙিলে সকলি!
কোথায় হাড়িয়ে বর্ণিল স্বপ্ন গুলি সবি হলো মোর বৃথা।

হটাৎ, এক অভিমানী ঝড় ভেঙেছে দৈব বড়
নিরাশ করে হৃদয়, কাঁদিয়ে আঁখি দ্বয়
অশ্রু জলে বিসর্জিত হলো সেই আশার বাতিঘর।

তাই কো আমি ভুলিনি আজো, ভুলিনি কোন ক্ষণে
নিরাশার চাদর জড়িয়ে শরীরে পালায়নি বনে!
শুধু, কিছু স্মৃতি কথা, বেজে বিষের-বীণ; দংশে এ প্রাণে।

Tag :

আজো পড়ে মনে বিধান কুমার বিশ্বাস

প্রকাশিত : ১১:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০২৩

আজো পড়ে মনে
বিধান কুমার বিশ্বাস

 

আর কখনো হবে না দেখা সেই কদম্বেরি তলে
দুজনে দাঁড়িয়ে একেলা উদাস দুপুর বেলা
ঝরিত কতো পাপড়ি আপনি ছলে।

আর কি হবে কথা, ওগো! সেই মেঠো পথের বাকে
দুজনে কতো করেছি হেলা যতো বেলা
হাটুরে যেত হাঁটে, সময়ের ফাঁকে ফাঁকে।

আর কখনো কি শুনিব না? তোমার নুপুরের ধ্বনি
আঁড়ি পেতে কান তোমারি অপেক্ষায়, প্রহর গুনিত
অপেক্ষায় থাকা আক্ষেপে মড়িত মন; দিবা হতে রজনী।

যখন, দিবাকর উদিত হতো পূর্বের রক্তিম গগনে
তুমি যেতে পড়িতে, আপন ইচ্ছায় প্রভাত ফেরীতে;
নুপরের ধ্বনি শুনে, বাতায়নের ফাঁকে দেখিতাম আপন নয়নে।

স্নানের বেলায় আসিতে তুমি, বসতে চৌড়ি তলে
দু’দণ্ড কথায়, হেরিতে সব; তোমা নিজ হিতে
আবার, ফিরিবার সময় জলের ছিটায় ভিজিয়ে যেতে মোরে।

সেদিনের কথা ভুলিনি গো, আজো আছে মোড় মনে
ব্যাথা যন্ত্রণা আজ, এ প্রাণ কেড়ে নেবার লয়নৃত্যে!
তবুও, স্মৃতি আঁকড়ে বাচার আকুতি সেই স্মৃতি চারণে।

কখনো আসিতে রেগে-জেদে, কখনো বা অভিমানে
সেই বাৎসল্যতায় হারিয়ে নিজেকে বুঝাতাম কতো ছলে
মুগ্ধ নয়নে অবলোকন করিতাম শুধু তোমারি পানে।

কতো এসে হায়, জেদ করিতে কারণে অকারণে
তোমার জেদে পরাস্ত হৃদয় ভুলে যেত আপনারে
ভাঙিতে সে জেদ, কতোকুটু কথা; সয়েছি এ প্রাণে।

হুংকারে মোরে ডাকিতে তুমি, আসি মোর প্রাঙ্গনে
পর্বত সম জেদ রাগে তুমি, গর্জে উঠতে বজ্রে;
রাগী নি আমি! ভেসেছে প্রেম, আপন দু নয়নে।

জোড় করে কতো চরিতে পিছে, কতো আকুতিতে;
বায়ু কে পিছে ফেলে দুপায়ে চালিয়ে দু-চক্রযান
তারুণ্যে ছুটিতাম যখন আপন ইচ্ছে, নানা দিগন্তে।

কত না আঘাত সয়েছি আমি, তখন তোমা হতে
কেও কিছু বললে, রাগ অভিমানে দিশেহারা তুমি
কখনো এসে বাক্য দংশনে বারং বার দংশাতে মোরে।

কখনো বা মটোর যান, কখনো বা স্মার্ট মোবাইল;
শিখাতে হবে চালাতে, নইলে যে; বড্ড মুশকিল
সযত্নে শিখায়ে প্রেমে ভাসিয়ে মোর নয়ন পদ্ম বিল।

কত-শত আড়ি দিয়াছিলুম পারি আপন কষ্ট ভুলি!
হৃদয়ের আনন্দে প্রেম তরঙ্গে তোমারি ভাবনায় ডুবি,
তোমাতেই মত্ত হইতো চিত্ত ফুটিয়ে প্রেম কুড়ি।

মোর পবিত্র প্রেম নিবেদনে, পেতে তোমারি মিলনসুধা
কেন যেন, কোন অভিমানে; ফিরায়ে ভাঙিলে সকলি!
কোথায় হাড়িয়ে বর্ণিল স্বপ্ন গুলি সবি হলো মোর বৃথা।

হটাৎ, এক অভিমানী ঝড় ভেঙেছে দৈব বড়
নিরাশ করে হৃদয়, কাঁদিয়ে আঁখি দ্বয়
অশ্রু জলে বিসর্জিত হলো সেই আশার বাতিঘর।

তাই কো আমি ভুলিনি আজো, ভুলিনি কোন ক্ষণে
নিরাশার চাদর জড়িয়ে শরীরে পালায়নি বনে!
শুধু, কিছু স্মৃতি কথা, বেজে বিষের-বীণ; দংশে এ প্রাণে।