
রাজবাড়ীর কামারপট্টিতে ব্যস্ততা আছে, নেই সন্তুষ্টি
স্টাফ রিপোর্টার:
ঈদকে সামনে রেখে রাজবাড়ী শহরের কামারপট্টি কর্মকারেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। সোমবার দুপুরে কামারপট্টিতে গিয়ে দেখা যায়, কেউ হাতুড়ি দিয়ে লোহা পেটাতে ব্যস্ত, কেউ বা ছুরি ধার দিতে। কেউ হাতে কামারশালার হাপর টেনে আগুনে উত্তাপ বাড়িয়ে লোহা পোড়াচ্ছে।
দীর্ঘ ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ পেশায় জড়িত সুশীল নামের এক কর্মকার জানান, কোরবানির ঈদের জন্য তারা সারা বছর প্রতীক্ষায় থাকেন। এ বছর কাজের ব্যস্ততা থাকলেও এখন পর্যন্ত আয়-রোজগার সন্তোষজনক নয়। তবে সামনে যে কদিন দিন আছে, এর মধ্যে রোজগার হয়তো বাড়তে পারে।
একই কথা জানালেন সুকুমার নামে সত্তরোর্ধ্ব আরেক কর্মকার। বছরের অন্য সময়ে চার-পাঁচশ টাকা হলেও ঈদের আগে দিনে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা রোজগার হচ্ছে বলে জানান আরেক কর্মকার ভবেশ।
ফটিক কর্মকার নামে অন্য একজন জানান, ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি দা তৈরিতে প্রকারভেদে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা। চাকু ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, বড় ছুরি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, বটি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা।
চাপাতি, চাকু, ছুরি ধার করাতে আসা তরিকুল ইসলাম বলেন, সারাবছর এসব জিনিসের ব্যবহার না থাকায় মরিচা ধরে গেছে। তাই কামারের দোকানে এসেছেন ধার করিয়ে নিতে।
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা নাজিম মণ্ডল নামে একজন এসেছেন কোরবানির পশু জবাইয়ের জন্য বড় একটি ছুরি বানিয়ে নিতে। সেইসঙ্গে বাড়িতে থাকা দা-বটি, চাপাতিতে শান দেওয়াবেন তিনি।