রাজবাড়ী ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কৃষকদের আশার আলো দেখাচ্ছে সমলয় প্রকল্প ।

  • রাজবাড়ী সময় ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১০:১২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩
  • ৬৩২ বার পড়া হয়েছে

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)প্রতিনিধি।

কৃষিকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে উন্নত ফসল ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। এরই ধারাবাহিতকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সমালয়ে চাষাবাদ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নে দেখা গেছে বীজতলা তৈরির নতুন এক ভিন্ন চিত্র। 

জানা যায়, মানুষ বাড়লেও, বাড়ছে না কৃষি জমি। তাই স্বল্প জমিতে অধিক ধান উৎপাদন করে মানুষের খাদ্য চাহিদা পুরণ করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনায় গোয়ালন্দ  উপজেলায় প্রথমবারের মতো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধিতে বোরো ধান চাষাবাদের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারি কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকরা নতুন মাত্রায় ট্রে-তে বীজতলা তৈরি শুরু করছেন।

গতকাল বুধবার (৪ জানুয়ারি)  সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়ন  ব্লকে ৮০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে বোরো ধানের সমালয়ে চাষাবাদ ট্রেতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে এবং এগুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।তবে এবার ট্রেতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়। 

তেনাপচা গ্রামের কৃষক ইদ্রিচ আলী সেক,  রোকন উদ্দিন শেখ, সাদ্দাম হোসেন সহ সুবিধাভোগী কৃষকরা জানায়, বোরো ধান চাষাবাদে আগে কখনো ট্রে-তে ধানচারা উৎপাদন করা হয়নি। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় এই প্রথমে ট্রে-তে বীজ বপন করা হচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়তো ভালো চারা ও অধিক ফলন নেয়া যেতে পারে। তাছাড়া বিনামূল্যে ধানের চারা, বীজ বপন ও কর্তনের সুবিধা পেয়ে তারা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

দেবগ্রাম ইউনিয়ন ব্লকের কৃষি বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা  মিলন মন্ডল জানান, এ বছর সরকারের বিশেষ প্রণোদনা কর্মসূচির মাধ্যমে সমলয় চাষাবাদ আওতায় আনা হয়েছে  ১৫০ বিঘা জমিতে। তিনি জানান বর্তমান সরকারের এই সহায়তায় বাংলার কৃষকরা উৎপাদন খরচ কম এবং বেশি লাভবান হওয়ায় কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে ঝুঁকছে।

 উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খোকন উজ্জামান কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন। তিনি আরও জানান, ট্রেতে বীজতলা তৈরি করা হয় ১৬ ডিসেম্বর। চারার বয়স এখন ১৩ দিন চলছে। ৩০ দিন হলেই জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে কৃষকের জমিতে চারা রোপণ করে দেয়া হবে। পাশাপাশি কৃষকরা কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে কৃষকদের ধান কর্তনও করে দেওয়া হবে। যা বিগত দই বছর ধরে সরকার এই প্রনোদনা বাস্তবায়ন করে আসছে

Tag :

কৃষকদের আশার আলো দেখাচ্ছে সমলয় প্রকল্প ।

প্রকাশিত : ১০:১২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৩

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)প্রতিনিধি।

কৃষিকে আধুনিকায়নের মাধ্যমে উন্নত ফসল ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। এরই ধারাবাহিতকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সমালয়ে চাষাবাদ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নে দেখা গেছে বীজতলা তৈরির নতুন এক ভিন্ন চিত্র। 

জানা যায়, মানুষ বাড়লেও, বাড়ছে না কৃষি জমি। তাই স্বল্প জমিতে অধিক ধান উৎপাদন করে মানুষের খাদ্য চাহিদা পুরণ করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এমন নির্দেশনায় গোয়ালন্দ  উপজেলায় প্রথমবারের মতো উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সমলয় পদ্ধিতে বোরো ধান চাষাবাদের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে সরকারি কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষকরা নতুন মাত্রায় ট্রে-তে বীজতলা তৈরি শুরু করছেন।

গতকাল বুধবার (৪ জানুয়ারি)  সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়ন  ব্লকে ৮০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে বোরো ধানের সমালয়ে চাষাবাদ ট্রেতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে এবং এগুলো পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।তবে এবার ট্রেতে বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে নতুন প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়। 

তেনাপচা গ্রামের কৃষক ইদ্রিচ আলী সেক,  রোকন উদ্দিন শেখ, সাদ্দাম হোসেন সহ সুবিধাভোগী কৃষকরা জানায়, বোরো ধান চাষাবাদে আগে কখনো ট্রে-তে ধানচারা উৎপাদন করা হয়নি। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় এই প্রথমে ট্রে-তে বীজ বপন করা হচ্ছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়তো ভালো চারা ও অধিক ফলন নেয়া যেতে পারে। তাছাড়া বিনামূল্যে ধানের চারা, বীজ বপন ও কর্তনের সুবিধা পেয়ে তারা সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

দেবগ্রাম ইউনিয়ন ব্লকের কৃষি বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা  মিলন মন্ডল জানান, এ বছর সরকারের বিশেষ প্রণোদনা কর্মসূচির মাধ্যমে সমলয় চাষাবাদ আওতায় আনা হয়েছে  ১৫০ বিঘা জমিতে। তিনি জানান বর্তমান সরকারের এই সহায়তায় বাংলার কৃষকরা উৎপাদন খরচ কম এবং বেশি লাভবান হওয়ায় কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে ঝুঁকছে।

 উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খোকন উজ্জামান কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন। তিনি আরও জানান, ট্রেতে বীজতলা তৈরি করা হয় ১৬ ডিসেম্বর। চারার বয়স এখন ১৩ দিন চলছে। ৩০ দিন হলেই জমিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের মাধ্যমে কৃষকের জমিতে চারা রোপণ করে দেয়া হবে। পাশাপাশি কৃষকরা কম্বাইন্ড হারভেস্টারের মাধ্যমে কৃষকদের ধান কর্তনও করে দেওয়া হবে। যা বিগত দই বছর ধরে সরকার এই প্রনোদনা বাস্তবায়ন করে আসছে