রাজবাড়ী ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ

মীর মশাররফ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলা সাহিত্যের দিকপাল, ঊনবিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম সাহিত্যিক ও কালজয়ী উপন্যাস ‘বিষাদ সিন্ধু’ রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের ১১২তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার পালিত হয়েছে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুরে তার স্মৃতিকেন্দ্রে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

কালজয়ী সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলা লাহিনীপাড়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী নবাব স্টেটে বসবাস করতেন। এখানেই তিনি ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। পদমদীতে তাকে সমাহিত করা হয়। পরে এখানে তার স্মৃতি রক্ষার্থে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পদমদীতে মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়।

সাহিত্য ক্ষেত্রে মীর মশাররফ হোসেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও ধর্ম বিষয়ক ৩৭টি বই রচনা করেছেন। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেছেন তিনি। মীর মশাররফ হোসেনের রচনা সমগ্রের মধ্যে বিষাদ সিন্ধু, জমিদার দর্পণ, গৌরি সেতু, বসন্ত কুমারী, সংগীত লহরী, উদাসীন পথিকের মনের কথা, মদিনার গৌরব উল্লেখযোগ্য।

Tag :

রাজবাড়ীতে অগ্নিযুগের বিপ্লবী  কমরেড নেতা আশুভরদ্বাজের ৩২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

মীর মশাররফ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত : ০৬:০৭:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলা সাহিত্যের দিকপাল, ঊনবিংশ শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম সাহিত্যিক ও কালজয়ী উপন্যাস ‘বিষাদ সিন্ধু’ রচয়িতা মীর মশাররফ হোসেনের ১১২তম মৃত্যুবার্ষিকী সোমবার পালিত হয়েছে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সকালে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুরে তার স্মৃতিকেন্দ্রে পুষ্পমাল্য অর্পণ, আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

কালজয়ী সাহিত্যিক মীর মশাররফ হোসেন ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলা লাহিনীপাড়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের পদমদী নবাব স্টেটে বসবাস করতেন। এখানেই তিনি ১৯১১ সালের ১৯ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। পদমদীতে তাকে সমাহিত করা হয়। পরে এখানে তার স্মৃতি রক্ষার্থে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পদমদীতে মীর মশাররফ হোসেন স্মৃতি কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়।

সাহিত্য ক্ষেত্রে মীর মশাররফ হোসেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। গল্প, উপন্যাস, নাটক, কবিতা, আত্মজীবনী, প্রবন্ধ ও ধর্ম বিষয়ক ৩৭টি বই রচনা করেছেন। সাহিত্য রচনার পাশাপাশি কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেছেন তিনি। মীর মশাররফ হোসেনের রচনা সমগ্রের মধ্যে বিষাদ সিন্ধু, জমিদার দর্পণ, গৌরি সেতু, বসন্ত কুমারী, সংগীত লহরী, উদাসীন পথিকের মনের কথা, মদিনার গৌরব উল্লেখযোগ্য।