
স্টাফ রিপোর্টার
কৃষ্ণ কুমার সরকার
পুরোনোকে বিদায় করে আসছে বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ। সারা দেশে তাই উৎসবের আমেজে চলছে বাঙালির প্রাণের উৎসবের প্রস্তুতি। প্রতি বছরের মতোই রাজধানীর রমনা বটমূলে গান, কবিতা ও নানা আয়োজনে নববর্ষকে বরণ করবে ছায়ানট। সেই সঙ্গে রাজবাড়ী জেলায় সারাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে আয়োজন।রাজবাড়ী বাশীর উদ্যোগে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হবে সকালে।
থাকবে শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নানা আয়োজন।
এবারের বর্ষবরণের প্রতিপাদ্য ‘স্বাভাবিকতা ও পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতির সাধনা’। এই অনুষ্ঠান ঘিরে এখন চলছে মঞ্চ তৈরিসহ চূড়ান্ত প্রস্তুতি। অনুষ্ঠানস্থলের সীমারেখা টানা হচ্ছে।
বৈশাখের আয়োজন ঘিরে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে গোটা এলাকায় থাকবে প্রশাসনের দৃষ্টি । অন্যদিকে জেলার বিভিন্ন সংগঠনের প্রায় দেড়শ শিল্পীকে নিয়ে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের চূড়ান্ত মহড়া চলছে।
পহেলা বৈশাখের আগের দিন মঞ্চে শিল্পীরা চূড়ান্ত মহড়ার অংশ নেবেন।
পহেলা বৈশাখ সকাল ৯টায় মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হবে। সেখানে চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি। রাজবাড়ী বাসী প্রাণের টানে ছুটে আসবেন মঙ্গল শোভাযাত্রায়।
মঙ্গল শোভাযাত্রার আহ্বায়ক জানান, কাঠামোর পাশাপাশি এবার মুখোশ, বড় মুখোশ, গাজীর পটের দুটি চিত্র বাঙালি সংস্কৃতির অংশ হিসেবে থাকবে। এবারের শোভাযাত্রায় বৈচিত্র্য আনা হয়েছে মোটিফ ও কালারের মাধ্যমে।
এদিকে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জেলায় জেলায় বর্ষবরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। এবার তাদের পহেলা বৈশাখের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠানটি হবে যশোরে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সকল যায়গায় নববর্ষ পালনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে।
রাজবাড়ী শিল্প কলায় বর্ষবরণ উদযাপনের আয়োজন চলছে। পহেলা বৈশাখে সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানের সদস্যরা সপরিবারে খেজুরের সকলে পান্তা ভাত পেঁয়াজ কাঁচা মরিচ, গুড়ের পায়েস, মুড়ি-মুড়কি, বাতাসা দিয়ে মিষ্টি মুখ করবেন। বাচ্চাদের জন্য নাগরদোলা, বায়োস্কোপসহ নানা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এ উদযাপন কমিটি।