
রাজু আহমেদ, রাজবাড়ী
শুরু হয়েছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ইবাদতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। ৫০টাকার নিচে মিলছে না কোন সবজি। এছাড়া ব্রয়লার মুরগী কেজি ২২০ টাকা, কক মুরগী ৩২০ ও গরুর গোস্ত ৯শ থেকে হাজার টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে মাছ ও সবজির বাজারে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় খানখানাপুর এবং গোয়ালন্দ বাজারে কাঁচা বাজার ও মাছ বাজার গিয়ে দেখা যায়, করোলার কেজি ১৪০, মুলা ৬০, কচুর লতি ১২০টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০, কুমড়া ৫০, টমেটো ৫০, ধুন্দুল ৭০, কাঁচা পেপে ৩৫, ঝিঙ্গা ৭০, চিচিঙ্গা ৬০, পাতাকপি ১০০, পাতাকপি ১পিস ৫০, দেশী সীম ৮০/১০০, বরবটি ১২০টাকা কেজিদরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া ছোট আকারের কাঁচকলার হালি ৬০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কথা হয় হানিফ নামের একজন সবজি ব্যবসায়ীর সাথে । তিনি বলেন, আমরা করবো কি ভাই আমাদেরও তো বেশি দিয়ে কিনে আনতে হয় আমাদের তখন কিছু করার থাকেনা আমরাও হতাশের মধ্যে আছি। আমার সংসারে ও প্রত্যেক মাসে একবস্তা চাউল লাগে যার দাম ১৮০০ থেকে ২০০০ টাকা টাকা, তেল-নুন-পেঁয়াজ কিনতেই চলে যায় হাজার পাঁচেক। সপ্তাহে একদিন সবজি এবং মাছ বাজারে গেলে ১ হাজার টাকার মতো লাগে। সবজি বা মাছ বাজারে যাই সন্ধার পরে। যদি কিছুটা কম পাওয়া যায়। বাড়ীতে গরুর গোস্ত খেতে চাইলে নিতে পারি না অনেক দাম।
এমনিভাবে কথা হয়, ফরিদ উদ্দিন, সোহেল রানাসহ ৫/৬জন ক্রেতার সাথে।
সবারই আক্ষেপ, এ দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পিঁছনে নানান অজুহাত থাকলেও আমাদের আয় বৃদ্ধির কোন অজুহাত নেই। সারাদিন গাধার মতো পরিশ্রম করেও মাসিক খাবারের খরচ কোনভাবেই মেটাতে পারছি না। প্রতি মাসে ৮/১০ হাজার টাকা ঋণ হয়ে পড়ি।
রফিক নামের বাজারের এক সবজি ব্যবসায়ী জানান, গত এক মাসের তুলনায় কেজি প্রতি বেড়েছে ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ। পাইকারী বাজারেও বেশি। আমরা নিজেরাও ধারদেনা করে এখন ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন পাইকারী ব্যবসায়ী জানান, আমরাও সবজি বেশি দাম দিয়ে আনতে হয়। বাধ্য হয়ে মালও কম আনি এখন। কি করবো, পাইকারী বাজারে বস্তা প্রতি সবজির দাম বেড়েছে ৩ থেকে ৪শ টাকা।