
রাজবাড়ী প্রতিনিধি ॥
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া মুন্সি ইয়ার উদ্দিন আহম্মেদ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোচিং ফির টাকা দিতে না পারায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র আটকে রাখা, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে আলোচনা ও প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই শিক্ষা সফরে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্কুলের নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য মোঃ বাদশা মোল্যা, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোঃ মাসুদুর রহমান, রিনা পারভীন, সোহেল রানা বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোরশেদা বেগম দীর্ঘদিন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির কোন মিটিং ডাকেন না। ইচ্ছামতো স্কুলে আসা-যাওয়া ও পরিচালনা করে আসছেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারী স্কুলের শিক্ষা সফরে সোনারগাঁও শিক্ষার্থীদের নিয়ে যান। এ বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে কোন প্রকার আলোচনা ও মিটিং করেননি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট থেকে শিক্ষা সফরের অনুমতি নেওয়ার বিধান থাকলেও কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই শিক্ষা সফরে যান। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র আটকে রেখে কোচিং ফির নামে শিক্ষার্থী প্রতি ৩ হাজার টাকা করে আদায় করেন। এটা দুঃখজনক। বিষয়টি প্রশাসনকে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাচ্ছি।
এসএসসি পরীক্ষার্থী মরিয়ম আক্তারের পিতা বাদাম বিক্রেতা আক্তার হোসেন বলেন, কোন মতো বাদাম বিক্রি করে সংসার চলে। কোচিং ফি বাবদ প্রধান শিক্ষকের দাবীকৃত ৩ হাজার টাকা দিতে না পারায় প্রবেশপত্র আটকে রাখে। পরে হাওলাত করে টাকা পরিশোধের পর প্রবেশপত্র দিয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিকট মৌখিক অভিযোগ করেছি।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে স্কুলে প্রধান শিক্ষক মোরশেদা বেগমের সাথে কথা বলতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার ফোনে কল দিলেও ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অন্যান্য শিক্ষকরা বলেন, কোথায় আছে, বা কখন আসবে তাদের জানা নেই।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ হাসিবুল হাসান বলেন, অনুমতি না নিয়ে শিক্ষা সফরে যাওয়ায় প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হবে। শোকজের জবাব প্রদানের পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজবাড়ী জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকদের অনুমতি ছাড়া শিক্ষা সফরে যেতে পারে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।