
রাজু আহমেদ, রাজবাড়ী:
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ঘাট রেলস্টেশনের ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় জরাজীর্ণ হয়ে গেছে। সেই ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে রেল স্টেশনের কর্মকর্তারা প্রতিনিয়ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ভবনটির বিভিন্ন স্থানে দেওয়াল ঘসে গেছে ও বারান্দা ও চালের টিনের জং পড়ে বড় বড় ফুটো হয়ে গেছে। কোন রকম বৃষ্টি হলে সেখান দিয়ে বৃষ্টির পানি পড়ে। প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রসহ নথিপত্র নষ্ট হচ্ছে। তাদের দাবি গোয়ালন্দর ঘাটের রেলস্টেশনের নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা হোক ।
স্থানীয়রা জানান, গোয়ালন্দ ঘাট রেলস্টেশনের ভবনটি অনেক পুরাতন। যার ফলে ভবনটির বিভিন্ন স্থান থেকে টিন ফুটো হয়ে গেছে। ভবনটির দেওয়াল বিভিন্ন স্থান থেকে ধসে পড়ছে। ভবনের বারান্দা ও চালের টিন গুলো ফুটো হয়ে গেছে। ভবনটি নতুন করে সংস্কার না করা হলে যে কোন মুহূর্তে দোষে পড়বে। তারপর আবার একে একে বন্ধ হয়ে গেছে গোয়ালন্দ ঘাট রেল স্টেশনে আগত ট্রেন। এখন শুধু একটি ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় ঐতিহ্যবাহী রেলস্টেশনটিকে। এতে করে চরম বিপকে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশদ্বার খ্যাত ঐতিহ্যবাহী গোয়ালন্দ ঘাট রেলস্টেশন কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানগুলো।
এই বিষয় মোঃ সোহেল মিয়া জানান, আমি ১৬ বছর যাবত এই স্টেশনে ছোট্ট একটি ব্যবসা করে আসছি। আমি দেখছি এই ভবনটির বিভিন্ন টিনের চালে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় জংয়ের ফোটা দেখা দিয়েছে। কোন রকম বৃষ্টি হলে সেখান দিয়ে অঝরে পানি পড়ে। যাত্রীসহ স্টেশনে কর্মকর্তারা কেউ ঘরে বসে থাকতে পারেনা ভিজে যায়। ভবনের দেওয়ালো কিছু কিছু স্থানে ধসে পড়ছে। সংস্কা করা না হলে ভবনটি ধসে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ভবনটি সংস্কার করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
হাসিনা বেগম বলেন আমি ১৯ বছর ধরে এই স্টেশনে পিঠা বিক্রি করে আসছি। এই স্টেশনে দুপুরে কোন ট্রেন না থাকায় যাত্রীরা এসে ফিরে চলে যায়। স্টেশনের ভবনের টিনগুলো ফুটা হয়ে যাওয়া বারান্দায় কোন যাত্রীরা বসতে পারে না। চালের টিন ফুটা হয়ে যাওয়ায় মাস্টার রুমে পানি পড়ে কাগজ পত্রসহ সকল জিনিসপত্র ভিজে যায়। তাই অতি জরুরি ভাবে স্টেশনের ভবনটি সংস্কার করার দরকার।
আরেক ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন বলেন , আমি স্টেশনে ৩০ বছর যাবত ব্যবসা করে আসছি। স্টেশনের ভবনটির দেওয়াল গুলো ধসে পড়ছে জাগায় জাগায় টিন গুলো জং পড়ে নষ্ট হয়ে ফুটা হয়ে গেছে সেখান দিয়ে পানি পড়ে। সব জায়গায় স্টেশনগুলোতে নতুন ভবন হয়েছে আমাদের এই স্টেশনে এখনো কোন নতুন ভবন হয়নি। তাই খুব তাড়াতাড়ি আমাদের এই স্টেশনে নতুন একটি সেড দরকার। নতুন একটি সেড হলে যাত্রীরা এসে বসতে পারবে।
এ বিষয় গোয়ালন্দ ঘাট রেলস্টেশন মাষ্টার এস এম মনির আহমেদ বলেন,গোয়ালণ্দ ঘাট স্টেশন মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব আছি। স্টেশনের স্থাপনা গুলো অনেক দিনের পুরানো হওয়ায় অধিকাংশ জায়গা দিয়ে পানি পড়ে।১৯৮৪ সালে স্টেশনে ভবনটি তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে এই ভবনটি।অতি দ্রুত সংস্কার করা দরকার। আমরা আমাদের ঊর্ধ্বতম কতৃপক্ষকে জানিয়েছি বিষয়টি। তারা আশ্বস্ত করেছে অচিরেই ভবনটির সংস্কার করবে।