রাজবাড়ী ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দ মোড়ে শিক্ষক দম্পতি অজ্ঞান, হাসপাতালে স্বামীর মৃত্যু

দেওয়ান আলিফ, রাজবাড়ী:

গোয়ালন্দ মোড় শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের আহলাদীপুর গ্রামে গত শুক্রবার গভীর রাতে (২ ফেব্রæয়ারী) অজ্ঞানপার্টির ক্ষপরে রতন কুমার দাস ও তার স্ত্রী কণিকা রানী নাগ এর গৃহে প্রবেশ করে। অজ্ঞান পার্টির লোকেরা শিক্ষক দম্পতিকে অজ্ঞান করে বাড়ীর নগদ টাকা, স্বর্ণাংকার, মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। শনিবার সকালে (৩ ফেব্রæয়ারী) সকালে কণিকা রানী নাগ এর প্রাইভেট ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়ীতে এসে স্যার স্যার বলে ডাকাডাকি করে। কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে একছাত্রীর মা গৃহের দরজা খোলা পেয়ে প্রবেশ করে। এ সময় তিনি শিক্ষক দম্পতিকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাড়ীর আশেপাশের লোকজনকে জানায়। রতন কুমার দাসের ছোটভাই নান্টু দাস (৫৮) উভয়কেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করে। ভর্তির পর (৪ ফেব্রæয়ারী) রাত আড়াইটার দিকে রতন কুমার দাস (৭০) মারা যায়। সে শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার পিতার নাম মৃত- বিপিন কুমার দাস। রতন কুমার দাসের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী কণিকা রানী নাগ (৫৬) কে ঢাকা মেডিকেল থেকে পাশ^বর্তী একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে। তার জ্ঞান এখনও ফেরেনি। রতন দাসের লাশ ঢাকা মেডিকেলে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে রাখা হয়েছে। কণিকা রানী নাগ মধুপুর ছকিরননেছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মৃত রতন কুমার দাসের ছোট ভাই নান্টু দাস রবিবার বিকাল ৪ টায় জানান, তার পাশ^বর্তী বাড়ীতে বড় দা ও বৌদি বসবাস করতো। এক ছেলে ও এক মেয়ে ঢাকায় থাকে। রতন কুমার দাসের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, ফরিদপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) সিআইডি পুলিশ পৃথক পৃথক ভাবে ছায়া তদন্ত করছে। ঘটনার দুই দিন পর সিআইডি পুলিশের পরিদর্শনে প্রকৃত আলামত পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাড়িয়েছে। খানখানাপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এসআই মোঃ কামরুজ্জামান শিকদার রবিবার বিকেলে জানান, এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নি।

Tag :

গোয়ালন্দ মোড়ে শিক্ষক দম্পতি অজ্ঞান, হাসপাতালে স্বামীর মৃত্যু

প্রকাশিত : ১২:৪৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দেওয়ান আলিফ, রাজবাড়ী:

গোয়ালন্দ মোড় শহীদওহাবপুর ইউনিয়নের আহলাদীপুর গ্রামে গত শুক্রবার গভীর রাতে (২ ফেব্রæয়ারী) অজ্ঞানপার্টির ক্ষপরে রতন কুমার দাস ও তার স্ত্রী কণিকা রানী নাগ এর গৃহে প্রবেশ করে। অজ্ঞান পার্টির লোকেরা শিক্ষক দম্পতিকে অজ্ঞান করে বাড়ীর নগদ টাকা, স্বর্ণাংকার, মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। শনিবার সকালে (৩ ফেব্রæয়ারী) সকালে কণিকা রানী নাগ এর প্রাইভেট ছাত্র-ছাত্রীরা বাড়ীতে এসে স্যার স্যার বলে ডাকাডাকি করে। কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে একছাত্রীর মা গৃহের দরজা খোলা পেয়ে প্রবেশ করে। এ সময় তিনি শিক্ষক দম্পতিকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাড়ীর আশেপাশের লোকজনকে জানায়। রতন কুমার দাসের ছোটভাই নান্টু দাস (৫৮) উভয়কেই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করে। ভর্তির পর (৪ ফেব্রæয়ারী) রাত আড়াইটার দিকে রতন কুমার দাস (৭০) মারা যায়। সে শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার পিতার নাম মৃত- বিপিন কুমার দাস। রতন কুমার দাসের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী কণিকা রানী নাগ (৫৬) কে ঢাকা মেডিকেল থেকে পাশ^বর্তী একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে। তার জ্ঞান এখনও ফেরেনি। রতন দাসের লাশ ঢাকা মেডিকেলে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে রাখা হয়েছে। কণিকা রানী নাগ মধুপুর ছকিরননেছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। মৃত রতন কুমার দাসের ছোট ভাই নান্টু দাস রবিবার বিকাল ৪ টায় জানান, তার পাশ^বর্তী বাড়ীতে বড় দা ও বৌদি বসবাস করতো। এক ছেলে ও এক মেয়ে ঢাকায় থাকে। রতন কুমার দাসের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে রাজবাড়ী জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা, ফরিদপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) সিআইডি পুলিশ পৃথক পৃথক ভাবে ছায়া তদন্ত করছে। ঘটনার দুই দিন পর সিআইডি পুলিশের পরিদর্শনে প্রকৃত আলামত পাওয়া দুষ্কর হয়ে দাড়িয়েছে। খানখানাপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এসআই মোঃ কামরুজ্জামান শিকদার রবিবার বিকেলে জানান, এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নি।