
ফরিদপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
পল্লব রায়
ফরিদপুরে জনসভায় শেখ হাসিনা
নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে ফরিদপুরে পৌঁছান আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেল সোয়া ৩টায় পৌরশহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠের মঞ্চে ওঠেন তিনি। এ সময় নৌকার প্রার্থীরা এবং দলের নেতারা তাকে স্বাগত জানান।
তিনি বলেন, “এ (ফরিদপুরের) মাটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মাটি, এই মাটি খাঁটি মাটি। কাজেই একমাত্র নৌকা; এই নৌকা মার্কা- সেই দিবে আপনাদের সমাধান। কাজেই সেই কথাটাই সবাইকে মনে রাখতে হবে।”
আরো বলেছেন, “আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য করার ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। অনেককে একেবারে সেই বলতে গেলে নর্দমা থেকে টেনে তোলা হয়েছে। তাদের পয়সা বানানোর, ব্যবসা-বাণিজ্য করার সুযোগ দিয়েছি; মিডিয়া চালানোর সুযোগ দিয়েছি। এখন তারা টাকা ছড়ায়; তারা মনে করে, টাকা দিয়েই সব কেনা যাবে।
প্রায় ৪০ মিনিটের বক্তৃতায় তার সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে দেশকে আরও এগিয়ে নিতে আবারো নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
এর আগে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুরের জনসভার উদ্দেশ্যে ঢাকা থেকে যাত্রা করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তার নির্বাচনী প্রচারণা ঘিরে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ। শীতের আড়মোড়া ভেঙে সকাল থেকেই জনসভার আশপাশের এলাকায় জড়ো হন তারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে প্রবেশ করেন নেতাকর্মীরা।
ফরিদপুর শহরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ গিয়েছিলেন ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ। ওইদিন বিকেলে তিনি এ রাজেন্দ্র কলেজ মাঠেই বক্তব্য দিয়েছিলেন।
তফসিল অনুযায়ী আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হয় ১৮ ডিসেম্বর। সে দিন থেকেই প্রচারণায় নামেন সব প্রার্থী। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারণা চালানো যাবে। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
যাচাই-বাছাই ও আপিল নিষ্পত্তি শেষে ইসি জানায়, ২৭ রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার আগের দিন আওয়ামী লীগ ও তার শরীক দলগুলো এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্ধারণ শেষ হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ শরিক ১৪ দলকে ৬টি, জাতীয় পার্টিকে ২৬ আসনে ছাড় দেয়। দলটি প্রার্থী দিয়েছে ২৬৩টি আসনে।