রাজবাড়ী ০৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
 রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জামালপুর ইউনিয়ন বিএনপির  জনসভা  গোয়ালন্দ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন রাজবাড়ীতে ১ হাজার পিস ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী আরিফ গ্রেপ্তার অগ্নিযুগের বিপ্লবী কমরেড আশুভরদ্বাজ  লাল সালাম বালিয়াকান্দিতে ভোক্তা অধিকার অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানে ১২ হাজার টাকা জরিমানা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম গ্রেফতার রাজবাড়ীতে অগ্নিযুগের বিপ্লবী  কমরেড নেতা আশুভরদ্বাজের ৩২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত রাজবাড়ী বালিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলায় আ. লীগের ১০ নেতা কারাগারে রাজবাড়ীতে বর্ণাঢ্য পহেলা বৈশাখ উদযাপিত।

ফরিদপুর জেলায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত চাষিরা

ফরিদপুর উপজেলা প্রতিনিধি
পল্লব রায়

ফরিদপুর জেলায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত চাষিরা

ফরিদপুর জেলায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে লক্ষাধিক মেট্রিকটন। এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ জমিতে শেষ হয়েছে চাষাবাদ। এ পেঁয়াজ ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে বাজারে উঠবে বলে আশাবাদী হচ্ছেন চাষিরা।

জানা গেছে, দেশের মোট পেঁয়াজ উৎপাদনের স্থানের দিক থেকে ফরিদপুর জেলা দ্বিতীয় অবস্থান করছে। এ জেলায় মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ চাষের জন্য উপযোগী। বর্তমানে এ জেলায় বছরের তিন প্রকারের পেঁয়াজের আবাদ হয়। এর মধ্যে রয়েছে হালি পেঁয়াজ, দানা পেঁয়াজ ও মুড়িকাটা পেঁয়াজ।

 

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরকারি হিসাব অনুযায়ী প্রতি হেক্টর জমিতে ১৬ থেকে ২০ মেট্রিকটন মুড়িকাটা পেঁয়াজের উৎপাদন হবে বলে আশাকরা হচ্ছে। জেলায় চলতি মৌসুমে ৫ হাজার হেক্টরের অধিক জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ হচ্ছে। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ মেট্রিকটনের বেশি।

 

জেলার বিভিন্নস্থানে দেখা যায়, শীতকালীন মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। কেউ নিড়ানি দিচ্ছেন, কেউ সেচের মাধ্যমে জমিতে জল দিচ্ছেন।।

 

ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের পেঁয়াজ চাষি এক কৃষক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পেঁয়াজের ভাল ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সার, কিটনাশক, শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচও বেশি হচ্ছে । তবে বাজার দর কৃষক পর্যায়ে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দর পেলে লাভবান হওয়া সম্ভব হবে বলে জানায়।।

 

এ ব্যাপারে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ অঞ্চলের মাটি পেঁয়াজ চাষে জন্য উপযুক্ত। এ জেলায় বছরে তিন প্রকারের পেঁয়াজের আবাদ হয়। এরমধ্যে রয়েছে হালি পেঁয়াজ, দানা পেঁয়াজ ও মুড়িকাটা পেঁয়াজ। শীতকালে শুধু ফরিদপুর অঞ্চলেই এ পেঁয়াজের আবাদ হয়ে থাকে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে চাষিরা মুড়িকাটা ভাল্ব সংগ্রহ করে ক্ষেতে রোপণ করে। ৪০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে ফসল ঘরে তোলা সম্ভব।

Tag :

 রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নে জামালপুর ইউনিয়ন বিএনপির  জনসভা 

ফরিদপুর জেলায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত চাষিরা

প্রকাশিত : ০১:১২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

ফরিদপুর উপজেলা প্রতিনিধি
পল্লব রায়

ফরিদপুর জেলায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত চাষিরা

ফরিদপুর জেলায় মুড়িকাটা পেঁয়াজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। চলতি মৌসুমে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে লক্ষাধিক মেট্রিকটন। এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৬০ শতাংশ জমিতে শেষ হয়েছে চাষাবাদ। এ পেঁয়াজ ডিসেম্বরের মাঝামাঝিতে বাজারে উঠবে বলে আশাবাদী হচ্ছেন চাষিরা।

জানা গেছে, দেশের মোট পেঁয়াজ উৎপাদনের স্থানের দিক থেকে ফরিদপুর জেলা দ্বিতীয় অবস্থান করছে। এ জেলায় মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ চাষের জন্য উপযোগী। বর্তমানে এ জেলায় বছরের তিন প্রকারের পেঁয়াজের আবাদ হয়। এর মধ্যে রয়েছে হালি পেঁয়াজ, দানা পেঁয়াজ ও মুড়িকাটা পেঁয়াজ।

 

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরকারি হিসাব অনুযায়ী প্রতি হেক্টর জমিতে ১৬ থেকে ২০ মেট্রিকটন মুড়িকাটা পেঁয়াজের উৎপাদন হবে বলে আশাকরা হচ্ছে। জেলায় চলতি মৌসুমে ৫ হাজার হেক্টরের অধিক জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ হচ্ছে। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ মেট্রিকটনের বেশি।

 

জেলার বিভিন্নস্থানে দেখা যায়, শীতকালীন মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। কেউ নিড়ানি দিচ্ছেন, কেউ সেচের মাধ্যমে জমিতে জল দিচ্ছেন।।

 

ফরিদপুর সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের পেঁয়াজ চাষি এক কৃষক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পেঁয়াজের ভাল ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। সার, কিটনাশক, শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় পেঁয়াজ উৎপাদনে খরচও বেশি হচ্ছে । তবে বাজার দর কৃষক পর্যায়ে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দর পেলে লাভবান হওয়া সম্ভব হবে বলে জানায়।।

 

এ ব্যাপারে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ অঞ্চলের মাটি পেঁয়াজ চাষে জন্য উপযুক্ত। এ জেলায় বছরে তিন প্রকারের পেঁয়াজের আবাদ হয়। এরমধ্যে রয়েছে হালি পেঁয়াজ, দানা পেঁয়াজ ও মুড়িকাটা পেঁয়াজ। শীতকালে শুধু ফরিদপুর অঞ্চলেই এ পেঁয়াজের আবাদ হয়ে থাকে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে চাষিরা মুড়িকাটা ভাল্ব সংগ্রহ করে ক্ষেতে রোপণ করে। ৪০ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ক্ষেত থেকে ফসল ঘরে তোলা সম্ভব।