
কৃষ্ণ কুমার সরকার
দুর্গাপূজার দিনক্ষণ গণনা শুরু। এ উৎসবে প্রধান উপজীব্য প্রতিমা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসবকে ঘিরে সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। ১৪ অক্টোবর মহালয়ার আগেই শেষ করতে হবে প্রতিমা তৈরি। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। দেবী দুর্গা, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মীকে আকৃতি দিতে ঘাম ঝরাচ্ছেন তারা।
সরোজমিনে দেখা যায়, রাজবাড়ী জেলায় ৪৪৩ টি পূজা উদযাপন হবে এবার। সদর উপজেলা বসন্তপুর ইউনিয়নে ১২ টি পূজার মধ্যে, কোলা বাজারে পাশে কর্মকার বাড়িতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। প্রতিমা শিল্পী আর সহযোগীরা মিলে বানাচ্ছেন দুর্গাপূজার প্রতিমা। মাটি আর খড় পানি দিয়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে এসব প্রতিমা। এরপর এতে দেওয়া হয় রঙ।
শারদীয় দুর্গা পূজায় এক সেট প্রতিমার জন্য দেবী দুর্গা ও সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মীকে বানানো হয়ে থাকে। পাশাপাশি থাকে অসুর, সিংহ, হাঁস, প্যাঁচা ও সাপ।
দুর্গাপূজা শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসব নয়, এটি সার্বজনীন
প্রতিমা শিল্পী বলেন, পূজার জন্য সাধারণত তিন মাস আগে থেকে কাজ শুরু করতে হয়। আমার প্রতিমার কাজ প্রায় শেষ, এখন শুধু রঙ দিয়ে গ্রাহকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়ার পালা।
তিনি আরও বলেন, করোনার পর মাটি-খড়ের দাম বেড়ে গেছে। এখন প্রতি সেট প্রতিমার জন্য ৩০/৭০ হাজার টাকা নেই। দাম নির্ভর করে প্রতিমার ছোট-বড় ও ডিজাইনের ওপর।
প্রতিমা শিল্পী বলেন, অন্যান্য জিনিসের মতো খড়-মাটির দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন খরচ বেড়েছে। এছাড়া প্রতিমা তৈরির কাজ এখন কেউই শিখতে চায় না। এ পেশায় কাজের লোকের অভাব। দুর্গাপূজা ছাড়া বছরের অন্যান্য দিন শিল্পীদের বসে থাকতে হয়।
আগামী ১৪ অক্টোবর মহালয়া, চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। এরপর ২০ অক্টোবর থেকে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা।