
রাজবাড়ীর আলোকদিয়ায় রাত দিন নির্মাণ চলছে দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রতিমা প্রদর্শনীর
মোঃ ইমদাদুল হক রানা (রাজবাড়ী)
রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আলোকদিয়া গ্রামে শারদীয় দূর্গা পূজার প্রস্তুুতি হিসাবে প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা কারিগরেরা।
রাজবাড়ী জেলার মধ্যে এটি সবচাইতে বড় বাংলাদেশের দেশের মধ্যে দ্বিতীয় প্রতিমা প্রদর্শনী হিসাবে খ্যাত এই আলোকদিয়া।
ব্রহ্মার পরামর্শে রাম শরৎকালে পার্বতীর দুর্গতিনাশিনী রূপের বোধন, চণ্ডীপাঠ ও মহাপূজার আয়োজন করেন। আশ্বিন মাসের শুক্লা ষষ্ঠীর দিন রাম কল্পারম্ভ করেন। তারপর সন্ধ্যায় বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাস করেন। মহাসপ্তমী, মহাষ্টমী ও সন্ধিপূজার পরেও দুর্গার আবির্ভাব না ঘটায়, রাম ১০৮টি নীল পদ্ম দিয়ে মহানবমী পূজার পরিকল্পনা করেন।এইসকল ধর্মীয় বিষয় তুলেধরার জন্য শারদীয় দুর্গা পুজার বিষয় বস্তু নিয়ে
৩০০ শতাধিক প্রতিমা তৈরী করা হচ্ছে এবারের শারদীয় দূর্গা পূজার প্রদর্শনীর জন্য। দেশের বিভিন্ন জেলা ও দেশের বাহিরে থেকে বিদেশী৷ হাজার হাজার দর্শনার্থী এখানে আসেন প্রতিমা দেখতে।
প্রতিমা রাখতে কয়েকটি ভাগে প্রদর্শনী এলাকা তৈরী করা হচ্ছে।ব্যাবহার করা হচ্ছে হাজার হাজার বাঁশ। কয়েকশত শ্রমিক ৪ মাসেরও অধিক সময় ধরে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছে এখানে।
বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে মেট্রোরেলের আদলে একটি মেট্রো রেল প্রদর্শনী
এই পূজা মন্দিরের আয়োজক গোবিন্দ কুমার বিশ্বাস বলেন আমি বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে দূর্গা পূজা করে আসছি। করনা কালীন সময় বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। দর্শনার্থীদের জন্যই আমার এই আয়োজন। এখানে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে কয়েকটি প্রদর্শনী স্তর তৈরী করা হচ্ছে। আরো বেশ কয়েকদিন লাগবে সম্পূন্ন প্রস্তুত করতে। এখনো রংয়ের কাজ বাকী রয়েছে। করোনাকালীন সময়ে আমি বড় পরিসরে করতে পারি নাই গত বছরে। তবে এবার করছি, আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে হাজার, হাজার মানুষ এখানে আসবে বলে ধারনা করছি। দর্শনার্থীদের জন্য সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।