রাজবাড়ী ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দে বিবাদমান জমিতে  স্থাপনা নির্মান। 

গোয়ালন্দে বিবাদমান জমিতে  স্থাপনা নির্মান।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পূর্ব উজান চর  নরেশ রায় নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে বিবাদ মান জমিতে পাকা দোকান ঘর নির্মান কাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত নরেশ রায় নিজেই বাদী হয়ে গত ১৯/৬/’২৩ তারিখ স্হানীয় মনি খাঁ নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবাদী মনি খাঁ (৭০) জানান, নরেশ রায়ের মামলার প্রেক্ষিতে আদালত আগামী ১৭/৯/২০২৩ ইং তারিখ শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করে তাদের উভয় পক্ষকে নোটিশ জারি করেছে। কিন্তু নরেশ রায় নিজেই আদালত অবমাননা করে বিবাদ মান জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্হায় আমি আইনি সহায়তার জন্য রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করি। দুইদিন আগে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ এসে কাজ বন্ধ রাখতে বলে। কিন্তু তারা কারো কোন কথা না শুনেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (২২ জুলাই) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নরেশ রায় ও তার লোকজন। এ সময় মনি খাঁ তাদের বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা ও সংঘর্ষের পরিস্হিতি সৃস্টি হয়। পরে উপস্হিত সাংবাদিক ,মানবাধিকার কর্মী ও স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্হিতি শান্ত হয়।
এ সময় বাদি নরেশ রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, এই জমি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। বহুকাল ধরে তারা এর দখলেও রয়েছেন। এই দাগ হতে তাদের ওয়াকফ করা জমিতে তার বাবার নামে ” মাখন রায়ের পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়” নামে একটি স্কুলও গড়ে তোলা হয়েছে। মনি খাঁ একজন মামলাবাজ মানুষ। ইতিপূর্বে একাধিক মামলা ও শালিসের রায় তার বিরুদ্ধে গেছে। তারপরও তিনি আমাদের নানাভাবে হয়রানী করে চলেছে।
নরেশ রায়ের ছোটভাই, সাবেক ইউপি সদস্য নিখিল রায় দাবি করেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও যাদের জমি (বাদী) তারা সেখানে ঘর তুলতে পারে। এ ব্যাপারে কোন আইনি বাঁধা নেই। তারা উকিলের সাথে কথা বলেই কাজ করছেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, আদালতে নরেশ ভূঁইয়া অভিযোগ করেছেন কিন্ত আদালত কাজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে কোন নোটিশ জারি করে নাই। তবে মনি খা চাইলে আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগ করতে পারে নির্দিষ্ট হাজির হওয়ার তারিখের আগেই ঘর তোলার ব্যাপারে।
Tag :

গোয়ালন্দে বিবাদমান জমিতে  স্থাপনা নির্মান। 

প্রকাশিত : ১১:৫৭:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩
গোয়ালন্দে বিবাদমান জমিতে  স্থাপনা নির্মান।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পূর্ব উজান চর  নরেশ রায় নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে বিবাদ মান জমিতে পাকা দোকান ঘর নির্মান কাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত নরেশ রায় নিজেই বাদী হয়ে গত ১৯/৬/’২৩ তারিখ স্হানীয় মনি খাঁ নামে এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবাদী মনি খাঁ (৭০) জানান, নরেশ রায়ের মামলার প্রেক্ষিতে আদালত আগামী ১৭/৯/২০২৩ ইং তারিখ শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করে তাদের উভয় পক্ষকে নোটিশ জারি করেছে। কিন্তু নরেশ রায় নিজেই আদালত অবমাননা করে বিবাদ মান জমিতে পাকা স্থাপনা নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্হায় আমি আইনি সহায়তার জন্য রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারের নিকট আবেদন করি। দুইদিন আগে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ এসে কাজ বন্ধ রাখতে বলে। কিন্তু তারা কারো কোন কথা না শুনেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (২২ জুলাই) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জমিতে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন নরেশ রায় ও তার লোকজন। এ সময় মনি খাঁ তাদের বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করলে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা ও সংঘর্ষের পরিস্হিতি সৃস্টি হয়। পরে উপস্হিত সাংবাদিক ,মানবাধিকার কর্মী ও স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্হিতি শান্ত হয়।
এ সময় বাদি নরেশ রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, এই জমি তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। বহুকাল ধরে তারা এর দখলেও রয়েছেন। এই দাগ হতে তাদের ওয়াকফ করা জমিতে তার বাবার নামে ” মাখন রায়ের পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়” নামে একটি স্কুলও গড়ে তোলা হয়েছে। মনি খাঁ একজন মামলাবাজ মানুষ। ইতিপূর্বে একাধিক মামলা ও শালিসের রায় তার বিরুদ্ধে গেছে। তারপরও তিনি আমাদের নানাভাবে হয়রানী করে চলেছে।
নরেশ রায়ের ছোটভাই, সাবেক ইউপি সদস্য নিখিল রায় দাবি করেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকলেও যাদের জমি (বাদী) তারা সেখানে ঘর তুলতে পারে। এ ব্যাপারে কোন আইনি বাঁধা নেই। তারা উকিলের সাথে কথা বলেই কাজ করছেন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার জানান, আদালতে নরেশ ভূঁইয়া অভিযোগ করেছেন কিন্ত আদালত কাজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে কোন নোটিশ জারি করে নাই। তবে মনি খা চাইলে আদালতে হাজির হয়ে অভিযোগ করতে পারে নির্দিষ্ট হাজির হওয়ার তারিখের আগেই ঘর তোলার ব্যাপারে।