
টাইগার ও ডিপজল কে নিয়ে উদ্যোক্তা এরশাদের স্বপ্ন
রাজবাড়ী প্রতিনিধি :
কোরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র দুই সপ্তাহ। এরই মধ্যে রাজবাড়ীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় এসেছে ৯ মণের টাইগার ও ৭ মণের ডিপজল নামের দুইটি বিশাল আকারের ষাঁড় ।
ষাঁড় দুইটির মালিক তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা মো.এরশাদ শেখ (২৫)।
এবার ঈদে ষাঁড় দুইটি বিক্রি করে তার খামারের আয়তন আরো বড় করবেন বলে স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
গো খামারী মো.এরশাদ শেখ রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের রাজধারপুর ছোট ভেল্লাবাড়িয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিজের বাড়ির উঠানে গোয়াল ঘরে লাল ও কালো রংয়ের বিশাল আকারের দুইটি ষাঁড় কে কাচা ঘাস খাওয়ানো হচ্ছে। লাল ষাঁড়টির ওজন ৯ মণ ও কালো রংয়ের ষাঁড়টির ওজন ৭ মণ। এতো বড় বিশাল আকারের ষাঁড় দেখতে অনেকেই ভীর করেছেন এই বাড়িতে।
তরুণ গো খামারী উদ্যোক্তা এরশাদ শেখ বলেন, গত ৪ বছর ধরে আমি ও আমার বাবা নরজুল ইসলাম ষাঁড় দুটিকে অনেক আদর যন্তে দেশিয় প্রাকৃতিক খাবার যেমন, কাচা ঘাস,খড়,খৈল,ঘমের ভূষি,ভুট্টা সহ দানাদার খাবার খাইয়ে বড় করেছি। এবারের কোরবানীর ঈদে ষাঁড় দুটি বিক্রি করবো। দুইটা ষাঁড়েরই দুই দাঁত। লালটার ওজন ৯ মণ। নাম দিয়েছি টাইগার। কালো ষাঁড়টির ওজন ৭ মণ। আদার করে নাম দিয়েছি ডিপজল। গো খাদ্যের দাম বাড়তি হওয়ায় খরচ অনেক বেশি হয়েছে। ষাঁড় দুটি বিক্রি করে খামারটি আরো বড়ো করবো। টাইগারের দাম ৩ লক্ষ ও ডিপজলের দাম আড়াই লক্ষ টাকা চাচ্ছি।
টাইগার ও ডিপজল কে দেখতে আসা কবির হোসেন বলেন, ফেসবুকে টাইগার ও ডিপজলকে দেখে খামারী এরশাদের বাড়িতে এসেছি। ষাঁড় দুটি দেখতে অনেক সুন্দর। দরদাম চলছে।
আরেক ক্রেতা সাইদ খোন্দকার বলেন, ষাঁড় দুইটি ভালো। কালো রংয়ের ডিপজল ৭ মণের মত। আমি দেড় লক্ষ টাকা দাম বলেছি। খামারী চাচ্ছেন আড়াই লক্ষ টাকা।
রাজবাড়ী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলুল হক সরদার জানান, এ বছর রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন পশুর হাটে রোগাক্রান্ত পশু শনাক্ত ও চিকিৎসা সেবা প্রদানে জেলা প্রাণিসম্পদ দফতর থেকে ভেটেনারি মেডিকেল টিম থাকবে। এ বছর রাজবাড়ী জেলায় সাড়ে আট হাজার খামারে ৫৪ হাজার ৫২৫টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। সরকারি হিসাব মতে, এ বছর ১৪ হাজার ৯৮৫টি ষাঁড়, ৩৩ হাজার ১০টি ছাগল, ছয় হাজার ২০০টি গাভী, ৩০টি মহিষ, ৩০০টি ভেড়া কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।