
রাজবাড়ী –প্রতিনিধি।।
পাংশা পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান মুকু হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আরও ৩জনকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ককটেলসহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৭ মে) বেলা ১১টায় পাংশা মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানিয়েছেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা।
আসামিরা হলেন, পাংশা উপজেলার নওপাড়া বনগ্রাম (নতুন পাড়া) এলাকার মন্টু সিকদারের ছেলে সজীব শিকদার (২০),শেখ পাড়া এলাকার নুর আলী মন্ডলের ছেলে মো. রাসেল মন্ডল (২০) ও কোলানগর এলাকার সোহরাব শেখের ছেলে রমজান শেখ (৪০)।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা বলেন, মিজানুর রহমান শিক্ষকতার পাশাপাশি ব্যবসা করতেন। ঘটনার রাতে তিনি হোসেনডাঙ্গা বাজারের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হালখাতা শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে পথে তাকে গতিরোধ করে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই ঘটনার মোট ৮জন জড়িত ছিলো। এদের মধ্যে একজন সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করে। এর আগে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো। বাকি ৩ জনকে গত রাতে দুটি ওয়ান শুটার গান ও দুটি ককটেলসহ গ্রেফতার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা তারা স্বীকার করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে, সহকারী পুলিশ সুপার আসলাম, পাংশা মডেল থানার ওসিন মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, পাংশা পুলিশের উপ পরিদর্শক মিজানুর রহমান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ পরিদর্শক দিপঙ্কর কুমার কুন্ডু উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পাংশা উপজেলার কালিমহর ইউনিয়নের হোসেনডাঙ্গা গ্রামের পাকা রাস্তায় পাংশা বালিকা বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান ও পাংশা উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের বসাকুষ্টিয়া গ্রামের ইব্রাহিম মন্ডলের ছেলে মিজানুর রহমান মুকুকে (৪৭) গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। তিনি হোসেনডাঙ্গা বাজারের সারের দোকানে দিনভর হালখাতার কার্যক্রম শেষ করে রাতে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। আধা কিলো মিটার দূরে পৌছতেই দুর্বৃত্তরা তার গতিরোধ করে কানের পাশে গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলিতে ঘটনাস্থলেই মিজানুর রহমান মুকু মারা যান।
এঘটনায় মিজানুর রহমানের স্ত্রী পারুল খাতুন অসিত কুমার প্রামাণিককে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত ৮-১০ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে অসিত কুমার প্রামাণিকেকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।