রাজবাড়ী ১১:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নদীতে অভিযান শেষ রাজবাড়ী অধিকাংশ জেলে অনুদান পায়নি

রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শেষ। আজ ২৮ অক্টোবর শেষ হচ্ছে এ অভিযান। কিন্তু এখনো সরকারি সহায়তার চাল পাননি রাজবাড়ীর অধিকাংশ জেলে। জেলার ১৩ হাজার জেলের মধ্যে চালপ্রাপ্তির জন্য চূড়ান্ত তালিকায় চার হাজার ৭০০ জনের নাম ছিল। তাদের অনেকের ভাগ্যেই মেলেনি চাল। দুই উপজেলায় যদিও সরকারি বরাদ্দের চাল কেউ কেউ পেয়েছেন, তবে সেখানেও ছিল নানা অনিয়মের অভিযোগ। সরকারি সহায়তা বঞ্চিত বেকার জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে বড় করুণ জীবনযাপন করছেন।দিকে ঢিলেঢালা অভিযানের সুযোগে একশ্রেণীর অসাধু জেলে পদ্মা নদীতে মাছ শিকার চালিয়েই গেছেন। কেউ কেউ অভিযানে ধরা পড়লেও অর্থের বিনিময়ে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেন মৎস্য কর্মকর্তারা।

রাজবাড়ীর পাঁচ উপজেলার চারটিই পদ্মা নদী বেষ্টিত। এগুলো হলো- গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী সদর, কালুখালী ও পাংশা। কালুখালী ও গোয়ালন্দ উপজেলায় চাল বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। রাজবাড়ী সদরের ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে পদ্মা বেষ্টিত দাদশী ও চন্দনী ইউনিয়নে গতকাল বৃহস্পতিবার চাল দেয়া হয়েছে।
মৎস্য অফিস জানায়, যেসব জেলে পরিবার ইলিশ শিকার করে সংসার চালায়, তারা সবাই পাবে সরকারি সহায়তা। যেখানে নদীতে জাল ফেলাই নিষিদ্ধ সেখানে শুধু ইলিশ শিকারিরাই কেনো চাল পাবেন? অন্য জেলেরা কেন পাবেন না? এ প্রশ্নের কোনো উত্তর মৎস্য কর্মকর্তাদের কাছে নেই।রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, গোয়ালন্দ ও কালুখালী উপজেলায় প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে সরকারি বরাদ্দের চাল দেয়া হয়েছে। সদরের চন্দনী ও দাদশী ইউনিয়নে দেয়া হয়েছে। অন্যদের পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে। ইলিশ ধরার সাথে সম্পৃক্ত যারা তারাই শুধু পাবে।

Tag :

নদীতে অভিযান শেষ রাজবাড়ী অধিকাংশ জেলে অনুদান পায়নি

প্রকাশিত : ০৯:২৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২

রাজবাড়ী জেলা প্রতিনিধি

মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান শেষ। আজ ২৮ অক্টোবর শেষ হচ্ছে এ অভিযান। কিন্তু এখনো সরকারি সহায়তার চাল পাননি রাজবাড়ীর অধিকাংশ জেলে। জেলার ১৩ হাজার জেলের মধ্যে চালপ্রাপ্তির জন্য চূড়ান্ত তালিকায় চার হাজার ৭০০ জনের নাম ছিল। তাদের অনেকের ভাগ্যেই মেলেনি চাল। দুই উপজেলায় যদিও সরকারি বরাদ্দের চাল কেউ কেউ পেয়েছেন, তবে সেখানেও ছিল নানা অনিয়মের অভিযোগ। সরকারি সহায়তা বঞ্চিত বেকার জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে বড় করুণ জীবনযাপন করছেন।দিকে ঢিলেঢালা অভিযানের সুযোগে একশ্রেণীর অসাধু জেলে পদ্মা নদীতে মাছ শিকার চালিয়েই গেছেন। কেউ কেউ অভিযানে ধরা পড়লেও অর্থের বিনিময়ে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেন মৎস্য কর্মকর্তারা।

রাজবাড়ীর পাঁচ উপজেলার চারটিই পদ্মা নদী বেষ্টিত। এগুলো হলো- গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী সদর, কালুখালী ও পাংশা। কালুখালী ও গোয়ালন্দ উপজেলায় চাল বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। রাজবাড়ী সদরের ১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে পদ্মা বেষ্টিত দাদশী ও চন্দনী ইউনিয়নে গতকাল বৃহস্পতিবার চাল দেয়া হয়েছে।
মৎস্য অফিস জানায়, যেসব জেলে পরিবার ইলিশ শিকার করে সংসার চালায়, তারা সবাই পাবে সরকারি সহায়তা। যেখানে নদীতে জাল ফেলাই নিষিদ্ধ সেখানে শুধু ইলিশ শিকারিরাই কেনো চাল পাবেন? অন্য জেলেরা কেন পাবেন না? এ প্রশ্নের কোনো উত্তর মৎস্য কর্মকর্তাদের কাছে নেই।রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, গোয়ালন্দ ও কালুখালী উপজেলায় প্রত্যেক জেলেকে ২৫ কেজি করে সরকারি বরাদ্দের চাল দেয়া হয়েছে। সদরের চন্দনী ও দাদশী ইউনিয়নে দেয়া হয়েছে। অন্যদের পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে। ইলিশ ধরার সাথে সম্পৃক্ত যারা তারাই শুধু পাবে।