
সোহাগ মিয়া গোয়ালন্দ রাজবাড়ী প্রতিনিধি
: ফিরে আসি শৈশবের কথায়! সবারই সেই ছোট বেলা থাকে। থাকে দুরন্ত অতীত সময়ের কিছু সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ।
কালক্রমে মানুষ একসময় বড় হয়। পেছনে পড়ে থাকে তার মধুময় স্মৃতির প্রেক্ষাপট।
সে অতীত সুখ বা দুখেরই স্মৃতিতে রাঙা। আমাদের শৈশবের সেই দুরন্তপনা সময় – প্রাকৃতিক দেশি ফলের প্রতি বড় বেশি দুর্বলতাপ্রিয়।
এ বাড়ি আম, ও বাড়ির পেয়ারা কিংবা নিজ বাড়ির বরই, আহা! আমাদের স্মৃতিপটে আজও অমলিন।
এখান দেশি বরইয়ের মৌসুম। কাঁচা-পাকা এসব দেশি বরই দেখলেই জিভে পানি চলে আসতে দেরি হয় না। কেননা, আমাদের সোনালি অতীত সেই সব কাঁচা-পাকা ফলেদের স্বাদ গ্রহণে ছিল বড়ই অভ্যস্ত। দিনগুলো হারিয়ে গেলেও ফলেদের দিকে চোখ পড়লেই স্মৃতি যেন ভেসে উঠে।
এর পুষ্টিগুণ ও শারীরিক উপকারিতা সম্পর্কে কৃষি কর্মকর্তা বলেন, দেশি বরইগুলো সাধারণত টক হয়ে থাকে। তবে, গাছপাকা বরই হলে টকভাব কমে গিয়ে অপেক্ষাকৃত সুস্বাদু হয়। টক হওয়ার কারণে এতে ভিটামিট ‘সি’ বেশি পরিমাণে থাকে। ঠোঁটের কোণা বা জিহ্বায় ঘা, ঠোঁটের চামড়া উঠে যাওয়া, টনসিলাইটিস প্রভৃতি সমস্যা বরই খেলে দূর করে। সেসঙ্গে বরইয়ে থাকে ক্যালোরি এবং ফাইভার। এর কারণে শরীরে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ে। দুই আউন্স অর্থাৎ প্রায় চারটি বরই আমাদের শরীরের যে শক্তির জোগান দেয় তার বৈজ্ঞানিক হিসাব প্রায় ৪৪ ক্যালোরি।
আবার বরইয়ের আরেকটি মিষ্টি ভ্যারাইটিও রয়েছে। এগুলোতে বিভিন্ন জাতের ভিটামিন, খনিজ লবণ রয়েছে। যা পুষ্টিমাণে ভালো বলে জানান তিনি।
গ্রাম বা শহরাঞ্চলের বসতবাড়ি থেকে কিংবা রাস্তা-ঘাটের আশপাশ থেকে এখন দেশি বরই গাছগুলো কাটা পড়ে যাচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক। তাই দেশি বরই সংরক্ষণে দেশি বরইয়ের বাগান করা দরকার বলে জানান কৃষি বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।