
ষ্টাফ রিপোর্টার
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের জৈনদ্দিন সরদার পাড়া এলাকায় প্রবহমান সরকারি খাল হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে করে খালপাড়ের বসতবাড়ী,ভিটেমাটি, মসজিদ,মাদ্রাসা ও প্রাইমারি স্কুল ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অবিলম্বে ড্রেজার মেশিন বন্ধ করার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত ব্যাক্তির নাম মোঃ ইসমাইল খা। তিনি স্হানীয় রোকন উদ্দিন খানের ছেলে। উত্তোলিত বালু তিনি অন্যত্র বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যাক্তির যোগসাজশে বেশ কিছুদিন ধরে এভাবে বালু তুলছেন বলে জানা গেছে। স্হানীয়রা তাকে বাঁধা দিতে গেলে তিনি নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, একটি বড় ড্রেজার মেশিন দিয়ে সেখান থেকে বালু তোলা হচ্ছে। এতে আশপাশের পাড় ভেঙে পড়ছে। এ সময় ড্রেজার মেশিন বন্ধের দাবিতে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
আলাপকালে মোঃ হাসেম মন্ডল, রফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মোঃ শহিদসহ কয়েকজন বলেন, শুকনো মৌসুমে এই খালের জমিতে তারা বোরো ধান,সরিষাসহ নানা ধরনের কৃষি ফসলের আবাদ করে থাকেন। কিন্তু ৩০/৪০ ফুট গভীর করে বালু তোলার ফলে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই তাদের বসতভিটা, বাড়িঘর ও ফসলী জমি ধ্বসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।আমরা বাঁধা দিতে গেলে নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে।
আনোয়ারা বেগম, আকলিমা খাতুন, সাহেরা খাতুন সহ কয়েকজন মহিলা বলেন, শুকনো মৌসুমে এই খালে পানি থাকে না। এখন বাড়ির পাশে এত গভীর করে বালু তোলা হলে তাদের শিশুদের এই গভীর পানিতে পড়ে প্রানহানির আশংকা রয়েছে।
অভিযুক্ত ইসমাইল খা মুঠোফোনে দাবি করেন, তিনি সরকারী খাল থেকে বালু উত্তোলন করছেন না। পাশেই তার নিজের জমি রয়েছে। সেখান হতে বালু তুলছেন। এতে কারো কোন সমস্যা হচ্ছে না।
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, অভিযোগের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দিয়েছি।