রাজবাড়ী ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কমলা চাষে তাক লাগালেন রাজবাড়ীর ছরোয়ার

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাকরির পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ করে তাক লাগিয়েছেন রাজবাড়ীর ছরোয়ার হোসেন। তার বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে চায়না ও নাগপুরীসহ চার রকম জাতের কমলা। একবার লাগালে অন্তত ১০ বছর ফল পাওয়া যায়। তা ছাড়া বিক্রি করতেও নেই কোনো ঝামেলা।

জানা গেছে, রাজবাড়ী সদর উপজেলার চর বাগমারা গ্রামের ছরোয়ার হোসেন চাকরির পাশাপাশি দুই বছর আগে কমলার বাগান করেন। বর্তমানে তার বাগানে চায়না, দার্জিলিং, নাগপুরী ও মেন্ডারিংসহ চার জাতের ৪৫০টি কমলা গাছ আছে। প্রতিটি গাছেই সবুজ পাতার ফাঁকে ডালে ডালে ঝুলে রয়েছে নজরকাড়া হলুদ ও সবুজ রঙের কমলা। সবুজ অরণ্যে পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে ফল। আকারে বড় ও খেতেও খুব সুস্বাদু এই কমলা।

ছরোয়ার হোসেনের এই কমলার বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী সাত্তার মোল্লা ও রেহানা বেগম বলেন, ‘কমলা খেয়ে দেখলাম খুব মিষ্টি ও সুস্বাদু।’এ ছাড়া এখানে পরামর্শের জন্য প্রতিদিনই লোক আসছে বিভিন্ন যায়গা থেকে। ছরোয়ারের এই কমলা বাগান দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক এখন আগ্রহী হচ্ছেন এ ফলের বাগান করতে।

কমলাচাষি ছরোয়ার হোসেন বলেন, ‘দু-বছর আগে চার বিঘা জমিতে চায়না, দার্জিলিং, নাগপুরী, মেন্ডারিংসহ ৪৫০টি কমলাগাছ লাগাই। এতে আমি ভালো সফলতা পেয়েছি। কমলার বাম্পার ফলন হয়েছে। কমলাগাছ লাগানো থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। সাত লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করব বলে আশা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার এ কমলা চাষ দেখে এলাকার অনেকেই এখন এ ব্যাপারে আগ্রহী হচ্ছে। তাদের আমি কমলা চাষে পরামর্শ দিচ্ছি।’

রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. বাহাউদ্দিন শেখ বলেন, ‘ছরোয়ার হোসেন কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন। তার কমলা চাষে সার্বিক সহযোগিতা করাসহ নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছি।’

Tag :

কমলা চাষে তাক লাগালেন রাজবাড়ীর ছরোয়ার

প্রকাশিত : ১১:৪৩:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০২২

নিজস্ব সংবাদদাতা

চাকরির পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে কমলা চাষ করে তাক লাগিয়েছেন রাজবাড়ীর ছরোয়ার হোসেন। তার বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে চায়না ও নাগপুরীসহ চার রকম জাতের কমলা। একবার লাগালে অন্তত ১০ বছর ফল পাওয়া যায়। তা ছাড়া বিক্রি করতেও নেই কোনো ঝামেলা।

জানা গেছে, রাজবাড়ী সদর উপজেলার চর বাগমারা গ্রামের ছরোয়ার হোসেন চাকরির পাশাপাশি দুই বছর আগে কমলার বাগান করেন। বর্তমানে তার বাগানে চায়না, দার্জিলিং, নাগপুরী ও মেন্ডারিংসহ চার জাতের ৪৫০টি কমলা গাছ আছে। প্রতিটি গাছেই সবুজ পাতার ফাঁকে ডালে ডালে ঝুলে রয়েছে নজরকাড়া হলুদ ও সবুজ রঙের কমলা। সবুজ অরণ্যে পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে ফল। আকারে বড় ও খেতেও খুব সুস্বাদু এই কমলা।

ছরোয়ার হোসেনের এই কমলার বাগান দেখতে আসা দর্শনার্থী সাত্তার মোল্লা ও রেহানা বেগম বলেন, ‘কমলা খেয়ে দেখলাম খুব মিষ্টি ও সুস্বাদু।’এ ছাড়া এখানে পরামর্শের জন্য প্রতিদিনই লোক আসছে বিভিন্ন যায়গা থেকে। ছরোয়ারের এই কমলা বাগান দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক এখন আগ্রহী হচ্ছেন এ ফলের বাগান করতে।

কমলাচাষি ছরোয়ার হোসেন বলেন, ‘দু-বছর আগে চার বিঘা জমিতে চায়না, দার্জিলিং, নাগপুরী, মেন্ডারিংসহ ৪৫০টি কমলাগাছ লাগাই। এতে আমি ভালো সফলতা পেয়েছি। কমলার বাম্পার ফলন হয়েছে। কমলাগাছ লাগানো থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে। সাত লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করব বলে আশা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার এ কমলা চাষ দেখে এলাকার অনেকেই এখন এ ব্যাপারে আগ্রহী হচ্ছে। তাদের আমি কমলা চাষে পরামর্শ দিচ্ছি।’

রাজবাড়ী সদর উপজেলা কৃষি অফিসার মো. বাহাউদ্দিন শেখ বলেন, ‘ছরোয়ার হোসেন কমলা চাষ করে সফল হয়েছেন। তার কমলা চাষে সার্বিক সহযোগিতা করাসহ নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে আসছি।’