রাজবাড়ী ০৩:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে কীটনাশকে রসুন ক্ষেত নষ্ট পরিদর্শন করলেন ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি

বালিয়াকান্দিতে কীটনাশকে রসুন ক্ষেত নষ্ট পরিদর্শন করলেন ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি

ইমদাদুল হক রানা( বালিয়াকান্দী) ঃ

বাংলাদেশের অন্যতম পেঁয়াজ, রসুন উৎপাদনকারী উপজেলা বালিয়াকান্দিতে রসুন ক্ষেতে দোকানীর দেওয়া ভূল কীটনাশক প্রয়োগে ৫৫ শতাংশ জমির রসুন নষ্ট হয়। এ বিষয়ে  সংবাদ প্রকাশের পর বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিস ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

কমিটির প্রধান করা হয় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সাখাওয়াত হোসেন গালিব, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার

মোঃ এনামুল হক ও উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমানকে।

তদন্ত কমিটির সদস্যগণ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সকালে জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের আনন্দবাজারের সার কীটনাশক ব্যবসায়ী মেসার্স আমিরুল ষ্টোরে গিয়ে তাদের সাক্ষাৎকার নেন এবং লিখিত বক্তব্য গ্রহন করেন কৃষি অফিস কর্তৃক গঠিত তদন্ত টিম।

তারপর একই ইউনিয়নের  কুরশি গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মোঃ আইয়ুব আলীর নষ্ট হওয়া ৫৫ শতাংশ রসুন ক্ষেত পরিদর্শন করেন।

এ সময় স্থাণীয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে আলোচনা করেন এবং লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন।

স্থাণীয়রা জানান, জেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কুরশী গ্রামের মৃত অছেল আলীর শেখের ছেলে মোঃ আইয়ুব আলী শেখ সম্প্রতি বালিয়াকান্দির আনন্দবাজারের সার, কীটনাশক বিক্রেতা মেসার্স আমিরুল ষ্টোরের মোঃ আতিয়ার রহমানের নিকট রসুনের ফলন উন্নত করতে পরামর্শ নিতে এলে আতিয়ার রহমান বেশ কয়েকটি কীটনাশক তার নিকট বিক্রি করে। লেখাপড়া না জানা কৃষক আইয়ুব আলী তার পরামর্শে রসুন ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন। উক্ত কীটনাশক প্রয়োগের ফলে রসুনের গাছ নষ্ট হয়ে আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে। রসুনের গাছ মারা যাওয়ায় কৃষক এলাকার লোকজনকে রসুন ক্ষেতে নিয়ে বিষয়টি দেখালে তারা প্রথমে বিষয়টি দোকানদারকে জানাতে বলে। তা দোকানদারকে জানালে দোকানদার প্রথমে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি।

পরে সংবাদকর্মী সরেজমিনে গিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে উপজেলা কৃষি অফিস ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমার নিকট কৃষক আইয়ুব আলী এসেছিল। আমি সব শুনে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী উভয় পক্ষকে ডেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছিলাম।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সাখাওয়াত হোসেন গালিবকে প্রধান ও সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার

মোঃ এনামুল হক এবং উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমানকে কমিটির সদস্য করা হয়। তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাদের দেওয়া প্রতিবেদন হাতে পেলে সঠিক বিষয় জানাতে পারবো।

Tag :

বালিয়াকান্দিতে কীটনাশকে রসুন ক্ষেত নষ্ট পরিদর্শন করলেন ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি

প্রকাশিত : ০২:৩৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বালিয়াকান্দিতে কীটনাশকে রসুন ক্ষেত নষ্ট পরিদর্শন করলেন ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি

ইমদাদুল হক রানা( বালিয়াকান্দী) ঃ

বাংলাদেশের অন্যতম পেঁয়াজ, রসুন উৎপাদনকারী উপজেলা বালিয়াকান্দিতে রসুন ক্ষেতে দোকানীর দেওয়া ভূল কীটনাশক প্রয়োগে ৫৫ শতাংশ জমির রসুন নষ্ট হয়। এ বিষয়ে  সংবাদ প্রকাশের পর বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিস ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

কমিটির প্রধান করা হয় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সাখাওয়াত হোসেন গালিব, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার

মোঃ এনামুল হক ও উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমানকে।

তদন্ত কমিটির সদস্যগণ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সকালে জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের আনন্দবাজারের সার কীটনাশক ব্যবসায়ী মেসার্স আমিরুল ষ্টোরে গিয়ে তাদের সাক্ষাৎকার নেন এবং লিখিত বক্তব্য গ্রহন করেন কৃষি অফিস কর্তৃক গঠিত তদন্ত টিম।

তারপর একই ইউনিয়নের  কুরশি গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মোঃ আইয়ুব আলীর নষ্ট হওয়া ৫৫ শতাংশ রসুন ক্ষেত পরিদর্শন করেন।

এ সময় স্থাণীয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে আলোচনা করেন এবং লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন।

স্থাণীয়রা জানান, জেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের কুরশী গ্রামের মৃত অছেল আলীর শেখের ছেলে মোঃ আইয়ুব আলী শেখ সম্প্রতি বালিয়াকান্দির আনন্দবাজারের সার, কীটনাশক বিক্রেতা মেসার্স আমিরুল ষ্টোরের মোঃ আতিয়ার রহমানের নিকট রসুনের ফলন উন্নত করতে পরামর্শ নিতে এলে আতিয়ার রহমান বেশ কয়েকটি কীটনাশক তার নিকট বিক্রি করে। লেখাপড়া না জানা কৃষক আইয়ুব আলী তার পরামর্শে রসুন ক্ষেতে কীটনাশক প্রয়োগ করেন। উক্ত কীটনাশক প্রয়োগের ফলে রসুনের গাছ নষ্ট হয়ে আনুমানিক ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিসাধন হয়েছে। রসুনের গাছ মারা যাওয়ায় কৃষক এলাকার লোকজনকে রসুন ক্ষেতে নিয়ে বিষয়টি দেখালে তারা প্রথমে বিষয়টি দোকানদারকে জানাতে বলে। তা দোকানদারকে জানালে দোকানদার প্রথমে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি।

পরে সংবাদকর্মী সরেজমিনে গিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে উপজেলা কৃষি অফিস ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

এ বিষয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ রফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমার নিকট কৃষক আইয়ুব আলী এসেছিল। আমি সব শুনে গত ১৩ ফেব্রুয়ারী উভয় পক্ষকে ডেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছিলাম।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সাখাওয়াত হোসেন গালিবকে প্রধান ও সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার

মোঃ এনামুল হক এবং উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ আরিফুর রহমানকে কমিটির সদস্য করা হয়। তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাদের দেওয়া প্রতিবেদন হাতে পেলে সঠিক বিষয় জানাতে পারবো।