
রাজবাড়ী জেলায় এবারও ৩৫ লক্ষ মন পাট উপাদানের লক্ষ্যে কাজ করছে কৃষক
রাজু আহমেদ, রাজবাড়ী
রাজবাড়ী জেলায় চলতি পাট মৌসুমে কৃষকরা রেকর্ড পরিমান জমিতে পাট চাষ করেছে। পাটের মূল্য বৃদ্ধির কারণে অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি জমিতে পাট চাষ করেছে রাজবাড়ী জেলার কৃষকেরা। বাংলাদেশের মধ্যে রাজবাড়ী জেলার সোনালী আঁশ পাট সবচেয়ে উন্নত মানের। কৃষকের প্রধান আয়ের উৎস হচ্ছে পাট। গত ২ বছর পাটের মূল্য ভালো পাওয়ায় চলতি বছর রাজবাড়ী জেলায় ৪৯ হাজার ৮ শত ২২ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ১০ হাজার ১ শত ২০ হেক্টর। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর জেলায় ৪৮ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছিল। প্রতি মণ পাট কৃষকরা ১৫ শত টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত মণ দরে বিক্রি করে।
রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন স্থানে সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় ৪/৫ টি পাটের মিল চালু রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী খানখানাপুর বাজার পাট ব্যবসার জন্য প্রসিদ্ধ। জেলা সদরের শহীদ ওহাবপুর ইউনিয়নের আহলাদীপুর গ্রামের পাটচাষী নুরুল ইসলাম মন্ডল জাতীয় দৈনিক নাগরিক ভাবনাকে বলেন, পাট পরিচর্যায় শ্রমিককে প্রতিদিন জন প্রতি ৬ শত টাকা দিতে হচ্ছে। গত মাসে পাট চাষের সময় বৃষ্টি না হওয়ায় প্রতি বিঘা জমিতে সেচ দিতে হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এবার পাটের দাম মণ প্রতি ৩ হাজার টাকা না হলে কৃষকের লাভের সম্ভবনা খুবই কম। অপরদিকে জেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা জানান- ইউনিয়ন পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের যথা সময়ে পাওয়া যায় না। তাহারা দূর-দুরান্ত থেকে এসে ইউনিয়ন পরিষদের অফিসে কিছু সময় থেকে বাড়ীতে চলে যায়। ফলে কৃষকরা যথা সময়ে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতি হেক্টর জমিতে ৬০/৭০ মণ পাট উৎপাদন হয়। আশা করা যায় এবারও রাজবাড়ী জেলায় প্রায় ৩৫ লক্ষ মণ পাট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। জেলায় ৪২টি ইউনিয়ন রয়েছে। পাকিস্থান আমলে তৈরী ইউনিয়নের কৃষি অফিসের ভবন নির্মাণ করা হলেও সংস্কারের অভাবে অধিকাংশ ভবনই ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন পর্যায়ের পাটচাষীদের দেখভাল করার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছে। তাহাদেরকে জানানোর পর কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দিচ্ছে। গত ২ বছর যাবৎ রাজবাড়ী জেলার কৃষকরা ভালো দামে পাট বিক্রি করে লাভবান হওয়ায় চলতি বছর রেকর্ড পরিমান পাটের আবাদ করেছে।