রাজবাড়ী ০৬:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
বালিয়াকান্দিতে ভোক্তা অধিকার অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানে ১২ হাজার টাকা জরিমানা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম গ্রেফতার রাজবাড়ীতে অগ্নিযুগের বিপ্লবী  কমরেড নেতা আশুভরদ্বাজের ৩২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত রাজবাড়ী বালিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলায় আ. লীগের ১০ নেতা কারাগারে রাজবাড়ীতে বর্ণাঢ্য পহেলা বৈশাখ উদযাপিত। বৈশাখী মেলা ( মারিয়া শাইরি) বালিয়াকান্দিতে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে পাট বীজ ও সার বিতরণ  রাজবাড়ীতে আ. লীগের ১৯ নেতাকর্মী কারাগারে নবাবপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আইয়ুব দফাদারের কান্ড ৩ সন্তানের জননীকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে

রাজু আহমেদ, রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের আইয়ুব দফাদার (৫০) তিন সন্তানের জননী আসমা কে বিয়ে করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন।

এলাকার ঘুরে শোনা যায়, সুখেই চলছিল মিলন ও আসমা দম্পতির সংসার। হঠাৎ আইয়ুব দফাদারের কুদৃষ্টিতে ধ্বংস হলো আসমা ও মিলন দম্পতির সংসার। আসমা ও মিলন দম্পতির ঘরে তিনটি সন্তান রয়েছে। দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে। বড় ছেলে অনিক শেখ(১৭) মেজো ছেলে সজীব (১৩)ছোট কন্যা মাহি আক্তার (৮)। আসমা ও মিলন দম্পতি সংসার সুখের করার জন্য তারা ঢাকা সাভার গার্মেন্টসের চাকরির পাশাপাশি সেখানেই বসবাস করত। তাদের মধ্যে একটি ঝামেলা হয়। ঝামেলা মীমাংসার জন্য গ্রামের বাড়ি থেকে আইয়ুব দফাদারকে ঢাকা সাভারে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই শুরু হয় আসমার সাথে আইয়ুব দফাদারের প্রেমের সম্পর্ক। এর কিছুদিন পরেই আসমা মিলনকে তালাক দিয়ে দফাদারকে বিয়ে করেন।

এরপর চলতি মাসের ৭ তারিখে আসমার সাবেক স্বামী মিলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। আসমা কে সে কুপিয়েছে.।কুপানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসমার পরিবারের পক্ষ থেকে মিলনকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন মামলা ঘাড়ে নিয়ে মিলন পলাতক রয়েছে। মামলার ২ নং আসামি মিলনের পিতা জামিনে এসে আসমার তিন সন্তানকে নিয়ে বড় ঝামেলায় পড়ে আছেন। এবং তারা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে সেই সাথে তাদের বৌমাকে ফেরত পেতে ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।

আসমা বেগমের ছোট কন্যা মাহিয়া আক্তার বলে,আমি আমার মাকে ফেরত চাই। মা ছাড়া আমার ঘুম আসেনা।

অভিযুক্ত আইয়ুব দফাদার জানান, আমি ইসলামী শরিয়া মোতাবেক
আসমা বেগমকে বিয়ে করেছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য লিয়াকত হাসান লিপু মন্ডল জানান, আইয়ুব দফাদার আমাদের এলাকায় একজন বিষফোঁড়া। তার অত্যাচারে আমাদের এলাকাবাসী অনেকেই নিঃস্ব। আমরা আইয়ুব দফাদারের বিচার চাই।

উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা জানান, আইয়ুব দফাদারের বেতন স্থগিত করা হয়েছে। শুনেছি আয়ুব দফাদার তিন সন্তানের জননীকে বিয়ে করেছে। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Tag :

বালিয়াকান্দিতে ভোক্তা অধিকার অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানে ১২ হাজার টাকা জরিমানা

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আইয়ুব দফাদারের কান্ড ৩ সন্তানের জননীকে পালিয়ে নিয়ে বিয়ে

প্রকাশিত : ০২:৩৮:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০২৪

রাজু আহমেদ, রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের আইয়ুব দফাদার (৫০) তিন সন্তানের জননী আসমা কে বিয়ে করে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন।

এলাকার ঘুরে শোনা যায়, সুখেই চলছিল মিলন ও আসমা দম্পতির সংসার। হঠাৎ আইয়ুব দফাদারের কুদৃষ্টিতে ধ্বংস হলো আসমা ও মিলন দম্পতির সংসার। আসমা ও মিলন দম্পতির ঘরে তিনটি সন্তান রয়েছে। দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে। বড় ছেলে অনিক শেখ(১৭) মেজো ছেলে সজীব (১৩)ছোট কন্যা মাহি আক্তার (৮)। আসমা ও মিলন দম্পতি সংসার সুখের করার জন্য তারা ঢাকা সাভার গার্মেন্টসের চাকরির পাশাপাশি সেখানেই বসবাস করত। তাদের মধ্যে একটি ঝামেলা হয়। ঝামেলা মীমাংসার জন্য গ্রামের বাড়ি থেকে আইয়ুব দফাদারকে ঢাকা সাভারে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই শুরু হয় আসমার সাথে আইয়ুব দফাদারের প্রেমের সম্পর্ক। এর কিছুদিন পরেই আসমা মিলনকে তালাক দিয়ে দফাদারকে বিয়ে করেন।

এরপর চলতি মাসের ৭ তারিখে আসমার সাবেক স্বামী মিলনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। আসমা কে সে কুপিয়েছে.।কুপানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসমার পরিবারের পক্ষ থেকে মিলনকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখন মামলা ঘাড়ে নিয়ে মিলন পলাতক রয়েছে। মামলার ২ নং আসামি মিলনের পিতা জামিনে এসে আসমার তিন সন্তানকে নিয়ে বড় ঝামেলায় পড়ে আছেন। এবং তারা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে সেই সাথে তাদের বৌমাকে ফেরত পেতে ঘুরছেন দ্বারে দ্বারে।

আসমা বেগমের ছোট কন্যা মাহিয়া আক্তার বলে,আমি আমার মাকে ফেরত চাই। মা ছাড়া আমার ঘুম আসেনা।

অভিযুক্ত আইয়ুব দফাদার জানান, আমি ইসলামী শরিয়া মোতাবেক
আসমা বেগমকে বিয়ে করেছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য লিয়াকত হাসান লিপু মন্ডল জানান, আইয়ুব দফাদার আমাদের এলাকায় একজন বিষফোঁড়া। তার অত্যাচারে আমাদের এলাকাবাসী অনেকেই নিঃস্ব। আমরা আইয়ুব দফাদারের বিচার চাই।

উজানচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলজার হোসেন মৃধা জানান, আইয়ুব দফাদারের বেতন স্থগিত করা হয়েছে। শুনেছি আয়ুব দফাদার তিন সন্তানের জননীকে বিয়ে করেছে। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।