রাজবাড়ী ০১:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দে অভিমানে ছাত্রের আত্মহত্যা।

সিরাজুল ইসলাম (গোয়ালন্দ প্রতিনিধি)

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ফুফু এবং ফুফাতো বোনের সাথে অভিমান করে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক স্কুলছাত্র।

তার নাম রিমন শেখ (১১)। সে স্হানীয় ভাগলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং স্হানীয় জিলা শেখ ও বেদেনা বেগম দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।  রিমনের বাবা ঢাকায় কাজ করেন।  দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছোট।

সোমবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ভাগলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহেব আলী ও নিহত শিশুর স্বজনরা জানান, সোমবার সকালে রিমনের ফুপু ও ফুফাতো বোন কেনাকাটার জন্য  রাজবাড়ী শহরে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। এ সময় রিমনও তাদের সাথে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে । কিন্তু তারা রিমনকে নিতে না চাইলে তার জেদ বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে তারা রিমনকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে কেনাকাটা করতে চলে যায়।

 কিছুক্ষণ পর পাশের বাড়ির লোকজন ওই ঘরের মধ্যে কিছু একটা পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পান। তখন তারা দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় রিমন নিজেদের ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঝুঁলছে। তাকে দ্রুত ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্বত্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই শিশু রিমনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটি গলায় ফাঁস নিয়েই আত্নহত্যা করেছে। তার গলায় ফাঁস নেওয়ার দাগও রয়েছে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

Tag :

গোয়ালন্দে অভিমানে ছাত্রের আত্মহত্যা।

প্রকাশিত : ১২:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০২২

সিরাজুল ইসলাম (গোয়ালন্দ প্রতিনিধি)

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ফুফু এবং ফুফাতো বোনের সাথে অভিমান করে গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক স্কুলছাত্র।

তার নাম রিমন শেখ (১১)। সে স্হানীয় ভাগলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং স্হানীয় জিলা শেখ ও বেদেনা বেগম দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান।  রিমনের বাবা ঢাকায় কাজ করেন।  দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছোট।

সোমবার (৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ছোটভাকলা ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত ভাগলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহেব আলী ও নিহত শিশুর স্বজনরা জানান, সোমবার সকালে রিমনের ফুপু ও ফুফাতো বোন কেনাকাটার জন্য  রাজবাড়ী শহরে যাওয়ার উদ্যোগ নেন। এ সময় রিমনও তাদের সাথে যাওয়ার জন্য বায়না ধরে । কিন্তু তারা রিমনকে নিতে না চাইলে তার জেদ বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে তারা রিমনকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে কেনাকাটা করতে চলে যায়।

 কিছুক্ষণ পর পাশের বাড়ির লোকজন ওই ঘরের মধ্যে কিছু একটা পড়ে যাওয়ার শব্দ শুনতে পান। তখন তারা দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় রিমন নিজেদের ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ঝুঁলছে। তাকে দ্রুত ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্বত্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রবিউল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই শিশু রিমনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটি গলায় ফাঁস নিয়েই আত্নহত্যা করেছে। তার গলায় ফাঁস নেওয়ার দাগও রয়েছে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।