রাজবাড়ী ০১:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীর কৃতি সন্তান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম মতিউর রহমান জুয়েল স্যারের শুভ জন্মদিন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আজ ২৪ নভেম্বর।

রাজবাড়ীর কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দারুণ গর্ব লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম মতিউর রহমান জুয়েল স্যারের শুভ জন্মদিন।

রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলার ভাতশালা গ্রামের জমিদার আবাদুল্লাহ শাহ (যিনি আরব থেকে আগত) এর পুত্র শাহ ফরাতুল্লাহ, তাঁর পুত্র শাহ হেরাজতুল্লাহ। তাঁর পুত্র শাহ হাতেম আলি। তাঁর পুত্র শাহ লুৎফর রহমান যিনি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধেের সময় বৃটিশ বিমান বাহিনীর একজন কৃতি অফিসার ছিলেন। পরে তিনি কশবামাজাইল ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন পাট্টা ইউনিয়নের বেশিরভাগ অংশ এই ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত ছিলো। ( ১৯৬০-১৯৬৫)। ৬২ তে এমএনএ পদে নির্বাচন করেছেন। তিনি বাংলা,ইংরেজী, আরবি,ফার্সি,উর্দু ও হিন্দি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। এল আর শাহ কাব্যচর্চা করেছেন ও বেশ কিছু কবিতা লিখেছেন। তার নামে হাইস্কুল এবং এলাকায় সরকারি রাস্তা ( ৬৮ সাল থেকে) আছে। তাঁর পুত্র জেনারেল মতিউর রহমান অত্র হাইস্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছেন যা কেওয়াগ্রামে গড়াই নদীর পাশে অবস্থিত।

এস এম মতিউর রহমান জুয়েল স্যার
এএফডব্লিউসি, পিএসসি, একজন থ্রি-স্টার পদমর্যাদার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অফিসার, একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল এবং বর্তমানে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিপূর্বে তিনি জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডক্টরিন কমান্ড (জিওসি এআরটিডিওসি), ময়মনসিংহ সেনানিবাস এর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ট্রাস্ট ব্যাংক এর পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন। তিনি ৫৫তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এবং যশোর এলাকার এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর এর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ৪৬তম স্বাধীন পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি তার কর্মজীবনে ব্যাটালিয়ন, ব্রিগেড এবং ডিভিশন পর্যায়ে বিভিন্ন কমান্ড এবং কর্মী নিয়োগে ভূষিত হন। এছাড়াও, তিনি বহু বছর ধরে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি এবং ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিক্স স্কুলে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং এইভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতাদের তৈরি ও সাজাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

যখন তিনি মেজর ছিলেন তখন ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে সাবেক যুগোস্লাভিয়ায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন এ অংশ নিয়েছিলেন। তিনি ২০০৮-২০০৯ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানের অংশ হিসেবে আইভরি কোস্টে একটি বাংলাদেশী সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দেন।

কর্নেল হিসেবে তিনি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) নিয়োগ করেন। তার অধীনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দক্ষিণ এশিয়া এর অন্যতম প্রধান সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ এর সন্দেহভাজন সদস্যদের ধরে নিয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে তিনি একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একমাত্র প্যারা-কমান্ডো ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ছিলেন। যখন তিনি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে উন্নীত হন, তখন তিনি ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ব্রিগেড – ৪৬তম স্বাধীন পদাতিক ব্রিগেড কমান্ড করেন।

তিনি ৫৫তম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অ্যাসল্ট রিভার ক্রসিং ২০১৬ আয়োজন করেছিলেন, যেখানে সেনাবাহিনী প্রথমবারের মতো ড্রোন ব্যবহার করে শত্রুর অবস্থান শনাক্ত করে।

তিনি ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে সেনাবাহিনীর সদর দফতরে অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে তিনি আর্মি হাউজিং স্কিম, ক্যাডেট কলেজের গভর্নিং বডি, ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেস এবং ট্রাস্ট টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান। তিনি সেন কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান এবং সেনা কল্যাণ ট্রাস্ট এবং সেনা হোটেল ডেভেলপমেন্টস লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি আর্মি গলফ ক্লাব (এজিসি), ঢাকা সেনানিবাসের বর্তমান সভাপতি।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে তিনি কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো(সিটিআইবি)এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে তিনি রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করছেন।

রাজবাড়ীসহ দেশের অসংখ্য মানুষের জন্য তার অবদান বলে শেষ করা যাবেনা। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন মানব হিতৈষী, জন দরদী, নিরহংকারী উন্নত চরিত্রের অধিকারী এই ভালো মানুষটিকে অনেকদিন সুস্থতার সাথে মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ দেন। জুয়েল স্যার এবং উনার পরিবারের প্রতি অনেক অনেক শুভকামনা।

Tag :

রাজবাড়ীর কৃতি সন্তান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম মতিউর রহমান জুয়েল স্যারের শুভ জন্মদিন

প্রকাশিত : ০৬:৩৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

 

নিজস্ব প্রতিবেদক :

আজ ২৪ নভেম্বর।

রাজবাড়ীর কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দারুণ গর্ব লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এম মতিউর রহমান জুয়েল স্যারের শুভ জন্মদিন।

রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলার ভাতশালা গ্রামের জমিদার আবাদুল্লাহ শাহ (যিনি আরব থেকে আগত) এর পুত্র শাহ ফরাতুল্লাহ, তাঁর পুত্র শাহ হেরাজতুল্লাহ। তাঁর পুত্র শাহ হাতেম আলি। তাঁর পুত্র শাহ লুৎফর রহমান যিনি দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধেের সময় বৃটিশ বিমান বাহিনীর একজন কৃতি অফিসার ছিলেন। পরে তিনি কশবামাজাইল ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন পাট্টা ইউনিয়নের বেশিরভাগ অংশ এই ইউনিয়নের অন্তর্ভূক্ত ছিলো। ( ১৯৬০-১৯৬৫)। ৬২ তে এমএনএ পদে নির্বাচন করেছেন। তিনি বাংলা,ইংরেজী, আরবি,ফার্সি,উর্দু ও হিন্দি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। এল আর শাহ কাব্যচর্চা করেছেন ও বেশ কিছু কবিতা লিখেছেন। তার নামে হাইস্কুল এবং এলাকায় সরকারি রাস্তা ( ৬৮ সাল থেকে) আছে। তাঁর পুত্র জেনারেল মতিউর রহমান অত্র হাইস্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেছেন যা কেওয়াগ্রামে গড়াই নদীর পাশে অবস্থিত।

এস এম মতিউর রহমান জুয়েল স্যার
এএফডব্লিউসি, পিএসসি, একজন থ্রি-স্টার পদমর্যাদার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অফিসার, একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল এবং বর্তমানে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিপূর্বে তিনি জিওসি, আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডক্টরিন কমান্ড (জিওসি এআরটিডিওসি), ময়মনসিংহ সেনানিবাস এর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ট্রাস্ট ব্যাংক এর পরিচালনা পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন। তিনি ৫৫তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) এবং যশোর এলাকার এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর এর পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ৪৬তম স্বাধীন পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি তার কর্মজীবনে ব্যাটালিয়ন, ব্রিগেড এবং ডিভিশন পর্যায়ে বিভিন্ন কমান্ড এবং কর্মী নিয়োগে ভূষিত হন। এছাড়াও, তিনি বহু বছর ধরে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি এবং ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিক্স স্কুলে প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং এইভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভবিষ্যৎ নেতাদের তৈরি ও সাজাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন।

যখন তিনি মেজর ছিলেন তখন ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে সাবেক যুগোস্লাভিয়ায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন এ অংশ নিয়েছিলেন। তিনি ২০০৮-২০০৯ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা অভিযানের অংশ হিসেবে আইভরি কোস্টে একটি বাংলাদেশী সামরিক বাহিনীর নেতৃত্ব দেন।

কর্নেল হিসেবে তিনি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বাহিনীর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) নিয়োগ করেন। তার অধীনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দক্ষিণ এশিয়া এর অন্যতম প্রধান সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মুহাম্মদ এর সন্দেহভাজন সদস্যদের ধরে নিয়েছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে তিনি একটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একমাত্র প্যারা-কমান্ডো ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ছিলেন। যখন তিনি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে উন্নীত হন, তখন তিনি ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পদাতিক ব্রিগেড – ৪৬তম স্বাধীন পদাতিক ব্রিগেড কমান্ড করেন।

তিনি ৫৫তম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অ্যাসল্ট রিভার ক্রসিং ২০১৬ আয়োজন করেছিলেন, যেখানে সেনাবাহিনী প্রথমবারের মতো ড্রোন ব্যবহার করে শত্রুর অবস্থান শনাক্ত করে।

তিনি ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে সেনাবাহিনীর সদর দফতরে অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে যোগদান করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল হিসেবে তিনি আর্মি হাউজিং স্কিম, ক্যাডেট কলেজের গভর্নিং বডি, ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসেস এবং ট্রাস্ট টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান। তিনি সেন কল্যাণ সংস্থার ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান এবং সেনা কল্যাণ ট্রাস্ট এবং সেনা হোটেল ডেভেলপমেন্টস লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি আর্মি গলফ ক্লাব (এজিসি), ঢাকা সেনানিবাসের বর্তমান সভাপতি।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে তিনি কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো(সিটিআইবি)এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বর্তমানে তিনি রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করছেন।

রাজবাড়ীসহ দেশের অসংখ্য মানুষের জন্য তার অবদান বলে শেষ করা যাবেনা। মহান আল্লাহ তায়ালা যেন মানব হিতৈষী, জন দরদী, নিরহংকারী উন্নত চরিত্রের অধিকারী এই ভালো মানুষটিকে অনেকদিন সুস্থতার সাথে মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ দেন। জুয়েল স্যার এবং উনার পরিবারের প্রতি অনেক অনেক শুভকামনা।