
আসিফের স্বপ্ন ডাক্তার হবো,অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত।
স্টাফ রিপোর্টার
এক অদম্য তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা নাম আসিফ। এসএসসি পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে । হাজারো ও কষ্টের মধ্যে প্রতিকূলতার মধ্যে দিয়ে জীবন যুদ্ধে এক সৈনিক।পরিবারের অসচ্ছলতা কারনে পড়ালেখার খরচ অর্থ অভাবে হিমশিম খাচ্ছে তার বাবা- মা। দারিদ্র পরিবারের তিন সন্তানের মধ্যে আসিফ সবার বড়। বাবা দিন মজুর মা গৃহিণী বাবার দিন মজুরি তে কোন রকম সংসার চলে যাচ্ছে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ এ প্লাস পেয়েও অর্থের অভাবে কলেজে ভর্তি হওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
আসিফ প্রারামানিক গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের সরুপাড়চড় গ্রামের বাদশা প্রারামানিক বড় ছেলে।চলতি দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুলে বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি।
আসিফের বাবা বাদশা প্রারামানিক বলেন,নদী ভাঙ্গা মানুষ আমরা থাকি পরের জায়গায়। আগে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় থাকতাম আর হকারি করতাম। এখন দেবগ্রাম শরুপার চরে আসি পরের জায়গা ভাড়া নিয়ে। একা একা কাজ করি আমার ছেলেটা কে কষ্ট করে পড়াশোনা করাই । আমার ছেলে এ+ পেয়েছে। ওর পড়ালেখার জন্য আমার যতোই কষ্ট হয় হক তবু ওকে মানুষের মত মানুষ করবো।
আসিফের মা আসমা বেগম বলেন, আমাদের কষ্ট হয় হোক তবু ছেলে টারে ডাক্তারী পড়াবো। দরকার হলে আমি মানুষের বাড়ি কাজে যামু। আমি কাজ করুম তবু আমার ছেলেটা পাশে থাকবো। আমার ছেলেটা কে একটু খাবার ও দিতে পাবি না। শেষ কুরবানীতে মাংস খেয়েছিলাম, মাছ খেয়েছি তাও পনের দিন আগে। হাজার কষ্টের পর আমার ছেলেটা কে ডাক্তারী পড়ানোর ইচ্ছা। আমি সকলে নিকট সাহায্য কামনা করি।
দৌলতদিয়া মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক, শহিদুল ইসলাম বলেন, আসিফ আমার স্কুলের গর্ব। নীতি আর্দশবান,বিনয়ী, ভদ্র ও মেধাবী। জেলায় বিভিন্ন কুইজ প্রতিযোগিতায় ২য় ও ৩য় স্থান অর্জন করেছে এবং উপজেলা পর্যায়ে ৭ মার্চের ভাষণে কয়েক বার প্রথম স্থান অর্জন করেছে।