রাজবাড়ী ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
রাজবাড়ীতে অগ্নিযুগের বিপ্লবী ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামী,মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,কমরেড আশু ভরদ্বাজের ৩২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত রাজবাড়ী বালিয়াকান্দিতে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু রাজবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলায় আ. লীগের ১০ নেতা কারাগারে রাজবাড়ীতে বর্ণাঢ্য পহেলা বৈশাখ উদযাপিত। বৈশাখী মেলা ( মারিয়া শাইরি) বালিয়াকান্দিতে কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে পাট বীজ ও সার বিতরণ  রাজবাড়ীতে আ. লীগের ১৯ নেতাকর্মী কারাগারে নবাবপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে জনসভা অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীতে পেয়াজ চাষ ও চাষিদের নিয়ে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত রাজবাড়ীতে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষ্যে সভা অনুষ্ঠিত।

রাজবাড়ীতে তীব্র গরম, লোডশেডিংয়ে জনজীবন দুর্বিসহ

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

কয়লা সংকটে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়াতে এর প্রভাব পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলা রাজবাড়ীতেও। দেখা দিয়েছে তীব্র লোডশেডিং। গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড তাপদাহ ও ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত ও দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু বাচ্চা ও বয়স্করা।

ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক ও শিক্ষার্থীরা এবং উৎপাদনমুখী কল-কারখানার মালিকরা।

ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক ও শিক্ষার্থীরা এবং উৎপাদনমুখী কল-কারখানার মালিকরা।

তীব্র গরমে পুড়ে যাচ্ছে জনপদ, মাঠ-ঘাট ও শষ্যের ক্ষেত। কোথাও স্বস্তির বাতাস নেই। সর্বত্র গরম আর গরম, কখনও প্রচণ্ড, আবার কখনও ভ্যাপসা গরম। বৈশাখ শেষ, জ্যৈষ্ঠ মাসও শেষের পথে তবুও বৃষ্টির দেখা নেই। ভ্যাপসা গরমের তাণ্ডব চলছে জনপদে, সূর্যের প্রখরতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুপুর হতে না হতেই সড়ক বাজারে লোক কমে যাচ্ছে। একটু প্রশান্তির জন্য গাছতলায় ঠাই নিচ্ছে মানুষ। অসহনীয় তাপ, রৌদ্রযন্ত্রণা সেই সঙ্গে পানির সংকটে জনজীবনকে আরও এক ধাপ বিপর্যয়ের মুখে নিক্ষিপ্ত করছে।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, একদিকে দেশব্যাপী বইছে তাপপ্রবাহ, আরেকদিকে চলছে ভয়াবহ লোডশেডিং। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সারাদেশের ন্যায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করেছে রাজবাড়ীতেও। জেলার কোনো কোনো এলাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিন-চারবার লোডশেডিং করা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও ভয়াবহ। দিনের অর্ধেক বেলাও বিদ্যুৎ থাকছে।

জানা গেছে, রাজবাড়ী জেলার ৫ উপজেলাতে বিভিন্ন এলাকা ভেদে ৫ থেকে ১০ ঘণ্টা বা এরও বেশি সময় ধরে থাকছে না বিদ্যুৎ। গরমে সব বয়সের মানুষের কষ্ট বাড়লেও শিশু ও বয়স্কদের বেশি অসুবিধা হচ্ছে। বিদ্যুৎ আসা যাওয়াতে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

সজ্জনকান্দা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হারুন অর রশিদ বলেন, হঠাৎ লোডশেডিং এর তীব্রতা বেড়েছে। এক ঘণ্টা পর পর বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। দিনে যেমন তেমন থাকা যায় কিন্তু রাতে লোডশেডিং এর কারণে তীব্র গরমে রুমের মধ্যে থাকায় কষ্ট হয় যায়। সব থেকে অসুবিধা হচ্ছে শিশু বাচ্চা ও বয়স্কদের। এছাড়াও ঘন ঘন লোডশেডিং এ বাচ্চাদের পড়ালেখায় অসুবিধা হচ্ছে।

রাজবাড়ী ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাহিয়ান মাহমুদ দীপ জানায়, লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে পড়তে পারি না। ২০/২৫ মিনিট পরপরই বিদ্যুৎ চলে যায়। আবার দেড় ঘণ্টা দুই ঘণ্টা পর আসে। বিদুৎ না থাকলে গরমে শরীর ঘেমে যায়।

রাজবাড়ী শহরের কাজীকান্দা এলাকার বাসিন্দা সোহাগ হোসেন বলেন, দিনের বেলাতো বিদ্যুৎ যাচ্ছেই কিন্তু রাতে আরও বেশি যাচ্ছে। দিনের বেলা কোনো মত কাটিয়ে দেওয়া গেলেও রাতে বেশি অসুবিধা হচ্ছে। আমরা গরম সহ্য করে থাকতে পারলেও বাচ্চারা পারে না। বিদ্যুৎ চলে গেলে তারা ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি করে। হাতপাখা দিয়ে বাতাস দিতে হয়। বাতাস না দিলে ঘেমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

রাজবাড়ী শহরের ডিজিটাল প্লাস কালার ল্যাবের মালিক খবির বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিং এর প্রভাব আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যের ওপর পড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকলে আমরা কম্পিউটারের কাজগুলো করতে পারি না। বিদ্যুৎ ঠিক মতন না থাকায় সঠিক সময়ে ক্লাইন্টদের কাজগুলো ডেলিভারিও দিতে পাড়ছি না। এতে তারাও বিরক্ত হচ্ছেন।

রাজবাড়ী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সম্প্রতি কয়লা সংকটের কারণে পায়ারা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও দেশের আরও কয়েকটি বিদুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে সারাদেশে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো থেকে জাতীয় গ্রিডে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে না। ফলে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, রাজবাড়ী জেলায় ওজোপাডিকো ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকদের জন্য প্রয়োজন ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সেখানে আমাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ মেগাওয়াট। তার মানে আমাদের ঘটতি থেকে যাচ্ছে ২৪ থেকে ২৫ মেগাওয়াট। এ ঘাটতি পূরণ করার জন্য লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানান তিনি।

রাজবাড়ী ওজোপাডিকো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন অর রশিদ বলেন, রাজবাড়ীতে ওজোপাডিকো’র সব মিলিয়ে গ্রাহক প্রায় এক লাখ। এই গ্রাহকের জন্য দরকার দিনে ৩৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর রাতে দরকার ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সেখানে আমরা গড়ে পাচ্ছি ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। তারমানে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এই জন্য এক ঘণ্টা পর পর এলাকাভিত্তিক করে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

রাজবাড়ী পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান বলেন, রাজবাড়ীতে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার। এই গ্রাহকের জন্য ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ প্রয়োজন ৫০ মেগাওয়াট। কিন্তু আমরা জাতীয় গ্রিড থেকে বর্তমানে পাচ্ছি ৩০ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট। আমাদের দিনে চাহিদা থাকে ৩৫ মেগাওয়াট, সেখানে আমরা পাচ্ছি ২৫ মেগাওয়াট। রাতে চাহিদা থাকে ৫০ মেগাওয়াট, সেখানে আমরা পাচ্ছি ৩০ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় দিনে রাতে এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। লোডশেডিং দেয়া ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।

Tag :

রাজবাড়ীতে অগ্নিযুগের বিপ্লবী ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রামী,মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক,কমরেড আশু ভরদ্বাজের ৩২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

রাজবাড়ীতে তীব্র গরম, লোডশেডিংয়ে জনজীবন দুর্বিসহ

প্রকাশিত : ০৮:১৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

কয়লা সংকটে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়াতে এর প্রভাব পড়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলা রাজবাড়ীতেও। দেখা দিয়েছে তীব্র লোডশেডিং। গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড তাপদাহ ও ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত ও দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু বাচ্চা ও বয়স্করা।

ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক ও শিক্ষার্থীরা এবং উৎপাদনমুখী কল-কারখানার মালিকরা।

ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষক ও শিক্ষার্থীরা এবং উৎপাদনমুখী কল-কারখানার মালিকরা।

তীব্র গরমে পুড়ে যাচ্ছে জনপদ, মাঠ-ঘাট ও শষ্যের ক্ষেত। কোথাও স্বস্তির বাতাস নেই। সর্বত্র গরম আর গরম, কখনও প্রচণ্ড, আবার কখনও ভ্যাপসা গরম। বৈশাখ শেষ, জ্যৈষ্ঠ মাসও শেষের পথে তবুও বৃষ্টির দেখা নেই। ভ্যাপসা গরমের তাণ্ডব চলছে জনপদে, সূর্যের প্রখরতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুপুর হতে না হতেই সড়ক বাজারে লোক কমে যাচ্ছে। একটু প্রশান্তির জন্য গাছতলায় ঠাই নিচ্ছে মানুষ। অসহনীয় তাপ, রৌদ্রযন্ত্রণা সেই সঙ্গে পানির সংকটে জনজীবনকে আরও এক ধাপ বিপর্যয়ের মুখে নিক্ষিপ্ত করছে।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, একদিকে দেশব্যাপী বইছে তাপপ্রবাহ, আরেকদিকে চলছে ভয়াবহ লোডশেডিং। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে প্রাণিকূল। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সারাদেশের ন্যায় লোডশেডিংয়ের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করেছে রাজবাড়ীতেও। জেলার কোনো কোনো এলাকায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তিন-চারবার লোডশেডিং করা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও ভয়াবহ। দিনের অর্ধেক বেলাও বিদ্যুৎ থাকছে।

জানা গেছে, রাজবাড়ী জেলার ৫ উপজেলাতে বিভিন্ন এলাকা ভেদে ৫ থেকে ১০ ঘণ্টা বা এরও বেশি সময় ধরে থাকছে না বিদ্যুৎ। গরমে সব বয়সের মানুষের কষ্ট বাড়লেও শিশু ও বয়স্কদের বেশি অসুবিধা হচ্ছে। বিদ্যুৎ আসা যাওয়াতে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

সজ্জনকান্দা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হারুন অর রশিদ বলেন, হঠাৎ লোডশেডিং এর তীব্রতা বেড়েছে। এক ঘণ্টা পর পর বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। দিনে যেমন তেমন থাকা যায় কিন্তু রাতে লোডশেডিং এর কারণে তীব্র গরমে রুমের মধ্যে থাকায় কষ্ট হয় যায়। সব থেকে অসুবিধা হচ্ছে শিশু বাচ্চা ও বয়স্কদের। এছাড়াও ঘন ঘন লোডশেডিং এ বাচ্চাদের পড়ালেখায় অসুবিধা হচ্ছে।

রাজবাড়ী ইয়াছিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী নাহিয়ান মাহমুদ দীপ জানায়, লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে পড়তে পারি না। ২০/২৫ মিনিট পরপরই বিদ্যুৎ চলে যায়। আবার দেড় ঘণ্টা দুই ঘণ্টা পর আসে। বিদুৎ না থাকলে গরমে শরীর ঘেমে যায়।

রাজবাড়ী শহরের কাজীকান্দা এলাকার বাসিন্দা সোহাগ হোসেন বলেন, দিনের বেলাতো বিদ্যুৎ যাচ্ছেই কিন্তু রাতে আরও বেশি যাচ্ছে। দিনের বেলা কোনো মত কাটিয়ে দেওয়া গেলেও রাতে বেশি অসুবিধা হচ্ছে। আমরা গরম সহ্য করে থাকতে পারলেও বাচ্চারা পারে না। বিদ্যুৎ চলে গেলে তারা ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি করে। হাতপাখা দিয়ে বাতাস দিতে হয়। বাতাস না দিলে ঘেমে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

রাজবাড়ী শহরের ডিজিটাল প্লাস কালার ল্যাবের মালিক খবির বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিং এর প্রভাব আমাদের ব্যবসা বাণিজ্যের ওপর পড়েছে। বিদ্যুৎ না থাকলে আমরা কম্পিউটারের কাজগুলো করতে পারি না। বিদ্যুৎ ঠিক মতন না থাকায় সঠিক সময়ে ক্লাইন্টদের কাজগুলো ডেলিভারিও দিতে পাড়ছি না। এতে তারাও বিরক্ত হচ্ছেন।

রাজবাড়ী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের এক উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সম্প্রতি কয়লা সংকটের কারণে পায়ারা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়াও দেশের আরও কয়েকটি বিদুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে সারাদেশে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো থেকে জাতীয় গ্রিডে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিদ্যুৎ যোগ হচ্ছে না। ফলে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, রাজবাড়ী জেলায় ওজোপাডিকো ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকদের জন্য প্রয়োজন ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সেখানে আমাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৬ মেগাওয়াট। তার মানে আমাদের ঘটতি থেকে যাচ্ছে ২৪ থেকে ২৫ মেগাওয়াট। এ ঘাটতি পূরণ করার জন্য লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানান তিনি।

রাজবাড়ী ওজোপাডিকো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন অর রশিদ বলেন, রাজবাড়ীতে ওজোপাডিকো’র সব মিলিয়ে গ্রাহক প্রায় এক লাখ। এই গ্রাহকের জন্য দরকার দিনে ৩৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। আর রাতে দরকার ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সেখানে আমরা গড়ে পাচ্ছি ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। তারমানে চাহিদার তুলনায় অর্ধেক ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এই জন্য এক ঘণ্টা পর পর এলাকাভিত্তিক করে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

রাজবাড়ী পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী মো. মফিজুর রহমান বলেন, রাজবাড়ীতে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে দুই লাখ ৫০ হাজার। এই গ্রাহকের জন্য ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ প্রয়োজন ৫০ মেগাওয়াট। কিন্তু আমরা জাতীয় গ্রিড থেকে বর্তমানে পাচ্ছি ৩০ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট। আমাদের দিনে চাহিদা থাকে ৩৫ মেগাওয়াট, সেখানে আমরা পাচ্ছি ২৫ মেগাওয়াট। রাতে চাহিদা থাকে ৫০ মেগাওয়াট, সেখানে আমরা পাচ্ছি ৩০ থেকে ৩৫ মেগাওয়াট। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় দিনে রাতে এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। লোডশেডিং দেয়া ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।