
জেলা প্রতিনিধি।।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার সিংগাইর গ্রামের সুচিন্ত্য কুমার সেনের খামারে কোরবানির জন্য লালনপালন করা হয়েছে একটি গরুকে। আদর করে তার নাম রাখা হয়েছে ‘সিংহরাজ’। ওজন ৩৫ মণ। আর সিংহরাজের দাম হাঁকা হচ্ছে ২৫ লাখ টাকা। কোরবানি ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এ গরুকে।
সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে লালনপালন হচ্ছে সিংহরাজকে। প্রতিদিন তার খাদ্যতালিকায় রয়েছে খুদের ভাত, ডাব ও গুড় দিয়ে তৈরি শরবত, কাঁচা-পাকা কলা, গমের ভুসি ও কাঁচা ঘাস। সিংহরাজকে দেখার জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছে সেই খামারে। অনেকেই মোবাইল ফোনে তুলছে ছবি।
সিংহরাজকে দেখতে আসা মীর সৌরভ বলেন, আমি কোনদিন এতো বড় ষাঁড় গরু দেখেনি। ফেসবুকে ছবি দেখে আজ বিকেলে ষাঁড়টিকে দেখতে আসমলাম। অনেক ভালো লাগলো। তবে বুঝতে পেরেছি খামারি অনেক কষ্ট করে ষাঁড়টিকে এতো বড় করেছে।
আরেক দর্শনার্থী শরিফুল ইসলাম জানান, আমি কোরবানির জন্য ষাঁড় কিনবো। তবে এতো বড় ষাঁড় কেনার প্রস্তুতি এ বছর আমার নেই। সিংহরাজ কালো রংয়ের বিশাল আকারের হাতির মতো বড় দেখতে।
সিংহরাজকে দেখতে আসা দর্শনার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ফেসবুকে দেখে জানতে পারি সুচিন্ত্য নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে বড় একটি ষাঁড় গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করছে।পরে তার বাড়িতে ষাঁড় গরুটি দেখতে আসলাম। ষাঁড়টি বেশ বড়। রাজবাড়ী, ফরিদপুর, পাবনাসহ আশেপাশের কয়েক জেলায় এতবড় কোরবানির ষাঁড় আর নেই।
খামারি সুচিন্ত্য সেন বলেন, চার বছর আগে কুষ্টিয়া থেকে ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি কিনেছি। আদর করে নাম রাখা হয়েছে সিংহরাজ। একে লালনপালন করতে গিয়ে আমার ঋণ করতে হয়েছে। এর বর্তমান ওজন হবে ৩৫ থেকে ৪০ মণ। ২৫ লাখ টাকা দাম চাচ্ছি।
রাজবাড়ী সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. খায়ের উদ্দীন আহমেদ বলেন, কোরবানি উপলক্ষে খামারিদের সঙ্গে আমরা সবসময় যোগাযোগ রাখছি, সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছি।
প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ীতে এ বছর ২ হাজার ৩২৫টি খামারে কোরবানির উপযোগী লক্ষাধিক গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ প্রস্তুত রয়েছে।