রাজবাড়ী ০৪:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বসন্তপুর ইউনিয়ন ভবানীপুর প্রবাসী ফেরত কাজী সিদ্দিক মাল্টা চাষে লাভবান

উপজেলা প্রতিনিধি

সারিবদ্ধ গাছে গাছে ঝুলছে মাল্টা। প্রতিটি গাছে এতোবেশি মাল্টা ধরেছে যে ফলের ভারে গাছের ডালগুলো মাটির দিকে নুয়ে পড়েছে।

রাজবাড়ী জেলা কৃষি নির্ভর উপজেলা বসন্তপুরে বড় ভবানীপুর এমন চিত্রই চোখে পড়ে। এখানকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকা কৃষি কাজের ওপর নিভর্রশীল।

অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বছর দুই ধরে এখানে চাষ হচ্ছে মাল্টা। অল্প টাকা আর শ্রমে বেশি লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকায় এই ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২২সালে উপজেলার রাজবাড়ী জেলা বসন্তপুর ইউনিয়ন বড় ভবানীপুর পত্তনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫০ হেক্টর জমিতে ৬২টি বাগানে মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে। সাইট্রাস ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট থেকে এখানকার কৃষকদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে গাছের চারা, সার, কীটনাশক এবং ওষুধ।চাষ শুরুর কয়েক মাস আগে থেকে মাল্টা চাষের ওপরের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।

কথা হয় মাল্টা চাষি কাজী সিদ্দিকুর সঙ্গে। তিনি দৈনিক রাজবাড়ী সময় বলেন, আমি ৩০ শতাংশ জায়গায় ২৫০টি মাল্টা গাছ রোপণ করেছি। আগে মূলত এখানে কাঁঠাল গাছ এবং বাঁশ বাগান ছিল। এগুলোতে বেশি লাভ না হওয়ায় দুই বছর ধরে মাল্টা চাষ করছি। প্রথমবার গাছে ভালো ফলন হয়েছে। এর আগে কোনো গাছে এতো ভালো ফলন হয়নি। আশা করছি, এবারও ভালো ফলন হবে আর মাল্টা বিক্রি করে লাভবান হবো।

Tag :

বসন্তপুর ইউনিয়ন ভবানীপুর প্রবাসী ফেরত কাজী সিদ্দিক মাল্টা চাষে লাভবান

প্রকাশিত : ০৫:৪৫:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অক্টোবর ২০২২

উপজেলা প্রতিনিধি

সারিবদ্ধ গাছে গাছে ঝুলছে মাল্টা। প্রতিটি গাছে এতোবেশি মাল্টা ধরেছে যে ফলের ভারে গাছের ডালগুলো মাটির দিকে নুয়ে পড়েছে।

রাজবাড়ী জেলা কৃষি নির্ভর উপজেলা বসন্তপুরে বড় ভবানীপুর এমন চিত্রই চোখে পড়ে। এখানকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকা কৃষি কাজের ওপর নিভর্রশীল।

অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বছর দুই ধরে এখানে চাষ হচ্ছে মাল্টা। অল্প টাকা আর শ্রমে বেশি লাভবান হওয়ার সুযোগ থাকায় এই ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০২২সালে উপজেলার রাজবাড়ী জেলা বসন্তপুর ইউনিয়ন বড় ভবানীপুর পত্তনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ৫০ হেক্টর জমিতে ৬২টি বাগানে মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে। সাইট্রাস ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট থেকে এখানকার কৃষকদের বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে গাছের চারা, সার, কীটনাশক এবং ওষুধ।চাষ শুরুর কয়েক মাস আগে থেকে মাল্টা চাষের ওপরের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।

কথা হয় মাল্টা চাষি কাজী সিদ্দিকুর সঙ্গে। তিনি দৈনিক রাজবাড়ী সময় বলেন, আমি ৩০ শতাংশ জায়গায় ২৫০টি মাল্টা গাছ রোপণ করেছি। আগে মূলত এখানে কাঁঠাল গাছ এবং বাঁশ বাগান ছিল। এগুলোতে বেশি লাভ না হওয়ায় দুই বছর ধরে মাল্টা চাষ করছি। প্রথমবার গাছে ভালো ফলন হয়েছে। এর আগে কোনো গাছে এতো ভালো ফলন হয়নি। আশা করছি, এবারও ভালো ফলন হবে আর মাল্টা বিক্রি করে লাভবান হবো।