রাজবাড়ী ০৪:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত।

মোঃসিরাজুল ইসলাম (গোয়ালন্দ)প্রতিনিধি।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রাম বাংলার ঐহিত্যবাহি লাঠি খেলা। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে শুরু হয় এই লাঠি খেলা।
হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতি ঢাকঢোলের ছন্দময় বাজানোর তালে তালে লাঠিয়ালরা প্রদর্শন করেন তাদের কসরত।

গতকালশুক্রবার (২১ অক্টোবর) দুপুর হতেই দুর দুরান্ত থেকে হাজার হাজার দর্শক জড়ো হতে থাকে উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের আরপিডিএস মাঠে। বিকাল থেকে শুরু হওয়া এ লাঠি খেলায় যৌথ ভাবে আয়োজন করে দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সাধারন জনগণ। এতে অন্তত ৪০ জন লাঠিয়াল অংশগ্রহণ করে প্রদর্শন করেন তাদের কসরত।

আবহমান বাংলার ঐতিহ্যেবাহী এই লাঠিখেলাকে ঘিরে খেলোয়াড়দের মাঝে ছিলো উৎসবের আমেজ। এই খেলা উপভোগ করেন স্থানীয়রাসহ দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজারো দর্শক। নিয়মিত লাঠি খেলার আয়োজনের দাবি জানান তারা।

নতুন প্রজন্মকে পুরনো ঐতিহ্য স্মরণ করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষায় এ সকল আয়োজন প্রয়োজন বলে জানালেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বাঙালির হারানো সংস্কৃতি ফেরানো গেলে মাদক, জঙ্গিবাদ, অপসংস্কৃতি থেকে সমাজকে রক্ষা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ মোস্তফা মুন্সি, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, নব নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য ইউনুছ মোল্লা, দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল প্রমুখ।

উপস্থিত দর্শকরা আনন্দ প্রকাশ করে আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন পর এ লাঠি খেলা দেখে খুব ভালো লাগছে। লাঠিয়ালরা জানান, এক সময়ে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে লাঠি খেলা হতো। এখন আর খেলা হয় না। তাই অন্য পেশার সাথে অনেকটা শখের বসেই পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে শেখা এই লাঠি খেলা খেলে থাকেন।
উপজেরা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সি জানান, নতুন প্রজন্মকে স্মরন করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পুরানো ঐহিত্যবাহি সকল কৃষ্টি কালচার ও সকল ধরনের খেলাধুলাকে পুনরুদ্ধারের জন্য ঐতিহ্যবাহি এ সকল অনুষ্ঠান বেশী বেশী করে আয়োজন করা দরকার। বাঙালীর হারানো ক্রীড়া সংস্কৃতি ফেরাতে পারলে মাদক, জঙ্গিবাদ, অপসংস্কৃতি, মোবাইল আসক্তি থেকে সমাজকে রক্ষা সম্ভব।

Tag :

গোয়ালন্দে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত।

প্রকাশিত : ০৪:২৮:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

মোঃসিরাজুল ইসলাম (গোয়ালন্দ)প্রতিনিধি।

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলো গ্রাম বাংলার ঐহিত্যবাহি লাঠি খেলা। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে শুরু হয় এই লাঠি খেলা।
হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতি ঢাকঢোলের ছন্দময় বাজানোর তালে তালে লাঠিয়ালরা প্রদর্শন করেন তাদের কসরত।

গতকালশুক্রবার (২১ অক্টোবর) দুপুর হতেই দুর দুরান্ত থেকে হাজার হাজার দর্শক জড়ো হতে থাকে উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের আরপিডিএস মাঠে। বিকাল থেকে শুরু হওয়া এ লাঠি খেলায় যৌথ ভাবে আয়োজন করে দেবগ্রাম ও দৌলতদিয়া ইউনিয়নের সাধারন জনগণ। এতে অন্তত ৪০ জন লাঠিয়াল অংশগ্রহণ করে প্রদর্শন করেন তাদের কসরত।

আবহমান বাংলার ঐতিহ্যেবাহী এই লাঠিখেলাকে ঘিরে খেলোয়াড়দের মাঝে ছিলো উৎসবের আমেজ। এই খেলা উপভোগ করেন স্থানীয়রাসহ দূর-দূরান্ত থেকে আসা হাজারো দর্শক। নিয়মিত লাঠি খেলার আয়োজনের দাবি জানান তারা।

নতুন প্রজন্মকে পুরনো ঐতিহ্য স্মরণ করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষায় এ সকল আয়োজন প্রয়োজন বলে জানালেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। বাঙালির হারানো সংস্কৃতি ফেরানো গেলে মাদক, জঙ্গিবাদ, অপসংস্কৃতি থেকে সমাজকে রক্ষা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ মোস্তফা মুন্সি, ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান চৌধুরী, নব নির্বাচিত জেলা পরিষদ সদস্য ইউনুছ মোল্লা, দৌলতদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল প্রমুখ।

উপস্থিত দর্শকরা আনন্দ প্রকাশ করে আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন পর এ লাঠি খেলা দেখে খুব ভালো লাগছে। লাঠিয়ালরা জানান, এক সময়ে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে লাঠি খেলা হতো। এখন আর খেলা হয় না। তাই অন্য পেশার সাথে অনেকটা শখের বসেই পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে শেখা এই লাঠি খেলা খেলে থাকেন।
উপজেরা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সি জানান, নতুন প্রজন্মকে স্মরন করিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি পুরানো ঐহিত্যবাহি সকল কৃষ্টি কালচার ও সকল ধরনের খেলাধুলাকে পুনরুদ্ধারের জন্য ঐতিহ্যবাহি এ সকল অনুষ্ঠান বেশী বেশী করে আয়োজন করা দরকার। বাঙালীর হারানো ক্রীড়া সংস্কৃতি ফেরাতে পারলে মাদক, জঙ্গিবাদ, অপসংস্কৃতি, মোবাইল আসক্তি থেকে সমাজকে রক্ষা সম্ভব।