
নিজস্ব প্রতিবেদক
হঠাৎ করেই দ্বিগুন হয়েছে সব ধরনের গো খাদ্যের দাম। টাকা দিয়েও বাজারে চাহিদামত মিলছে না গরুর খাবার। এমন পরিস্থিতিতে গরু বিক্রি করতে চাইলেও মিলছে না ক্রেতা। ফলে খামার টিকে রাখাই মুশকিল হয়েছে খামারীদের। মোঃ আনিসুর রহমান সৌদি প্রবাসী গড়ে তুলেছিলেন মা ডেইরী ফার্ম । বর্তমানে তার খামারে ১০ গরু আছে। এজন্য প্রবাসে থেকে খামারী হয়েছেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতে ছোট এই গরুর খামারটি টিকে থাকবে কিনা সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। আনিসুর জানান হঠাৎ করেই গরুর খাবারের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন। আবার বাজারে টাকা দিয়েও চাহিদামত গরুর খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। এক মাস আগে তার খামারে খরচ ছিল প্রতিদিন তিন হাজার টাকা। এখন খরচ বেড়ে হয়েছে পাঁচ হাজার টাকারও বেশি।
আনিসুর মত একই অবস্থা জেলার অন্য খামারীদের। খামারীরা জানান এক বস্তা গমের ভুষি ১২শ টাকা থেকে দুই হাজার টাকা হয়েছে। একই ভাবে বেড়েছে খড়, ঘাষ ও খৈলের দাম। আবার বাজারে তিন বস্তা ভুষি কিনতে গেলে পাওয়া যাচ্ছে এক বস্তা। অনেক খামারী অর্ধেক খাবার দিয়ে গরু বাঁচিয়ে রেখেছে। ফলে অনেকের গরুর স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে।
গো খাদ্যের ব্যবসায়ীরা বলছে, গমের দাম বৃদ্ধির কারনে হঠাৎ ভুষির দাম বেড়েছে। এজন্য আমরা পাঁচ ট্রাক অর্ডার করলে পাচ্ছি এক ট্রাক। এই কারনে বাজারে গো খাদ্যের সংকট। আর তেলের দাম বাড়ার কারনে বেড়েছে খৈলের দাম।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ডাঃ মোঃ ফজলুল হক সরদার জানান, বৈষয়িক কারনে গো খাদ্যের দাম বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা খামারীদের ঘাষ চাষের পরামর্শ দিচ্ছি। জেলা প্রাণি সম্পদের তথ্য মতে জেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ১২ হাজার গরুর খামার রয়েছে।