
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজবাড়ী সদর হাঁসপাতালে পুরাতন বেড শীট,বালিশ,ফোম পোড়ানোর সময় আগুন নিয়ন্ত্রনহীন হয়েগেলে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস এসে প্রায় এক ঘন্টা চেষ্ঠাকরে নিয়ন্ত্রনে এনেছে।
জানাগেছে, রাজবাড়ী সদর হাঁসপাতালের পুরাতন বেডশীট, বালিশ ,চাদর যেগুলো ব্যাবহারের অনুপযোগী বর্জ্য ,সেগুলো প্রতি বছর পুড়িয়ে ফেলা হয়। হাঁসপাতালের সে সমস্ত বর্জ্য পোড়ানোর সময় হটাত করে আগুণ নিয়ন্ত্রণহীন হয়েপরে।
সোমবার (৫ই ডিসেম্বর) সকালে হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টারের ভেতরে গর্ত করে পুরাতন বর্জ্য পোড়ানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্ত গর্তের ভেতরে সেই পুরাতন বেড ,চাদর , বালিশ না পুড়িয়ে গর্তের বাইরে পোড়ানোর সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। পরে সকাল ১০টার সময় খবর পেয়ে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস হাঁসপাতালে গিয়ে প্রায় পৌনে এক ঘন্টা কাজ করে সে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
পুরাতন বেড শীটের সাথে ফোমে আগুণ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পরে । আশেপাশে থাকা গাছপালার পাতা আগুনের শিখায় পুড়ে যায় ,পাশের বিল্ডিং -এ থাকা হাঁসপাতালের স্টাফরা তখন আতঙ্কিত হয়ে পরে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার বেলাল হোসেন খলিফার নেতৃত্বে একটি টিম আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। এ সময় আশেপাশের লোকজন চলে আসেন।
কোয়ার্টারের বাসীন্দা আরএসকে উচ্চবিদ্যালয়য়ের শিক্ষক দীরেন্দ্রনাথ শিকদার বলেন, আমার স্ত্রী হাস্পাতালের নার্স। আমরা এখানে থাকি। আমি শিক্ষকতা করি। বিদ্যালয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি এ সময় আগুন ধাও ধাও করে জ্বলে ওঠে। পাশেই আমার বিল্ডিং । আমি হাঁসপাতালের ব্রাদার মামুন সহ অনেককেই একাধিকবার বলেছি,আবাসিক এলাকায় এগুলো না পোড়ানোর জন্য । আমার কোন কথা শোনেনি কেউ। আজকে বড় ধরনের কিছু একটা ক্ষতি হতে পারতো।
উপস্থিত সেন্টু নামে আরেকজন বলেন, এখানে আগুন লেগে ধোঁয়ায় খুব ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ধোয়ায় হাঁসপাতালের রোগীদের অনেক ক্ষতি হয়েছে,যদি আগুন নিয়ন্ত্রনে না আসতো হাঁসপাতালে থাকা রোগীদের ও কোয়ার্টারে থাকে স্টাফদের কি পরিণতি হতো আজ? এটা কর্ত্রিপক্ষের চরম উদাসীনতা। পাশেই গর্ত রয়েছে ,সেখানে না পুড়িয়ে উন্মুক্ত যায়গায় এগুলো পুড়িয়ে আজকে সবার মধ্যে একটা আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।