
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগ ছড়িয়ে পড়ায় দিনের পর দিন গরু মারা যাচ্ছে হতাশ খামারিরা
রাজু আহমেদ, রাজবাড়ী
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার চরাঞ্চলে দেখা দিয়েছে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) রোগ। উজানচর ও দৌলতদিয়ার দুর্গম চরে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে গত প্রায় এক মাসে ৮টি গরু মারা গেছে। এ রোগে ওই এলাকায় আরো অনেকের গরু আক্রান্ত হয়েছে। সচেতনতার অভাবে মরা গরু মাটিতে পুতে না ফেলে যত্রতত্র খোলা মাঠে ফেলায় ছড়িয়ে পড়ছে এ রোগের ভাইরাস। তথাকথিত হাতুড়ে পল্লী ডাক্তাররা চিকিৎসার নামে খামারিদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অথচ গোয়ালন্দ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা কিছুই জানেন না। এতে আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গরু পালনে জড়িত কৃষক বা খামারিরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
এই বিষয় দৈনিক রাজবাড়ী সময় কে বলেন, গরুর শরীরে প্রথমে জ্বর আসে, খাবার খায় না। নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয়, পা ফুলে যায়। গরুর সামনের দুই পায়ের মাঝে বুকের নিচে পানি জমে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে চামড়ায় গুটি গুটি হয়ে কয়েক দিনের মধ্যে ঘা হয়ে পচন ধরে। আস্তে আস্ত গরুর পুরা শরীরে ঘা ছড়িয়ে পড়ে।
এ রোগে দৌলতদিয়া ৯ নং ওয়ার্ড পরশ উল্লাহ পাড়ার আব্বাস মোল্লার ১টি, সিরাজ খাঁ পাড়ার নিজাম শেখের ১টি, আজিজ মৃধা পাড়ার আবজাল মোল্লার ১টি, উজানচর ইউনিয়নের লুৎফর সওদাগরের পাড়া মঞ্জু সওদাগরের ১টি, মোসলেম সওদাগরের ১টি, ফজলু শেখের ১টি, চর করনেশন আব্দুর রহিমের ১টি, মালেক শেখের ১টি গরু মারা গেছে। মারা যাওয়া প্রায়ই বাছুর গরু। এ ছাড়া ওই এলাকায় আরো অনেক গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
লাম্বি স্কিন ডিজিজ বা এল.এস.ডি রোগে স্থানীয়দের সতর্ক করার লক্ষ্যে বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও সৌদি প্রবাসী আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম মোল্লার উদ্দ্যোগে চর দৌলতদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় অতিথি হিসাবে গোয়ালন্দ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রাশেদুজ্জামান ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাঃ সরোয়ার হোসেন গরু বা পশুর লাম্বি স্কিন ডিজিজ ও বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে খামারিদের সচেতনতামূলক বক্তব্য রাখেন। এ সময় শিক্ষক মোঃ হাবিবুর রহমান, সমাজ সেবক নাজমুল ইসলাম ফারাবী, সহ প্রায় দুই শতাধিক স্থানীয় গরু মালিক ও খামারীগণ উপস্থিত ছিলেন।