
রাজু আহমেদ, রাজবাড়ী
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৬ ও ৭ নং ফেরিঘাটে শুরু হয়েছে সর্বনাশা পদ্মার তান্ডব। ভাঙনে ওই ঘাটের ছাত্তার মেম্বর পাড়ার নদীর পাড় বিলীন হচ্ছে। এতেকরে হুমকির মুখে পড়ে ওই এলাকার প্রায় ৫০টি বসতবাড়ী দোকানপাট ও দুটি ফেরিঘাট।
সোমবার দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনকালে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া পয়েন্টে প্রায় ৪-৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পদ্মার জোয়ারে সৃষ্টি হয়েছে আছড়ে পড়া ঢেউ।
এ সময় ৬ নং ফেরিঘাটের বিশাল এলাকার গাছপালাসহ পাড় ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হতে দেখা যায়। বেশ কিছু স্থানীয় লোকজনকে প্লাস্টিকের বস্তায় বালুমাটি ভরে ভাঙন রোধের চেষ্টা করতে দেখা যায়।
এসময় কর্মরত আব্দুল বারেক সরদার সহ একাধিক ব্যক্তি আক্ষেপ করে বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে এই এলাকায় নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। এরমধ্যে সরকারী লোকজন এসে দেখে যাচ্ছে। কিন্তু ভাঙন রোধে কেউ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা স্থানীয় তোফাজ্জেল হোসেন তপুর আর্থিক সহায়তায় ভাঙন রোধের চেষ্টা করছি।
এ বিষয় বিআইডব্লিউটিএ উপ সহকারী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, বর্ষা আসার আগেই আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি জিও ব্যাগ পদ্মার প্রত্যেকটা পার বেঁধে দিচ্ছি এবং এই কাজ চলমান থাকবে
গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে বলেন, আমি জরুরী ভিত্তিতে দৌলতদিয়া ভাঙন ঘাটে পদ্মার ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিআইডব্লিউটিএর উর্দ্ধোতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা দ্রুত সময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন।