রাজবাড়ী ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীর বসন্তপুরে সফল উদ্যোক্তা বিএম মহিউদ্দিন

  • রাজবাড়ী সময় ডেস্ক
  • প্রকাশিত : ১২:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৬২৫ বার পড়া হয়েছে

রাজু আহমেদ রাজবাড়ী

চাকরি ছেড়ে শুরু করেছিলেন নার্সারি। এখন স্বপ্ন স্বপ্ন বুনেছেন ভার্মি কম্পোস্ট সারে। গড়ে তুলেছেন কম্পোস্ট তৈরির কারখানা। ভার্মি কম্পোস্ট ও নার্সারি গড়ে এখন হয়ে উঠেছেন একজন সফল উদ্যোক্তা। পরিশ্রমী এই উদ্যোক্তার নাম বি এম মহিউদ্দিন। তার বাড়ী রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামে। এক সময় কোরিয়ান শিপিং লাইনে জাহাজের নাবিক হিসেবে চাকরি করতেন। এরপর তিনি বসন্তপুর হাটের সাথে
হাট জয়পুর গ্রামে গড়ে তুলেন বিশ্বাস নার্সারি ও জৈব সার কারখানা। এরপর কঠোর পরিশ্রমে নেমে আসে তার সফলতা।

বর্তমান সময়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে। বাড়ছে এ সারের উৎপাদন ও চাহিদা।উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকেরা গরুর গোবর কিনে এ সার তৈরি করেন। এতে একদিকে পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা পাচ্ছে; অন্যদিকে তৈরি হচ্ছে জৈব সার। এ সার উৎপাদন খুবই সহজ এবং সুলভ মূল্যে পাওয়া যায় বলে চাষিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ।

উপজেলা কৃষি অফিসার জনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ কৃষককে কেঁচো সার তৈরির পদ্ধতি হাতে কলমে শিখিয়েছে কৃষি বিভাগ। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ২০০ জন কৃষকদের মধ্যে কেঁচো সার প্রদর্শনীর জন্য বিনা মূল্যে কেঁচো, খুঁটি, টিন, রিং ও রিং স্ল্যাব বিতরণ করা হয়েছে। এসব প্রদর্শনী দেখে ৩০ থেকে ৪০ জন কৃষক আগ্রহী হয়ে নিজ উদ্যোগে এ সার তৈরি করেছেন।

সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত নাম বি এম মহিউদ্দিন তার গড়ে তোলা বিশ্বাস জৈব সার কারখানা থেকে প্রতি কেজি সার ১৫ টাকা করে বিক্রি করেন। সারের পাশাপাশি কেঁচোও উৎপাদন হয়। প্রতি কেঁচো এক টাকা করে বিক্রি করেন বলে তিনি জানান।

এ বিষয় রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন,অন্য সার তৈরির থেকে কেঁচো সার তৈরি সহজ। কম সময়ে এ সার তৈরি করা যায়। এ সার ব্যবহারে মাটির জৈব উপাদান বৃদ্ধি পায়। মাটিও ভালো থাকে। রাসায়নিক সারের পরিমাণ কম লাগে। এতে সবজি ও ফলের প্রাকৃতিক স্বাদ ঠিক থাকে। ফলন বৃদ্ধি পায়।

সফল উদ্যোক্তা বি এম মহিউদ্দিন জানান,দেশটাকে কৃষি বান্ধব গড়ে তুলতে বিশ্বাস নার্সারি ও জৈবসার। কারখানা খুলেছি। এখন অনেক সাড়া পাচ্ছি। আপনাদের যাদের ভালো গাছের চারা ও জৈব সার প্রয়োজন আমাদের ঠিকানায় চলে এসে আপনার পছন্দের অনুযায়ী ক্রয় করতে পারবেন।

Tag :

রাজবাড়ীর বসন্তপুরে সফল উদ্যোক্তা বিএম মহিউদ্দিন

প্রকাশিত : ১২:২৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

রাজু আহমেদ রাজবাড়ী

চাকরি ছেড়ে শুরু করেছিলেন নার্সারি। এখন স্বপ্ন স্বপ্ন বুনেছেন ভার্মি কম্পোস্ট সারে। গড়ে তুলেছেন কম্পোস্ট তৈরির কারখানা। ভার্মি কম্পোস্ট ও নার্সারি গড়ে এখন হয়ে উঠেছেন একজন সফল উদ্যোক্তা। পরিশ্রমী এই উদ্যোক্তার নাম বি এম মহিউদ্দিন। তার বাড়ী রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামে। এক সময় কোরিয়ান শিপিং লাইনে জাহাজের নাবিক হিসেবে চাকরি করতেন। এরপর তিনি বসন্তপুর হাটের সাথে
হাট জয়পুর গ্রামে গড়ে তুলেন বিশ্বাস নার্সারি ও জৈব সার কারখানা। এরপর কঠোর পরিশ্রমে নেমে আসে তার সফলতা।

বর্তমান সময়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছে। বাড়ছে এ সারের উৎপাদন ও চাহিদা।উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকেরা গরুর গোবর কিনে এ সার তৈরি করেন। এতে একদিকে পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা পাচ্ছে; অন্যদিকে তৈরি হচ্ছে জৈব সার। এ সার উৎপাদন খুবই সহজ এবং সুলভ মূল্যে পাওয়া যায় বলে চাষিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ।

উপজেলা কৃষি অফিসার জনি বলেন, এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ কৃষককে কেঁচো সার তৈরির পদ্ধতি হাতে কলমে শিখিয়েছে কৃষি বিভাগ। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ২০০ জন কৃষকদের মধ্যে কেঁচো সার প্রদর্শনীর জন্য বিনা মূল্যে কেঁচো, খুঁটি, টিন, রিং ও রিং স্ল্যাব বিতরণ করা হয়েছে। এসব প্রদর্শনী দেখে ৩০ থেকে ৪০ জন কৃষক আগ্রহী হয়ে নিজ উদ্যোগে এ সার তৈরি করেছেন।

সফল উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত নাম বি এম মহিউদ্দিন তার গড়ে তোলা বিশ্বাস জৈব সার কারখানা থেকে প্রতি কেজি সার ১৫ টাকা করে বিক্রি করেন। সারের পাশাপাশি কেঁচোও উৎপাদন হয়। প্রতি কেঁচো এক টাকা করে বিক্রি করেন বলে তিনি জানান।

এ বিষয় রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন,অন্য সার তৈরির থেকে কেঁচো সার তৈরি সহজ। কম সময়ে এ সার তৈরি করা যায়। এ সার ব্যবহারে মাটির জৈব উপাদান বৃদ্ধি পায়। মাটিও ভালো থাকে। রাসায়নিক সারের পরিমাণ কম লাগে। এতে সবজি ও ফলের প্রাকৃতিক স্বাদ ঠিক থাকে। ফলন বৃদ্ধি পায়।

সফল উদ্যোক্তা বি এম মহিউদ্দিন জানান,দেশটাকে কৃষি বান্ধব গড়ে তুলতে বিশ্বাস নার্সারি ও জৈবসার। কারখানা খুলেছি। এখন অনেক সাড়া পাচ্ছি। আপনাদের যাদের ভালো গাছের চারা ও জৈব সার প্রয়োজন আমাদের ঠিকানায় চলে এসে আপনার পছন্দের অনুযায়ী ক্রয় করতে পারবেন।