
স্টাফ রিপোর্টার
কৃষ্ণ কুমার সরকার
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপিকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী রেলপথ মন্ত্রী মোঃ জিল্লুল হাকিমকে সোনার নৌকা উপহার দেন।
নবনিযুক্ত রেলপথ মন্ত্রী ও রাজবাড়ী-২ আসনের এমপি মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেছেন, রেলকে একটা দূর্ণীতিমুক্ত ও লাভ জনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারি। আমি আমার প্রথম মিটিং-এ বলেছি, এখানে দূর্ণীতি আছে। জমি দখল হচ্ছে, এক জমি ৩বার করে লিজ দেয়া হচ্ছে, এ গুলো কোন অবস্থাতেই সয্য করা হবে না। মানুষের ভোগান্তি কমাতে হবে। আমরা আমাদের দলীয় লোকজন কেউই অন্যায় ভাবে কোন কিছু আমরা করবো না, যেটা মানুষের কাছে দৃষ্টি কটু লাগে এবং বেআইনী মনে হয়।
এর আগে দেয়া বক্তৃতায় জিল্লুল হাকিম ওই সব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, রাজবাড়ী হলো রেলের শহর। রেলমন্ত্রী হবার পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার উপরে দায়িত্ব অর্পন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণের জন্য রেলপথকে একটা লাভ জনক মন্ত্রণালয়ে পরিণত করার জন্য। রাজবাড়ীর যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান বিএনপি আমলে বন্ধ হয়ে গেছিলো তার মধ্যে লোকশেড একটা। এখন সুসংবাদ হলো, এই লোকশেডকে কেন্দ্র করে আবার রাজবাড়ী পুনজ্জীবিত হবে। এই লোকশেড আরো বড় করে রেলের যে বগি সংযোজন ও মেরামত করা হবে। রেলওয়ের ডিভিশন অফিস নিয়ে বিতর্ক চলছে। বিভিন্ন শহরের দাবী করা হয়েছে ডিভিশন অফিস করার জন্য। আমি যখন এখানে আছি, আমি আমার মত চেষ্টা করবো রাজবাড়ীতে যাতে ডিভিশন অফিস হয়। রেলপথ আরো সম্প্রসারিত করা হবে। আমরা একটা সুসংগঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয় চাই। আপনারা আমাকে সহযোগিতা এবং দোয়া করবেন, যাতে নেত্রীর অর্পিত দায়িত্ব সুচারু রুপে সম্পূর্ণ করতে পারি। আমরা আপনাদের সাথে করে রেলের শহর রাজবাড়ীতে আরো সুন্দর ভালে ঢেলে সাজাতে চাই।
এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন ও সালমা চৌধুরী রুমা, রাজবাড়ী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোর্শেদ আরুজ, রাজবাড়ী পৌর সভার মেয়র আলমগীর শেখ তিতুসহ অন্যান্য দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সোনার নৌকা গুহণ শেষে রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেন, এই সোনার নৌকার দামের সম পরিমাণ অর্থ তিনি কম্বল কিনে বিতরণ করবেন।