
রাজবাড়ী প্রতিনিধি
শক্তি ফাউন্ডেশনের ৩১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজবাড়ী জেলা সদরের আলাদিপুর ১নং কলোনী আশ্রায়ন প্রকল্পে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীতে ফলজ,বনজ ও ঔষধী গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। এতে আশ্রায়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা তাদের পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারবে বলে আশা করছে উপজেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় শক্তি ফাউন্ডেশনের ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলিপুর ইউনিয়নের ১নং কলোনী আশ্রায়ন প্রকল্পে এ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে নিজ হাতে একটি ফলের চারা রোপন করে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন, রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মার্জিয়া সুলতানা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কার সিদ্দিক,শক্তি ফাউন্ডেশনের এইচ আর ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ডিরেক্টর আছমা বেগম, সিনিয়র ম্যানেজার শামীমা খানম হ্যাপি, রাজবাড়ী রিজিওনের রিজিওন হেড মোঃ হুমায়ূন কবির,রিজিওন সেক্রেটারী ইসমোতারা শামীমা,পাংশা এরিয়া সুপারভাইজার মোঃ আনছার আলী।
প্রধান অতিথীর বক্তব্যে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মার্জিয়া সুলতানা বলেন, শক্তি ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের একটি বেসকারী জনকল্যাণমূলক উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান (এনজিও)। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে দেশের ৫৫টি জেলায় বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর উদ্যোগ গ্রহন করেছে যা প্রশংসার দাবীদার। এই লক্ষ্যে রাজবাড়ী জেলা সদরের আলাদিপুরের ১নং কলোনী আশ্রায়ন প্রকল্পে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীতে ৫০টি ফলজ,বনজ ও ঔষধী গাছের চারা রোপন করা হলো। এই গাছগুলো পরিপূর্ণ হলে এর ফল আশ্রায়নের বাসিন্দারা খাবেন। এতে করে তাদের পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। সরকারী ও বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠান কে মানব কল্যানে কাজ করে যেতে হবে।
কর্মসূচীতে অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,ফাইন্যান্স সুপারভাইজার মোঃ ফিরোজ আহমেদ,সদর শাখা ব্যবস্থাপক খন্দকার ইমদাদুল হক,কালুখালী শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ আবু জাফর মোল্লা,সদর শাখা হিসাবরক্ষক সমরেশ রায় সহ মাইক্রোফাইন্যান্স অফিসারগন।
উল্লেখ্য, ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে শক্তি ফাউন্ডেশন গ্রিন ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের মাধ্যমে এপ্রিল মাসের মধ্যে ৫৫টি জেলাতে ৩১০০টি বৃক্ষ রোপনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বৃক্ষ রোপনের মাধ্যমে একদিকে যেমন পরিবেশের উন্নয়ন ঘটাতে ও অন্যকে উদ্ভুদ্ধকরনের কাজে আসবে অন্যদিকে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।