রাজবাড়ী ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নেশার টাকা জোগাড় করতে না পেরে, গলায় ফাঁস নিয়ে যুবকের আত্নহত্যা

মো. সাজ্জাদ হোসেন
গোয়ালন্দ(রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মো. আবুল কাশেম (৪০) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

রবিবার (৪ জুন) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদু খান পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আবুল কাশেম ওই গ্রামের মৃত. আঃ গণি শেখের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে কাশেম তার বাড়িতে, নেশার টাকার জন্য স্ত্রী ও মায়ের সাথে ঝগড়া করে বেরিয়ে পড়ে। অনেক্ষণ তাকে দেখতে না পেয়ে তার মা ও স্ত্রী চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পিছনে থাকা একটি বাগানে তাকে গাছের সাথে গলায় গামছা পেছিয়ে ঝুলতে দেখতে পেয়ে তারা গাছ থেকে তাকে নিচে নামিয়ে ফেলে। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। আরো জানা যায়, আবুল কাশেম নিয়মিত নেশা করতো ও জুয়া খেলতো। তার পরিবারে স্ত্রী ও দুই মেয়ে, এক ছেলে রয়েছে।

স্থানীয় দুদুখান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নাসরিন আক্তার ইতি বলেন, জুয়া আর নেসায় চলে গেল আবুল কাশেম ভাই। কাশেম ভাই তিন সন্তানের জনক ছিলেন। তার মেয়ে কেয়া আমার বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তাকে গলায় গামছা পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় ঝোপের ভেতর তার পরিবার মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। তিনি আরও বলেন, যে জায়গাটাতে লাশ পাওয়া গেছে সেখানে প্রতিদিন জুয়া আর নেশার আড্ডা চলে। বিভিন্ন জায়গা হতে নেশা দ্রব্য কেনার জন্য ও নেশা করা ও জুয়া খেলার জন্য লোকজন আসে এবং সে স্থানটা জুয়া খেলার বড় আড্ডাস্থল। এ এলাকা নেশা ও জুয়া মুক্ত করার জন্য আইন ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরাদেহটি রাজবাড়ী মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Tag :

নেশার টাকা জোগাড় করতে না পেরে, গলায় ফাঁস নিয়ে যুবকের আত্নহত্যা

প্রকাশিত : ১২:১৮:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

মো. সাজ্জাদ হোসেন
গোয়ালন্দ(রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে মো. আবুল কাশেম (৪০) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

রবিবার (৪ জুন) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের দুদু খান পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আবুল কাশেম ওই গ্রামের মৃত. আঃ গণি শেখের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকালে কাশেম তার বাড়িতে, নেশার টাকার জন্য স্ত্রী ও মায়ের সাথে ঝগড়া করে বেরিয়ে পড়ে। অনেক্ষণ তাকে দেখতে না পেয়ে তার মা ও স্ত্রী চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির পিছনে থাকা একটি বাগানে তাকে গাছের সাথে গলায় গামছা পেছিয়ে ঝুলতে দেখতে পেয়ে তারা গাছ থেকে তাকে নিচে নামিয়ে ফেলে। পরে তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। আরো জানা যায়, আবুল কাশেম নিয়মিত নেশা করতো ও জুয়া খেলতো। তার পরিবারে স্ত্রী ও দুই মেয়ে, এক ছেলে রয়েছে।

স্থানীয় দুদুখান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ‍্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নাসরিন আক্তার ইতি বলেন, জুয়া আর নেসায় চলে গেল আবুল কাশেম ভাই। কাশেম ভাই তিন সন্তানের জনক ছিলেন। তার মেয়ে কেয়া আমার বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তাকে গলায় গামছা পেচানো ঝুলন্ত অবস্থায় ঝোপের ভেতর তার পরিবার মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে। তিনি আরও বলেন, যে জায়গাটাতে লাশ পাওয়া গেছে সেখানে প্রতিদিন জুয়া আর নেশার আড্ডা চলে। বিভিন্ন জায়গা হতে নেশা দ্রব্য কেনার জন্য ও নেশা করা ও জুয়া খেলার জন্য লোকজন আসে এবং সে স্থানটা জুয়া খেলার বড় আড্ডাস্থল। এ এলাকা নেশা ও জুয়া মুক্ত করার জন্য আইন ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরাদেহটি রাজবাড়ী মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।