রাজবাড়ী ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ী সদর রাজবাড়ীতে লাইসেন্স করা অস্ত্র জমা পড়েছে ৪৬টি

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজবাড়ীতে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত মোট ৪৬টি অস্ত্র জমা পড়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল ৪৬টির। বাকী দুটি অস্ত্র সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের বড় ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের নামে লাইসেন্স করা। এ দুটি অস্ত্র এখনো থানায় জমা পড়েনি।

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ীতে এ পর্যন্ত ১০৩ টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। ওই ক্যাটাগরিতে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি কর্মকর্তা (চলমান), সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক ব্যক্তি। এর মধ্যে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ব্যক্তিদের বন্দুক, শর্টগান, পিস্তল ও রাইফেল রয়েছে ৪৬ টি। এই ৪৬ টি আগ্নেয়াস্ত্র ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স প্রদান করা হয়। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলো চলতি মাসের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে থানায় জমা দেওয়ার কথা ছিল। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৪টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। জমা দেওয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যড. ইমদাদুল হক বিশ্বাস, পাংশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, কালুখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম, রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর শেখ তিতু, গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম মন্ডলসহ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিসহ ৪৪ জন আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছে। দুটি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি। ওই দুই আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের নামে।

পাংশা থানা সূত্র জানায়, পাংশা উপজেলায় ১১টি লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ছিল। এর মধ্যে ৯টি জমা পড়ে। দুটি আগ্নেয়াস্ত্র এখনো জমা পড়েনি। অস্ত্র জমা দেওয়ার তারিখ পার হলেও মিতুল হাকিম জমা দেননি।

Tag :

রাজবাড়ী সদর রাজবাড়ীতে লাইসেন্স করা অস্ত্র জমা পড়েছে ৪৬টি

প্রকাশিত : ০৬:৩১:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজবাড়ীতে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন পর্যন্ত মোট ৪৬টি অস্ত্র জমা পড়েছে। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল ৪৬টির। বাকী দুটি অস্ত্র সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের বড় ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের নামে লাইসেন্স করা। এ দুটি অস্ত্র এখনো থানায় জমা পড়েনি।

রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ীতে এ পর্যন্ত ১০৩ টি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। ওই ক্যাটাগরিতে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি কর্মকর্তা (চলমান), সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক ব্যক্তি। এর মধ্যে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক ব্যক্তিদের বন্দুক, শর্টগান, পিস্তল ও রাইফেল রয়েছে ৪৬ টি। এই ৪৬ টি আগ্নেয়াস্ত্র ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লাইসেন্স প্রদান করা হয়। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলো চলতি মাসের ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে থানায় জমা দেওয়ার কথা ছিল। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪৪টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। জমা দেওয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন রাজবাড়ী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যড. ইমদাদুল হক বিশ্বাস, পাংশা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, কালুখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী সাইফুল ইসলাম, রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক মেয়র আলমগীর শেখ তিতু, গোয়ালন্দ পৌরসভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম মন্ডলসহ রাজনৈতিক ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিসহ ৪৪ জন আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছে। দুটি আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েনি। ওই দুই আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স রয়েছে সাবেক রেলমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিমের ছেলে আশিক মাহমুদ মিতুল হাকিমের নামে।

পাংশা থানা সূত্র জানায়, পাংশা উপজেলায় ১১টি লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ছিল। এর মধ্যে ৯টি জমা পড়ে। দুটি আগ্নেয়াস্ত্র এখনো জমা পড়েনি। অস্ত্র জমা দেওয়ার তারিখ পার হলেও মিতুল হাকিম জমা দেননি।