
বিশেষ সংবাদতাতা
গতকাল ৩১ মে ফরিদপুর বর্ণমালা সাহিত্য পরিষদের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষষ্ঠিত। শিশু একাডেমী মিলনায়তনে ,কবি সফিক ইসলাম এর সভাপতিত্বে সকাল সারে নটায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য জনাব একে আজাদ। বিশেষ অতিথি ও মুল প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য গবেষক উপল তলুকদার, ড. কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু কবি প্রাবন্ধিক ও গবেষক, ড.আশরাফি খাতুন, কবি উপন্যাসিক পশ্চিমবঙ্গ ভারত, কবি হাসনাত আমজাদ, শিশু সাহিত্যিক ও উপন্যাসিক।যারা সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন তারা হলেন ডাঃ মোসাদ্দেক আহমেদ,গল্পকার ও উপন্যাসিক, আবু জাফরদিলু,কবি,ছাড়াকার, গীতিকার, কবি ইমরোজ সোহেল,কবি ও উপন্যাসিক,কবি আফরোজা অদিতি,শিশু সাহিত্যিক ও উপন্যাসিক। যারা সম্মানিত অতিথি ছিলেন,স,ম,সামসুল আলম কবি ও শিশু সাহিত্যিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সরকার কবি ও উপন্যাসিক, জাহান বশীর আবৃত্তি শিল্পী, সংগঠক ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আন্তর্জাতিক শিল্পী সাহিত্যিক সম্মেলন পরিষদ, বিশ্বভরাপ্রাণ, ঢাকা,আলম আরা জুই, আবৃত্তি শিল্পী-কুষ্টিয়া,বিধুরা ধর,আবৃতি শিল্পী ও কন্ঠ শিল্পী ও সভাপতি বিশ্বভরা প্রাণ, ভারত কমিটি, ডাঃ সালমা পারভীন সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটি।
যারা সম্মননা ও সম্বর্ধিত হলেন, কবি মফিজ ইমাম মিলন, শ ম রশিদ আল কামাল, সুবল বিশ্বাস, বীরেন্দ্রনাথ অধিকারী,অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বের সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান দ্বিতীয় পর্বের সভাপতি করেন ডঃ কবি ইদ্রিস আলী।রাজবাড়ী জেলার আমন্ত্রিত অতিথি বিশ্ব ভরা প্রাণ, রাজবাড়ী জেলার সভাপতি, কবি লেখক ও কলামিষ্ট মোঃ আতাউর রহমান,কবি শ ম রশিদ আল কামাল,কবি আলাউল হক,কবি তাহমিনা পারভীন, তরুণ কবি কৃষ্ণ কুমার সহ বিভিন্ন জেলা থেকে আমন্ত্রিত শতাধিক কবি সাহিত্যিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।এ ছাড়া আয়োজক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ স্থানীয় শিল্প সাহিত্য অনুরাগী অতিথিগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
প্রধান অতিথি পুরস্কার প্রাপ্তদের গুণী সাহিত্যিকদের হাতে পুরস্কার তুলেদেন ও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যে বলেন সাহিত্য সংস্কৃতিতে আমরা যত সমৃদ্ধ হব জাতি হিসাবে আমরা তত এগিয়ে যাব। নতুন প্রজন্ম শিল্প সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে মোবাইলে আসক্ত হয়ে পড়ছে যা অত্যন্ত হতাশাজনক। মোবাইলের পরিবর্তে তিনি নতুন প্রজন্মের হাতে বই তুলে দেওয়ার আহবান জানান । সাহিত্য সাংস্কৃতির চর্চার পিছিয়ে থাকলে আমরা জাতি হিসেবে এগিয়ে যেতে পারব না। এ জন্য সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতায় সমাজের সামর্থ্যবানদের আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসা উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন। আগামী ৪৮ সম্মেলন যাতে জাঁকজমকপূর্ণ হয় সে ব্যাপারে তিনি সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বস্তকরেন। প্রতিবেশী ভারত ও দেশের দূর দুরান্তর জেলা থেকে আমন্ত্রিত গুণী কবি সাহিত্যিকদের যাতায়াত খরচ বহন ও ফ্রি খাবার ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।বর্ণমালা সাহিত্য পরিষদেল স্থায়ী একটি কার্যালয় প্রতিষ্ঠায়ও তিনি চেষ্টা করবেন ঘোষনা দেন। সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চা অগ্রগতি সাধনের জন্য যা যা প্রয়োজন সে ব্যাপারে তিনি সাথে থাকার কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত কবিগণ তাদের স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন,আবৃত্তি শিল্পীগণ আবৃত্তি, পল্লবম জুমদার, সুপর্না ঘোষ,অহনা সাহা নৃত্য পরিবেশন ও আমন্ত্রিত শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্য দিয়েঅনুষ্ঠান শেষ হয়।
পশ্চিমবঙ্গ ভারতের বাচিক ও কন্ঠ শিল্পী বিধুরা ধর এর সম্মাননা প্রদান করছেন প্রধান অতিথি ও সভাপতি।