রাজবাড়ী ০৬:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাষার যুদ্ধ থেকে স্বাধীনতা ও বাঙালির প্রেরণা শক্তি

একুশ আমাদের প্রেরণা

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। ভাষা আন্দোলনের, ভাষার যুদ্ধের অমর অমীয় বাণী।যে বাণী ও সুর বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। চেতনায় বিপ্লবের যুদ্ধের যে পথ ধরে আমরা অর্জন করেছিলাম মহান স্বাধীনতা। বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে প্রথম পরিচিত করেছিল ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারের মাধ্যমে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। দ্বিতীয়জন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে প্রথম বাংলায় ভাষণ দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর বজ্রবাণী “কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না”সেই গর্বিত মাতৃভাষা বাংলা বাঙ্গালী আমরা কেন পিছিয়ে থাকব?

 আমরা হতাশ হবো না 

সমাজে নেতিবাচক কর্মকাণ্ড দেখে মানুষকে হতাশ হয় । অন‍্যার্য অসংগতি অনাচার দেখে সমাজে হতাশা বাড়ে। অসভ্য উশৃঙ্খল অসংগত অমানবিক নিষ্ঠুর আচরণ অভ‍্যাস,নেতিবাচক চিন্তা থেকে এবং তা দেখেও মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়ে। নেতিবাচক কথাবার্তা আচরণ চিন্তা, চর্চা দিন দিন মানুষকে নিজের অজান্তেই হতাশার দিকে নিয়ে যাচ্ছে । হতাশাবাদী মানুষের সাথে আলাপ আড্ডা,সঙ্গ একে অন‍্যেকে প্রভাবিত করে। চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন পতন ঘটে। তাই তো কথায় আছে সৎ সঙ্গে স্বর্গেবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। হতাশ নেতিবাচক চিন্তার সঙ্গ এক সময় মানষিক অসুস্থতা তৈরী করে । মানষিক বিষন্নতায় মানুষের মন ও শরীর দুর্বল করে।চিন্তা কর্মশক্তিও হ্রাস পায়। আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়।ভুল ও ব‍্যর্থতা থেকেও শেখার আছে।

প্রেরণা লাভের উপায়

যারা আশাবাদী পরিশ্রমী উদ‍্যোমি সাহসি সতর্ক তারাই সব সময় সফল হয়। কোন বিষয়ের ভালো মন্দ যাই হোক বাস্তবতা উপলব্ধি করে। তার মাঝে ঠান্ডা মাথায় সমাধান খুজে আশাবাদী মানুষ।হতাশ মানুষ সহজে অধৈর্য অস্থির হয়।প্রতিদিন নেতিবাচক খারাপ বিপর্যয়কর দুঃসংবাদ শুনতে শুনতেও মানুষ হতাশ হয়।হতাশ হওয়া মানেই শুরু করার আগেই হেরে যাওয়া।হতাশা থেকে বের হতে হলে আমাদের হতাশা তৈরি করে এমন বিষয় চর্চা কমাতে হবে।জীবন যতক্ষণ সমস‍্যা থাকবেই। বিবেচ‍্য বিষয় তার মাত্রা সহনীয় বা অসহনীয় মাত্রা । সমস‍্যা নিরোধ কল্পে ব‍্যবস্থা নেয়া টা জরুরি। আগে রোগ নির্নয় তারপর চিকিৎসা। সফল মানুষদের জীবন ইতিহাস জানতে হবে।জীবনের সংকট অনুসন্ধান করে প্রতিকার চিন্তা করতে হবে ।জ্ঞানী ও সৎ সফল মানুষের সংঘ বাড়াতে হবে। তাদের জীবন কথা আচরণ থেকে শিক্ষা নিয়ে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে।আলোকিত হতে হবে সফল মানুষের জ্ঞানের আলোয়।বাঙ্গালী জাতি হিসেবে আমাদের রাজনীতিতে আছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী,একেএম ফজলুল হক,মাওলানা ভাসানী,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,হাজী শরীয়তুল্লাহ, সূর্যসেন, প্রীতিলতাদের মত আলোকিত নাম। সাহিত্য সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ,কাজী নজরুল দুই দিক পাল, সহ আছে আরও অনেক গুণী কবি, শিল্পী,সাহিত্যিক। আছে চিত্র শিল্পী জয়নুল আবেদীন,সুলতান,কামরুল,ভাষা সংগ্রামে আছে সালাম রফিক শফিক বরকতের মত কালজয়ী নাম।যাদের পবিত্র রক্তের স্রোত ও সংগ্রাম সাহসের পথ দিয়ে।গোটা জাতির ঐক্য। লাখো শহীদের বিনিময়ে পেয়েছি আমরা মহান স্বাধীনতা।আমরা তাদের চির কৃতজ্ঞ। যে ইতিহাসে আমারা অণুপ্রাণিত হব। বিশ্বেবহু সফল জ্ঞানীগুণী মানুষ ও জাতির ইতিহাস আছে।সে সব ইতিহাস জানতে হবে। সমৃদ্ধ ও সফল হওয়ার তাগিদে। আমরা বীরের জাতি আমরা ভাষা জয় এবং দেশ জয়ের জাতি। এ কথা আমরা না ভাবতে ভাবতে হতাশ হয়েপড়ি সমাজের নেতিবাচকরাজনৈতিক অর্থনৈতিক ধর্মীয় সংস্কৃতির অপচর্চা,কথার সাথে কাজের বৈপরীত্যে হতাশা বাড়ছে।প্রত‍্যাশা আর প্রাপ্তির ঘাটতিতে মানুষ হতাশ হয়।এ কথা মিথ্যে নয়। অন‍্যায় অনৈতিক দুর্নীতির মাধ‍্যমে একটা শ্রেণির অর্থ সম্পদ লুন্ঠন ও বিদেশে পাচার, সাধারন জনতার উদ্বেগ ও হতাশার কারন বটে। একটা জাতির শিক্ষা রাজনীতি ধর্ম ও সংস্কৃতি এসব উৎস থেকে শিক্ষা অর্জন করে থাকে। যদি তা সর্বমঙ্গলের হয়।জাতি তা যদি প্রতিনিয়ত চর্চা করে। দেখেতে পায় তবে জাতি আশাবাদী হয়। হতাশার অন্ধকার থেকে আলোর পথে হাটে। কিন্তু যদি হয় এর বিপরীত। যোগ্য মেধাবী গুণী মানুষের পূনর্বাসন না হয়ে। অযোগ্য লোভী, মেধাহীন মানুষের দখল বাড়ে। সমাজের মানুষের মধ‍্যে হতাশা বাড়ে। রাষ্ট্রের সুষ্ঠু প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করে অসুস্থ ধারা চালু হয়।পেশী পয়সা পশুত্ববাদিদের আধিপত্য বাড়ে। ন‍্যায় বিচার শান্তি প্রগতি সাম‍্যের পরিবর্তে অশান্তি অস্বস্তি হতাশা বাড়ে। যাদের দিকে তাকিয়ে মানুষ আশান্বিত হবে তারা যখন অবমুল‍্যায়িত, নীরব নিশ্চুপ হতাশ হয়। কথা আর কাজের বৈপরীত্য ঘটলে মানুষ তখন হতাশ হয়। সাধারণের মধ্যে হতাশা ছড়ায়।যো‍গ‍্যতার বাছাই প্রক্রিয়া তা যদি অস্বচ্ছ হয়।মানবিক নীতি বোধ আদর্শের চেয়ে অর্থ যদি হয় সকল ক্ষেত্রের যোগ্যতার মাপকাঠি।অর্থের গোলাম হয়ে উঠবে সাহেব এটাই বাস্তব।দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন নিশ্চিত হলেই মানুষ হয়ে উঠবে সক্রিয় আশাবাদী। কোনো ভাবে কোথাও যেন দুষ্টের আশ্রয় প্রশ্রয় না ঘঠে।সে ব‍্যপারে সকল মহল সচেতন হতে হবে। পৃথিবীতে আমরাই এক মাত্র ভাষা জয়ের যুদ্ধে জয়ী জাতি।মাত্র নয় মাসে দেশ জয়ের জাতি। ঐক্যের জাতি আমরাই সমৃদ্ধি মর্যাদাবান জাতি হয়ে উঠব একদিন।আমাদের নেতৃত্বের সকল মহলের কাছে জাতির প্রত‍্যাশা। অনুপ্রাণিত করা শুধু কথায় নয় বাস্তবে দেখাতে হবে প্রমাণ।তবেই আমাদের মাঝে হতাশা দুর হবে।যারা দুর্বৃত্ত যারা সমাজকে নানাভাবে ক্ষতি করে ধর্মের নামে, কিংবা রাজনীতির আবরনে। ব্যবসা সেবা দেওয়ার নামে প্রতারক ধান্দাবাজ তাদেরকে বর্জন দমন করতে হবে। সমাজে দুর্বৃত্তদের কর্মকান্ড গুলো সাহসের সাথে প্রচার প্রতিরোধ করতে হবে।তুলে ধরতে হবে সাধারণতের মাঝে।

সামাজিক দায়বদ্ধতা ও স্বপ্ন

রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ধর্মীয় নেতৃত্ব সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব মুল‍্যবোধের জাগরন ঘটানো চর্চা বৃদ্ধিকরা। সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন জাগাতে হবে জাতির মাঝে। “দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন চর্চাই হোক সকল সংস্কৃতির অঙ্গীকার ” তবেই জাতির মুক্তি সফলতা আসবে। জাতি হবে হতাশা মুক্ত। স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল প্রতিষ্ঠিত হবে। আপামর জনগণ সেটাই প্রত‍্যাশা করে। হতাশার আধার পেরিয়ে আলো আসবেই। বিজয়ী জাতি হিসেবে এ স্বপ্ন আমরা দেখতেই পারি।

মোঃ আতাউর রহমান,

লেখক,কবি ও কলামিষ্ট

Tag :
About Author Information

ভাষার যুদ্ধ থেকে স্বাধীনতা ও বাঙালির প্রেরণা শক্তি

প্রকাশিত : ০৬:২১:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

একুশ আমাদের প্রেরণা

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। ভাষা আন্দোলনের, ভাষার যুদ্ধের অমর অমীয় বাণী।যে বাণী ও সুর বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। চেতনায় বিপ্লবের যুদ্ধের যে পথ ধরে আমরা অর্জন করেছিলাম মহান স্বাধীনতা। বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে প্রথম পরিচিত করেছিল ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কারের মাধ্যমে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। দ্বিতীয়জন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ২৯তম সাধারণ অধিবেশনে প্রথম বাংলায় ভাষণ দিয়ে। বঙ্গবন্ধুর বজ্রবাণী “কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না”সেই গর্বিত মাতৃভাষা বাংলা বাঙ্গালী আমরা কেন পিছিয়ে থাকব?

 আমরা হতাশ হবো না 

সমাজে নেতিবাচক কর্মকাণ্ড দেখে মানুষকে হতাশ হয় । অন‍্যার্য অসংগতি অনাচার দেখে সমাজে হতাশা বাড়ে। অসভ্য উশৃঙ্খল অসংগত অমানবিক নিষ্ঠুর আচরণ অভ‍্যাস,নেতিবাচক চিন্তা থেকে এবং তা দেখেও মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়ে। নেতিবাচক কথাবার্তা আচরণ চিন্তা, চর্চা দিন দিন মানুষকে নিজের অজান্তেই হতাশার দিকে নিয়ে যাচ্ছে । হতাশাবাদী মানুষের সাথে আলাপ আড্ডা,সঙ্গ একে অন‍্যেকে প্রভাবিত করে। চিন্তা চেতনায় পরিবর্তন পতন ঘটে। তাই তো কথায় আছে সৎ সঙ্গে স্বর্গেবাস অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। হতাশ নেতিবাচক চিন্তার সঙ্গ এক সময় মানষিক অসুস্থতা তৈরী করে । মানষিক বিষন্নতায় মানুষের মন ও শরীর দুর্বল করে।চিন্তা কর্মশক্তিও হ্রাস পায়। আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়।ভুল ও ব‍্যর্থতা থেকেও শেখার আছে।

প্রেরণা লাভের উপায়

যারা আশাবাদী পরিশ্রমী উদ‍্যোমি সাহসি সতর্ক তারাই সব সময় সফল হয়। কোন বিষয়ের ভালো মন্দ যাই হোক বাস্তবতা উপলব্ধি করে। তার মাঝে ঠান্ডা মাথায় সমাধান খুজে আশাবাদী মানুষ।হতাশ মানুষ সহজে অধৈর্য অস্থির হয়।প্রতিদিন নেতিবাচক খারাপ বিপর্যয়কর দুঃসংবাদ শুনতে শুনতেও মানুষ হতাশ হয়।হতাশ হওয়া মানেই শুরু করার আগেই হেরে যাওয়া।হতাশা থেকে বের হতে হলে আমাদের হতাশা তৈরি করে এমন বিষয় চর্চা কমাতে হবে।জীবন যতক্ষণ সমস‍্যা থাকবেই। বিবেচ‍্য বিষয় তার মাত্রা সহনীয় বা অসহনীয় মাত্রা । সমস‍্যা নিরোধ কল্পে ব‍্যবস্থা নেয়া টা জরুরি। আগে রোগ নির্নয় তারপর চিকিৎসা। সফল মানুষদের জীবন ইতিহাস জানতে হবে।জীবনের সংকট অনুসন্ধান করে প্রতিকার চিন্তা করতে হবে ।জ্ঞানী ও সৎ সফল মানুষের সংঘ বাড়াতে হবে। তাদের জীবন কথা আচরণ থেকে শিক্ষা নিয়ে শক্তি সঞ্চয় করতে হবে।আলোকিত হতে হবে সফল মানুষের জ্ঞানের আলোয়।বাঙ্গালী জাতি হিসেবে আমাদের রাজনীতিতে আছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী,একেএম ফজলুল হক,মাওলানা ভাসানী,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,হাজী শরীয়তুল্লাহ, সূর্যসেন, প্রীতিলতাদের মত আলোকিত নাম। সাহিত্য সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ,কাজী নজরুল দুই দিক পাল, সহ আছে আরও অনেক গুণী কবি, শিল্পী,সাহিত্যিক। আছে চিত্র শিল্পী জয়নুল আবেদীন,সুলতান,কামরুল,ভাষা সংগ্রামে আছে সালাম রফিক শফিক বরকতের মত কালজয়ী নাম।যাদের পবিত্র রক্তের স্রোত ও সংগ্রাম সাহসের পথ দিয়ে।গোটা জাতির ঐক্য। লাখো শহীদের বিনিময়ে পেয়েছি আমরা মহান স্বাধীনতা।আমরা তাদের চির কৃতজ্ঞ। যে ইতিহাসে আমারা অণুপ্রাণিত হব। বিশ্বেবহু সফল জ্ঞানীগুণী মানুষ ও জাতির ইতিহাস আছে।সে সব ইতিহাস জানতে হবে। সমৃদ্ধ ও সফল হওয়ার তাগিদে। আমরা বীরের জাতি আমরা ভাষা জয় এবং দেশ জয়ের জাতি। এ কথা আমরা না ভাবতে ভাবতে হতাশ হয়েপড়ি সমাজের নেতিবাচকরাজনৈতিক অর্থনৈতিক ধর্মীয় সংস্কৃতির অপচর্চা,কথার সাথে কাজের বৈপরীত্যে হতাশা বাড়ছে।প্রত‍্যাশা আর প্রাপ্তির ঘাটতিতে মানুষ হতাশ হয়।এ কথা মিথ্যে নয়। অন‍্যায় অনৈতিক দুর্নীতির মাধ‍্যমে একটা শ্রেণির অর্থ সম্পদ লুন্ঠন ও বিদেশে পাচার, সাধারন জনতার উদ্বেগ ও হতাশার কারন বটে। একটা জাতির শিক্ষা রাজনীতি ধর্ম ও সংস্কৃতি এসব উৎস থেকে শিক্ষা অর্জন করে থাকে। যদি তা সর্বমঙ্গলের হয়।জাতি তা যদি প্রতিনিয়ত চর্চা করে। দেখেতে পায় তবে জাতি আশাবাদী হয়। হতাশার অন্ধকার থেকে আলোর পথে হাটে। কিন্তু যদি হয় এর বিপরীত। যোগ্য মেধাবী গুণী মানুষের পূনর্বাসন না হয়ে। অযোগ্য লোভী, মেধাহীন মানুষের দখল বাড়ে। সমাজের মানুষের মধ‍্যে হতাশা বাড়ে। রাষ্ট্রের সুষ্ঠু প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করে অসুস্থ ধারা চালু হয়।পেশী পয়সা পশুত্ববাদিদের আধিপত্য বাড়ে। ন‍্যায় বিচার শান্তি প্রগতি সাম‍্যের পরিবর্তে অশান্তি অস্বস্তি হতাশা বাড়ে। যাদের দিকে তাকিয়ে মানুষ আশান্বিত হবে তারা যখন অবমুল‍্যায়িত, নীরব নিশ্চুপ হতাশ হয়। কথা আর কাজের বৈপরীত্য ঘটলে মানুষ তখন হতাশ হয়। সাধারণের মধ্যে হতাশা ছড়ায়।যো‍গ‍্যতার বাছাই প্রক্রিয়া তা যদি অস্বচ্ছ হয়।মানবিক নীতি বোধ আদর্শের চেয়ে অর্থ যদি হয় সকল ক্ষেত্রের যোগ্যতার মাপকাঠি।অর্থের গোলাম হয়ে উঠবে সাহেব এটাই বাস্তব।দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন নিশ্চিত হলেই মানুষ হয়ে উঠবে সক্রিয় আশাবাদী। কোনো ভাবে কোথাও যেন দুষ্টের আশ্রয় প্রশ্রয় না ঘঠে।সে ব‍্যপারে সকল মহল সচেতন হতে হবে। পৃথিবীতে আমরাই এক মাত্র ভাষা জয়ের যুদ্ধে জয়ী জাতি।মাত্র নয় মাসে দেশ জয়ের জাতি। ঐক্যের জাতি আমরাই সমৃদ্ধি মর্যাদাবান জাতি হয়ে উঠব একদিন।আমাদের নেতৃত্বের সকল মহলের কাছে জাতির প্রত‍্যাশা। অনুপ্রাণিত করা শুধু কথায় নয় বাস্তবে দেখাতে হবে প্রমাণ।তবেই আমাদের মাঝে হতাশা দুর হবে।যারা দুর্বৃত্ত যারা সমাজকে নানাভাবে ক্ষতি করে ধর্মের নামে, কিংবা রাজনীতির আবরনে। ব্যবসা সেবা দেওয়ার নামে প্রতারক ধান্দাবাজ তাদেরকে বর্জন দমন করতে হবে। সমাজে দুর্বৃত্তদের কর্মকান্ড গুলো সাহসের সাথে প্রচার প্রতিরোধ করতে হবে।তুলে ধরতে হবে সাধারণতের মাঝে।

সামাজিক দায়বদ্ধতা ও স্বপ্ন

রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ধর্মীয় নেতৃত্ব সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব মুল‍্যবোধের জাগরন ঘটানো চর্চা বৃদ্ধিকরা। সমাজ পরিবর্তনের স্বপ্ন জাগাতে হবে জাতির মাঝে। “দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন চর্চাই হোক সকল সংস্কৃতির অঙ্গীকার ” তবেই জাতির মুক্তি সফলতা আসবে। জাতি হবে হতাশা মুক্ত। স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল প্রতিষ্ঠিত হবে। আপামর জনগণ সেটাই প্রত‍্যাশা করে। হতাশার আধার পেরিয়ে আলো আসবেই। বিজয়ী জাতি হিসেবে এ স্বপ্ন আমরা দেখতেই পারি।

মোঃ আতাউর রহমান,

লেখক,কবি ও কলামিষ্ট